কেন বই পড়বেন? নিয়মিত বই পড়ার উপকারিতা বা গুরুত্ব

বই পড়া। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ আনন্দ কিংবা অভ্যাসের কারণেও বই পড়ে থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় বই পড়া অনেকের শখ। আমরা অধিকাংশ সময় দেখে থাকি অবসর সময়ে মানুষ বই পড়েন, কিন্তু যারা প্রকৃত বই পড়ুয়া তারা বই পড়ার জন্যই অবসর সময়টুকু বের করে নেন। কেননা বই পড়া অনেকের কাছে একটি শখ। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের পছন্দ অনুসারে বই পড়তে পড়তে নিজেদের বাসা বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেন ছোট্ট একটি পারিবারিক লাইব্রেরী। আবার কিছু ক্ষেত্রে বই পড়া হতে পারে একটি নেশার স্বরূপ। এমন অনেক পাঠক আছেন যারা নেশার মতো করে বই পড়ে থাকেন। নিয়মিত বই না পড়লে তাদের ভালোই লাগে না। তাছাড়া নিয়মিত বই পড়লে মানুষের মেধা, স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞান দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কাজেই প্রত্যেকটি মানুষের কমপক্ষে প্রতিদিন গড়ে নিয়মিতভাবে ১ঘন্টা বই পড়া উচিত। 


কেন বই পড়বেন? নিয়মিত বই পড়ার উপকারিতা বা গুরুত্ব
নিয়মিত বই পড়ার উপকারিতা বা গুরুত্ব

কেন বই পড়বেন?

আপনি, ছাত্র, শিক্ষক কিংবা চাকুরীজীবী যেই হোন না কেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বই মানুষের জীবনের একটি উত্তম সঙ্গী। কেননা জীবনে চলার ক্ষেত্রে সবাই আপনাকে ধোকা দিলেও বই কখনোই আপনাকে ধোকা দিবে না। কারণ বই থেকে অর্জিত জ্ঞান সেটা শুধু আপনার জন্যই থাকবে। 


নিয়মিত বই পড়ার উপকারিতা বা গুরুত্বঃ

১. বই পড়লে মানসিক চাপ কমেঃ 

বই হচ্ছে মানসিক চাপ রোধের একটি মহাঔষধ স্বরূপ। নিয়মিত বই পড়লে মানসিক চাপ কমে এবং মনে প্রশান্তি ফিরে আসে। আমরা মানসিক চাপ কমানোর জন্য অনেক সময় গান কিংবা শারীরিক ব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, নিয়মিত বই পড়ার মাধ্যমে শতকরা ৬৮℅ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বই পড়া একটি মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 

২. নিয়মিত বই পড়লে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ

চিকিৎসাবিদগণ তাদের গবেষণায় বলেছেন প্রত্যেকটি মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা করে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসাবিদ বলেছেন বই পড়লে মানুষের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, কারণ মানুষের মস্তিষ্কের যেই অংশটুকু স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়, নিয়মিত বই পড়ার কারণে সেই অংশটুকু বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। কাজেই পড়াশোনা মনে রাখার ক্ষেত্রে নিয়মিত বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। 

৩. হতাশা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ুনঃ

হতাশা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমের সম্পর্ক পারিবারিক চাপ, চাকরির ক্ষেত্রে, ব্যবসার ক্ষেত্রে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে, ডিমোশনের ক্ষেত্রে, কিংবা অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে, নাম না জানা এমন আরোও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। তখন একটি ভালো মানের বই হতে পারে আপনার সেই হতাশা মুক্তি একমাত্র কারণ। তাছাড়া এখন বাজারে হতাশা থেকে মুক্তির বিভিন্ন আমলের বইও পাওয়া যায়। আপনার হতাশার মুক্তির উপায় হিসেবে সেই আমলগুলোও করতে পারেন। কাজেই হতাশা থেকে মুক্তি পেতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। 

৪. নিঃসঙ্গতা কাটাতে বই পড়ুনঃ

নিঃসঙ্গতা কাটানোর সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। ধরুন আপনি ট্রেন/বাস জার্নি করছেন, এমন সময় আপনার পাশে বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই। নিজেকে বড় একাকীত্ব অনুভব হচ্ছে বা নিঃসঙ্গ লাগতেছে। এমতাবস্থায় একটি বই হতে পারে আপনার প্রিয় সঙ্গী। গল্পের ছন্দে ছন্দে ট্রেন কিংবা বাস জার্নিটাও হয়ে যেতে পারে আপনার জন্য একটি আনন্দদায়ক ভ্রমণ। 

এছাড়াও বার্ধক্য বয়সে যখন ছেলে মেয়ে সবাই থাকে দেশের বাহিরে কিংবা চাকুরীতে। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদি হয়ে যান একাকী। এ সময় তাদের একাকিত্ব কাটানোর জন্যও বই হতে পারে তার একটি উত্তম সঙ্গী। কাজেই নিঃসঙ্গতা এড়াতে বই পড়ার উপকারিতা বিরল। 

৫. জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ুনঃ 

জ্ঞান বৃদ্ধিতে বই একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই বই পড়ে থাকেন শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্য। সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। কথায় আছে যে যত বেশি বই পড়ে সে ততো বেশি জ্ঞানী। 

৬. চিন্তাশক্তি/কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করতে বই পড়ুনঃ

নিয়মিত বই পড়লে মানুষের চিন্তা কিংবা কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি গল্প কিংবা কোন উপন্যাস পড়ে থাকেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন এক সময় আপনি গল্প কিংবা উপন্যাসের ভেতরে ডুবে গেছেন আপনার কল্পনায় কিংবা চিন্তাভাবনায় আপনি সেই গল্পের ভেতরেই আছেন যদিও আপনি পড়ছেন কোন একজন লেখকের লেখা কিন্তু আপনার কাছে মনে হবে আপনি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সবকিছুই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন আর এটাই হচ্ছে চিন্তাশক্তি কিংবা কল্পনাশক্তি। কাজেই চিন্তা কিংবা কল্পনাশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বই পড়ার গুরুত্ব অনেক। 

৭. আত্মউন্নয়ন/আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে বই পড়ুনঃ

নিয়মিত বই পড়ার মাধ্যমে আপনি অর্জন করতে পারেন যেকোনো বিষয়ে আত্মবিশ্বাস। অত্যাধিক বই পড়ার মাধ্যমে আপনার ভেতরে তৈরি হতে পারে আত্মউন্নয়ন। আপনার ভেতরে যদি পাঠ্যগত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে আপনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারবেন এই বিষয়টা এই ভাবেই হওয়ার কথা এবং এভাবেই হবে। কেননা আপনি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জ্ঞান সম্পন্ন আছেন। কাজেই আত্মউন্নয়ন কিংবা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। 

৮. লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করেঃ

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। লেখার ক্ষেত্রে লেখার আকার-আকৃতি, লেখার ধরন, শব্দচয়ন, শব্দভাণ্ডার, স্পষ্টতা, মাধুর্যতা সবকিছুই আপনি বৃদ্ধি করতে পারেন শুধুমাত্র বই পড়ার মাধ্যমে। কেননা একজন লেখক যখন একটি বই কিংবা গল্প লিখেন তখন তিনি লেখার সকল উপাদান কে মিশ্রিত করেই একটি গল্প কিংবা বই লিখে থাকেন। কাজেই আপনি যখন একজন ভালো মানের লেখকের বই পড়বেন তখন আপনার ভেতরে অটোমেটিক্যালি ভাবে কোন কিছু সুস্পষ্টভাবে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। 

৯. ভালো ঘুমের জন্য বই পড়ুনঃ

আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা ভালো ঘুমের জন্য বই পড়াকে বেছে নিয়েছেন। ঘুমানোর আগে আপনার পছন্দের সেই একজন লেখক এর একটি বই হাতে নিন এবং আপনার পছন্দমত যে কোন একটি গল্প কিংবা কবিতা মিনিট দশেক পড়ুন। দেখবেন খুব সহজেই আপনার মস্তিষ্কে ঘুম চলে এসেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছেন বই পড়লে মানুষের মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা মানুষের ঘুমের ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন।  

১০. আত্মসম্মান বোধ তৈরি করেঃ

বিদ্যা-বুদ্ধি অর্জন এবং বই পড়া অনেক ক্ষেত্রে মানুষের আত্ম সম্মানবোধকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যদি উদাহরণস্বরূপ বলি তাহলে আপনি আমাদেরক 

আশেপাশে অনেক মানুষ দেখতে পাবেন যারা অশিক্ষিত কিংবা বই পড়ে না তাদের আচার-আচরণ চলাফেরা কথাবার্তা এবং যারা শিক্ষিত মানুষ তাদের আচার-আচরণ কথাবার্তা চলাফেরা 

১১. কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি করেঃ

নিয়মিত বই পড়া মানুষের কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা পারিবারিকগতভাবেই স্পষ্টভাবে কথা বলার ভাষা কিংবা কখন কার সাথে কোন ধরনের আচরণের মাধ্যমে কথা বলতে হবে সে বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা থাকে না। তখন দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় অপমানিত হতে হয় তাই এক্ষেত্রে বই পড়া কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

কেননা একজন লেখক যখন একটি বই লিখেন তখন তিনি সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখার চেষ্টা করেন তাছাড়া সেখানে সর্বদাই সাধু এবং ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করে থাকেন কাজেই বই পড়লে আপনি একটি স্পষ্ট ভাষা শেখার সুযোগ পাবেন। 

১২. অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ: 

অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। স্বাভাবিকভাবেই আমরা যখন একটি বই পড়ি, তখন আপনি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। বইটি যিনি লিখেছেন তিনি কতটা গভীর চিন্তা-চেতনা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে বইটি লিখেছেন। আর আপনি সেই অভিজ্ঞ লেখকের বইটি যখন পড়বেন, তখন আপনার ভেতরে সেই অভিজ্ঞতাগুলো এমনিতেই ইনপুট হয়ে যাবে। তাই বই পড়ার মাধ্যমে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে খুব সহজেই শিক্ষা লাভ করা যায়।

১৩. আত্মার প্রশান্তি যোগায়ঃ 

একটি ভালো বই হতে পারে একটি ভালো বন্ধু। যখন আপনার মনে খুবই শূন্যতা অনুভব হবে কিংবা একাকিত্ববোধ হবে তখনই আপনি আপনার পছন্দসই একজন লেখকের গল্পের বই পড়ুন, দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ভুলে যাবেন আপনার অতীত স্মৃতিগুলো, ফিরে পাবেন প্রশান্তি। এছাড়াও এমন কিছু গল্প আছে যা পড়লে এমনিতেই মনে প্রশান্তি লাগে।

একটি ভালো বই পাঠকের মনে আত্নার প্রশান্তি যোগাতে সাহায্যে করে। সাধারণত মানুষ বই পড়ে আনন্দ কিংবা কোন দক্ষতা অর্জনের জন্য। কিন্তু আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা নিয়মিতই বই পড়েন শুধুমাত্র আত্নার প্রশান্তির জন্য। একটি ভালো মানের বই নিমিষেই কাটিয়ে দিতে পারে আপনার মনের সকল অশান্তি এবং যোগিয়ে দিতে পারে আত্নার প্রশান্তি। আপনার মনে যদি খুব বেশি অশান্তি থাকে তাহলে আপনি যে ধরনের বই পড়তে বেশি পছন্দ করেন সেই রকম একটি বই নিয়ে চলে যান কোন নিরিবিলি জায়গায়। তারপর মনোযোগ দিয়ে অতীতের সকল অশান্তি ভুলে বই পড়তে থাকুন, দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আত্নার প্রশান্তি খুজে পাবেন।

১৪. মন ভালো থাকেঃ

নিয়মিত বই পড়লে মন ভালো থাকে এটা আসলে অনেক পুড়াতন কথা, নতুনভাবে বলার তেমন কিছু নেই। আপনি যদি নিয়মিত বই পড়েন তাহলে আপনার ভেতর থেকে অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, অটোমেটিকভাবেই দূরে চলে যাবে। আপনি ইচ্ছে করলেও কারো সাথে খারাপ আচরণ করতে পারবেন না। কেননা বই পড়ার কারনে পাঠকের মন হয়ে হয়ে যায় অনেক বড়। তাই ছোট-খাটো বিষয়ে কারো সাথে কখনো রাগারাগি কিংবা ঝগড়া-ঝাটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

১৫. ভালো বক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে বই পড়ার গুরুত্বঃ

একজন ভালো বক্তা হতে চাইলে বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়া আপনাকে নানাভাবে সাহায্য করতে পারে। যখন আপনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন, তখন সঠিক শব্দ নির্বাচন আপনার বক্তৃতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বই আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে। একজন ভালো বক্তা কেবল সুন্দরভাবে কথা বলেন না, বরং তিনি যা বলেন তার গভীর ধারণাও তার থাকে। বিভিন্ন বই পড়ার মাধ্যমে আপনি ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান এবং আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন, যা আপনার বক্তৃতার বিষয়বস্তুকে সমৃদ্ধ করবে। বই পড়ার সময়, আপনি লেখকদের চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি অনুসরণ করেন। এটি আপনার নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি বিকাশ করে। আপনি শিখতে পারেন কিভাবে একটি বিষয়কে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করতে হয়, কীভাবে যুক্তি তৈরি করতে হয় এবং কীভাবে আপনার বক্তৃতাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হয়। সফল বক্তা এবং লেখকদের জীবনী এবং কাজ আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। তাদের কৌশল, তাদের বক্তৃতা শৈলী এবং তাদের সাফল্যের গল্প আপনাকে নতুন ধারণা দিতে পারে এবং আপনার নিজস্ব বক্তৃতার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন বই পড়ার মাধ্যমে, আপনি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের রুচি এবং আগ্রহ সম্পর্কে জানতে পারেন। এটি আপনাকে শ্রোতাদের সাথে আরও ভালভাবে সংযোগ স্থাপন করতে এবং তাদের সাথে মানানসই আপনার বক্তৃতা তৈরি করতে সহায়তা করবে।

পরিশেষেঃ

পরিশেষে, একজন ভালো বক্তা হওয়ার জন্য বই পড়া একটি অপরিহার্য অভ্যাস। এটি কেবল আপনার জ্ঞানই বৃদ্ধি করে না, বরং আপনার অভিব্যক্তি, চিন্তার গভীরতা এবং আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করে, যা আপনাকে একজন সফল বক্তা হতে সাহায্য করে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url