সাধারণ জ্ঞান MCQ (বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু এবং কৃষি)

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে পরিচিত। বাংলাদেশের মাটি কৃষি চাষের জন্য খুবই উর্বর এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জন মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের দেশের কৃষকেরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে থাকে। যেমন ধান, পাট, গম, চা, ভুট্টা  এবং আরোও অন্যান্য সিজনাল শাক-সবজি উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আয়ের প্রতিবছর শতকরা ১২.৬৪ শতাংশ অর্থ উৎপাদন হয় কৃষি থেকে। 

প্রিয় পাঠক, আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু এবং কৃষি সম্পর্কে। আজকের সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তরগুলো যারা কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা করতেছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এছাড়াও আরোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সাধারণ জ্ঞান কুইজ পরীক্ষা এবং যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-


বাংলাদেশের কৃষি নিউজ
বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু এবং কৃষি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর আলোচনা 

বাংলাদেশের মাটি

১. প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের মাটিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

উঃ ৫ ভাগে। যথাঃ (ক) পাহাড়ি মাটি, (খ) ল্যাটোসেলিক মাটি, (গ) পলল মাটি, (ঘ) জলাভূমি মাটি এবং (ঙ) কোষ মাটি।

২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মৃত্তিকার উৎপত্তি হয়েছে কোথায় থেকে? 

উঃ টারশিয়ারী যুগের শিলা, প্লাইস্টোসিন যুগের চত্বর ভূমি এবং সাম্প্রতিকালের পলল ভূমি থেকে।

৩. প্রশ্ন: পাহাড়ি মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায়।

৪. প্রশ্নঃ পাহাড়ি মাটির রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য কী?

উঃ অম্লতা।

৫. প্রশ্নঃ ল্যাটোসেলিক মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ বরেন্দ্রভূমি ও মধুপুর গড় এলাকায়।

৬. প্রশ্নঃ ল্যাটোসেলিক মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

উঃ অম্লতা।

৭. প্রশ্নঃ ল্যাটোসেলিক মাটির রং কেমন?

উঃ লালচে বাদামি।

৮. প্রশ্নঃ পলল মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় (পদ্মা মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র নদীবাহিত) পলল মাটি দ্বারা গঠিত সমভূমি।

৯. প্রশ্ন: কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত মাটি কোনটি?

উঃ পলল মাটি।

১০. প্রশ্নঃ কোষ মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে।

১১. প্রশ্নঃ কোষ মাটির রঙ কী?

উঃ বাদামি বা হলুদ।

১২. প্রশ্নঃ কোষ মাটির বৈশিষ্ট্য কী?

উঃ অম্লতা (চাষের অনুপযোগী)।

১৩. প্রশ্নঃ পীট মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ ফরিদপুরে।

১৪. প্রশ্নঃ লাল মাটি কোথায় পাওয়া যায়?

উঃ বরেন্দ্র অঞ্চল, মধুপুরের গড় ও ভাওয়ালের গড়ে।

১৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?

উঃ ঢাকায়।

১৬. প্রশ্নঃ 'হিউমাস' মাটির কী উপকার করে?

উঃ উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

১৭. প্রশ্নঃ পচা মাটিতে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?

উঃ মিথেন গ্যাস।


বাংলাদেশের কৃষি সম্পদ

১৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মোট জমির পরিমাণ কত?

উঃ ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার একর।

১৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কত?

উঃ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর।

২০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে চাষের অযোগ্য জমির পরিমাণ কত?

উঃ ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার একর।

২১. প্রশ্নঃ বন্যা প্লাবিত জমির পরিমাণ কত?

উঃ ১ কোটি একর।

২২. প্রশ্নঃ সেচ ব্যবস্থাধীন এলাকার জমির পরিমাণ কত?

উঃ ৯২ লাখ একর।

২৩. প্রশ্নঃ মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ কত?

উঃ ০.২৮ একর বা ০.৮ হেক্টর।

২৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কৃষক প্রতি আবাদি জমির পরিমাণ কত?

উঃ ১.৫০ একর।

২৫. প্রশ্নঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল কত ভাগ লোক?

উঃ ৮০ ভাগ।

২৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ফসল তোলা ঋতু কতটি ও কী কী?

উঃ ৩টি। (ক) ভাদোই (২) হৈমন্তিক (৩) রবি।

২৭. প্রশ্নঃ চাষাবাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের ঋতুকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উঃ ২ ভাগে। যথাঃ রবি ঋতু ও খরিপ ঋতু।

২৮. প্রশ্নঃ রবি শস্য বলতে কী বুঝ?

উঃ শীতকালীণ শস্যকে।

২৯. প্রশ্ন: খরিপ শস্য বলতে কী বুঝ?

উঃ গ্রীষ্মকালীন শস্যকে।

৩০. প্রশ্ন: কৃষিকাজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত মাটি কোনটি?

উঃ পলি মাটি।

৩১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিখাতের অবদান কত?

উঃ ১৮.৭০% (সূত্র: অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৩)।

৩২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?

উঃ পাট।

৩৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল কোনটি?

উঃ চা।

৩৪. প্রশ্নঃ কোন জেলাকে শস্য ভাণ্ডার বলা হয়?

উঃ বরিশালকে।

৩৫. প্রশ্ন: বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কৃষিশুমারি হয় কয়টি?

উঃ ৪টি। প্রথমটি-১৯৭৭ (ফল প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে), দ্বিতীয়টি ১৯৮৬ সালে তৃতীয়টি ১৯৯৭ সালে, চতুর্থটি ২০০৮ সালে।

৩৬. প্রশ্ন: সর্বশেষ বা চতুর্থ কৃষিশুমারি হয় কবে?

উঃ ১১ মে ২০০৮-২৫ মে ২০০৮।

৩৭. প্রশ্নঃ স্বর্ণা কী?

উঃ এক প্রকার জৈব সার।

৩৮. প্রশ্নঃ স্বর্ণা সার কে আবিষ্কার করেন?

উঃ ড. সৈয়দ আবদুল খালেক।

৩৮. প্রশ্নঃ স্বর্ণা সার কত সালে আবিষ্কৃত হয়?

উঃ ১৯৮৭ সালে।

৩৯. প্রশ্নঃ স্বর্ণা সারের বৈজ্ঞানিক নাম কী?

উঃ ফাইটা হারমোন ইনডিউসার।

৪০. প্রশ্নঃ দেশে বীজ শোধন যন্ত্রের উদ্ভাবক কে?

উঃ প্রফেসর ডঃ বাহাদুর মিয়া।


ধান চাষ

৪১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য কী?

উঃ ধান।

৪২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ধান প্রধানত কত শ্রেণী ও কী কী?

উঃ ৪ শ্রেণীর। যথাঃ (ক) আমন (খ) আউশ (গ) বোরো (ঘ) ইরি। 

৪৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির কত ভাগে ধান চাষ করা হয়?

উঃ ৭০ ভাগ (প্রায়)।

৪৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়?

উঃ ময়মনসিংহ জেলায়।

৪৫. প্রশ্নঃ ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান কত?

উঃ চতুর্থ (উল্লেখ যে, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ছিল)।

৪৬. প্রশ্ন: ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে শীর্ষ দেশ কোনটি?

উঃ চীন।

৪৭. প্রশ্ন: চাল রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ কোনটি?

উঃ থাইল্যান্ড।

৪৮. প্রশ্ন: ইরিটম কী?

উঃ বাংলাদেশের একটি উন্নতমানের ধান।

৪৯. প্রশ্নঃ ব্রিশাইল কী?

উঃ একটি উন্নতজাতের ধান।

৫০. প্রশ্ন: আলোক ৬,২০১ কী?

উঃ উচ্চফলনশীল এক জাতের ধান।

৫১. প্রশ্ন: সরকার কোন তারিখ কে জাতীয় কৃষিদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে?

উঃ পহেলা অগ্রহায়ণকে।

৫২. প্রশ্ন: আলোক ৬২০১' কোন দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে।

উঃ ভারত থেকে (ব্র্যাক আমদানি করেছে)।

৫৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাম কী? 

উঃ বিরি (BRRI)।

৫৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে কবে?

উঃ ২০০০ সালে।

৫৫. প্রশ্নঃ কৃষি উন্নয়নের জন্য "রাষ্ট্রপতি পুরস্কার" কবে থেকে দেওয়া হচ্ছে?

উঃ ১৯৭৩ সাল থেকে।

৫৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত।

উঃ জয়দেবপুরে।

৫৭. প্রশ্নঃ কৃষি উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারকে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারে রূপান্তরিত করা হয় কত সালে?

উঃ ১৯৯৭ সালে।

৫৮. প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারের বর্তমান নাম কী?

উঃ জাতীয় কৃষি পুরস্কার।

৫৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?

উঃ ১৯৭০ সালে।

৬০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাম কী?

উঃ BARI।

৬১. প্রশ্ন: BARI এর কাজ কী?

উঃ কৃষি উন্নয়ন।

৬২. প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারকে কবে জাতীয় কৃষি পুরস্কারে রূপান্তরিত করা হয়?

উঃ নভেম্বর-২০০২।

৬৩. প্রশ্নঃ আণবিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BINA) কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ১৯৭২ সালে। (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে)।

৬৪. প্রশ্ন: BARI কোথায় অবস্থিত?

উঃ জয়দেবপুর।

৬৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ১৯৭৬ সালে।

৬৬. প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (IRRI) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ১৯৬০ সালে।

৬৭. প্রশ্নঃ ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের কোন জেলায় পাট বেশি জন্মে?

উঃ ফরিদপুর।

৬৮. প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?

উঃ ম্যানিলা।

৬৯. প্রশ্নঃ উফসী কী?

উঃ উন্নতজাতের আধুনিক ধান চাষ।

৭০. প্রশ্ন: পাট উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম দেশ কোনটি?

উঃ ভারত।

৭১. প্রশ্ন: পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় দেশ কোনটি?

উঃ বাংলাদেশ।

৭২. প্রশ্নঃ পাট রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ কোনটি?

উঃ বাংলাদেশ।

৭৩. প্রশ্ন: সম্প্রতি উদ্ভাবিত বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বীজ কী কী?

উঃ সোনার বাংলা-১, সুপার রাইস, হাইব্রিড হীরা।

৭৪. প্রশ্নঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত দুটি নতুন জাতের ধানের নাম কী?

উঃ ব্রি-৪৪, ব্রি-৪৫।

৭৫. প্রশ্ন: হাইব্রিড 'হীরা' ও 'সোনার বাংলা-১' কী?

উঃ সম্প্রতি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের নতুন ধান।

৭৬. প্রশ্নঃ জুটনের আবিষ্কারক কে?

উঃ ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুল্ল্যাহ।

৭৭. প্রশ্ন: একটি কাঁচা পাটের গাইডের ওজন কত?

উঃ সাড়ে তিন মণ।

৭৮. প্রশ্নঃ জুটন কী?

উঃ তৈরি এক প্রকার বস্ত্র। ৭০ ভাগ পাট ও ৩০ ভাগ তুলার সংমিশ্রণে

৭৯. প্রশ্ন: পাট বীজ বপন করা হয় কখন?

উঃ ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাসে।

৮০. প্রশ্ন: পাট কাটার সময় কখন?

উঃ জুন-সেপ্টেম্বর মাসে।

৮১. প্রশ্নঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাটকল কোনটি?

উঃ আদমজি পাটকল (বাংলাদেশে) (১৯৫১)।

৮২. প্রশ্নঃ আদমজি পাটকল কবে বন্ধ হয়ে যায়?

উঃ ৩০ জুন, ২০০২।

৮৩. প্রশ্ন: প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হয় কাকে?

উঃ নারায়ণগঞ্জকে।

৮৪. প্রশ্ন: সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের ধানের নাম কী?

উঃ সুপার রাইস।

৮৫. প্রশ্ন: 'বাংলামতি' কি?

উঃ এক ধরনের সুগন্ধি ধান।


পাট চাষ

৮৬. প্রশ্ন: পাটকে কী বলা হয়?

উঃ সোনালি আঁশ।

৮৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কী?

উঃ পাট।

৮৮. প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির কত ভাগে পাট চাষ করা হয়?

উঃ শতকরা ১০ ভাগে (প্রায়)।

৮৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কী পরিমাণ জমিতে পাট চাষ করা হয়?

উঃ ১০.০৮ লক্ষ একর।

৯০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে পাট ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র কোনটি?

উঃ নারায়ণগঞ্জ।

৯১. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থার কী নাম?

উঃ আইজেও (আন্তর্জাতিক পাট সংস্থা)।

৯২. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ১৯৮৪ সালে।

৯৩. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

উঃ ফার্মগেট, ঢাকায়।

৯৪. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থার সদস্য কয়টি?

উঃ ৩০টি।

৯৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?

উঃ ১১ এপ্রিল, ২০০০ সালে।

৯৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?

উঃ ঢাকার শেরে বাংলা নগরে।

৯৭. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থা কবে বিলুপ্ত হয়?

উঃ ১৯৫১ সালে।

৯৮. প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক পাট সংস্থা (IJO) এর পরিবর্তিত নাম কী?

উঃ IJSG 0 (আন্তর্জাতিক জুট স্টাডি গ্রুপ)।

৯৯. প্রশ্ন: IJSG কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ২৭ এপ্রিল, ২০০২ সালে।

১০০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাট গবেষণা বোর্ড কোথায় অবস্থিত?

উঃ মানিকগঞ্জে।

১০১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের পাটের বীজ কী কী?

উঃ বিজে, আর, ই আই তোষা (ও.এম.-১), বি. জে. আর, আই দেশি-৫ (বি. জে. সি. ৭৩৭০), বি. জে. আর. আই দেশি-৬ (বি. জে. সি-৮৩) এবং কেনাফজাত শেন পাট)।

১০২. প্রশ্নঃ পাটকে কয় শ্রেণীতে ভাগ করা হয়?

উঃ ৩ শ্রেণীতে। (ক) হোয়াইট (খ) তোসা ও (৩) মেসতা।

১০৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন জেলায় পাট বেশি জন্মে?

উঃ রংপুরে।

১০৪. প্রশ্নঃ দেশী (তোষা) পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের নেতৃত্ব দেন কোন বিজ্ঞানী?

উঃ ডঃ মাকসুদুল আলম।

১০৫. প্রশ্নঃ 'ও-৪' ও 'ও-৯৮-৯৭' কী।

উঃ উন্নত জাতের তোষা পাটের বীজ।

১০৬. প্রশ্নঃ 'তোষা' ডি-১৫৪ কী?

উঃ উন্নত জাতের পাট।

১০৭. প্রশ্ন: দ্বিতীয় চা উৎপাদনকারী জেলা কোনটি?

উঃ হবিগঞ্জ।

১০৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে চা গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে।

১০৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মোট চা বাগান কয়টি?

উঃ ১৬৪টি। 

১১০. প্রশ্নঃ পাটের জন্ম রহস্য উদ্ভাবনের গবেষণা করেন কে?

উঃ ড. মাকসুদুর আলম।


গম চাষ

১১১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে গম চাষের জমির পরিমাণ কত?

উঃ ১৭.৩২ লক্ষ একর।

১১২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন্ জেলায় বেশি গম উৎপাদিত হয়?

উঃ রংপুরে।

১১৩. প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রতি একরে গমের উৎপাদন কত?

উঃ ৮৩১ কেজি।

১১৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে উৎপন্ন উন্নত জাতের গমের নাম কী?

উঃ অঘ্রাণী-সোনালিকা, বলাকা, দোয়েল, আনন্দ, আকবর, কাঞ্চন, বরকত, জোপাটিবাদ, ইনিয়া ৬৬।


চা চাষ

১১৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল কোনটি?

উঃ চা।

১১৬. প্রশ্ন: বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চা চাষ শুরু হয় কবে?

উঃ ১৮৪০ সালে (চট্টগ্রাম ক্লাব প্রাঙ্গণে)।

১১৭. প্রশ্ন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথম চা চাষ শুরু হয় কবে?

উঃ ১৮৫৭ সালে।

১১৮. প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রথম চা বাগান কোনটি?

উঃ সিলেটের মালনিছড়া।

১১৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সর্বশেষ চা বাগান কোনটি?

উঃ ঠাকুরগাঁয়ে। (বি.দ্র. ঠাকুরগাঁও না থাকলে পঞ্চগড় দিতে হবে।)

১২০. প্রশ্ন: সম্প্রতি উৎপাদিত দেশের অর্গানিক চা এর নাম কী?

উঃ মীনা চা।

১২১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন জেলায় অর্গানিক চা উৎপাদন শুরু হয়েছে?

উঃ পঞ্চগড়ে।

১২২. প্রশ্নঃ কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি চা জন্মে?

উঃ মৌলভীবাজার জেলায়।

বিঃ দ্রঃ পঞ্চগড় জেলায় ২০০০ সালে ১টি, ২০০৫ সালে ৩টি ও ২০০৬ সালে ১টি চায়ের বাগানে চারা লাগানো হয়েছে ঠাকুরগাঁয়ে ২০০৯ সালে ১টি চা বাগানে চারা লাগানো হয় যেটি থেকে ২০১১ সালে উৎপাদন শুরু হয়, এগুলোসহ ১৬৪টি)।


১২৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে আরো বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে?

উঃ পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম জেলায়।

১২৪. প্রশ্নঃ চা চাষের জন্য প্রয়োজন কী?

উঃ অধিক বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ পাহাড়ি ঢালু অঞ্চল।

১২৫. প্রশ্ন: চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

উঃ এগারতম।

১২৬. প্রশ্ন: চা উৎপাদনে প্রথম দেশ কোনটি?

উঃ ভারত।

১২৭. প্রশ্নঃ চা রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ কোনটি?

উঃ কেনিয়া।

১২৮. প্রশ্নঃ টি মিউজিয়াম বা চা জাদুঘর কোথায় স্থাপিত হচ্ছে

উঃ মৌলভিবাজারের শ্রীমঙ্গলে।


কৃষি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য

১২৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় কোথায় রেশম গুটির চাষ হয়?

উঃ রাজশাহী জেলায়। তাছাড়া নবাবগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাষ হয়।

১৩০. প্রশ্নঃ রেশম বেশি উৎপন্ন হয় কোথায়?

উঃ নবাবগঞ্জ (রাজশাহী)।

১৩১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে রেশম বোর্ড কোথায় অবস্থিত?

উঃ রাজশাহীতে।

১৩২. প্রশ্ন : কোন জেলায় তামাক জন্মে বেশি?

উঃ রংপুরে।

১৩৩. প্রশ্ন: তুলা জন্মে কোন জেলায় বেশি?

উঃ যশোরে।

১৩৪. প্রশ্নঃ সফল ও অগ্রণী কী?

উঃ উন্নত জাতের সরিষা।

১৩৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় কোথায় রাবার উৎপন্ন হয়?

উঃ চট্টগ্রাম, মধুপুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের রামু নামক স্থানে।

১৩৬. প্রশ্নঃ রাবার চাষের জন্য বিখ্যাত স্থান কোনটি?

উঃ কক্সবাজারের রামু

১৩৭. প্রশ্ন: বাংলাদেশে রাবার চাষ শুরু হয় কবে?

উঃ ১৯৬৫ সালে।

১৩৮. প্রশ্ন: 'রূপালী' ও 'ডেলফোর্স' কী?

উঃ উন্নত জাতের তুলা শস্য।

১৩৯. প্রশ্ন: ইউরিয়া সার তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়?

উঃ মিথেন গ্যাস। 

১৪০. প্রশ্নঃ পাখি ছাড়া 'ময়না' কী?

উঃ উন্নত জাতের ধান।

১৪১. প্রশ্নঃ পাখি ছাড়া 'বলাকা', 'দোয়েল' কী শস্য?

উঃ উন্নত জাতের গম।

১৪২. প্রশ্নঃ সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম হাইব্রিড টমেটোর নাম কী?

উঃ মিন্টু।

১৪৩. প্রশ্নঃ 'গোল্ডেন ক্রস' 'কে ওয়াই ক্রস', 'গ্রীন এক্সপ্রেস', অ্যাটনাম-৭০' 'ড্রাম হেড' কী?

উঃ উন্নত জাতের বাঁধা কপি।

১৪৪. প্রশ্নঃ 'বর্ণালী' ও 'শুভ্র' কী?

উঃ উন্নত জাতের ভুট্টা।

১৪৫. প্রশ্নঃ 'ঝুমকা', 'সিঁদুর' 'শ্রাবণী' কী?

উঃ উন্নত জাতের টমেটো।

১৪৬. প্রশ্ন: ব্র্যাক উদ্ভাবিত হাইব্রিড ভুট্টার নাম কী?

উঃ উত্তরণ।

১৪৭. প্রশ্নঃ মোহনভোগ, লেংড়া, গোপালভোগ কীসের নাম? 

উঃ উন্নত জাতের আম। 

১৪৮. প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলায় বেশি আনারস উৎপন্ন হয়?

উঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলায়।

১৪৯. প্রশ্নঃ 'হাজী' ও 'দানেশ' উন্নত জাতের কোন ফসলের বীজের নাম?

উঃ মিষ্টি কুমড়া।

১৫০. প্রশ্ন: পাহাড়ি এলাকা আনারস চাষের ফলে কী হয়?

উঃ মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

১৫১. প্রশ্নঃ 'অগ্নিশ্বর', 'কানাইবাঁশী', 'মোহনবাঁশী, 'বীট জবা' 'অমৃতসাগর', 'মেহের সাগর', 'সিংগাপুরী' কী? 

উঃ উন্নত জাতের কলা।

১৫২. প্রশ্ন: বাংলাদেশে রেশম গুটির চাষ বেশি হয় কোথায়?

উঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জে।

১৫৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায়?

উঃ বরিশাল, খুলনা, নোয়াখালী ও যশোরে।

১৫৪. প্রশ্নঃ 'সুমাত্রা ও 'ম্যানিলা' স্থান ছাড়া কোন জাতীয় শস্যের নাম?

উঃ তামাক জাতীয় শস্য।

১৫৫. প্রশ্নঃ ইওরা, শুকতারা ও তারাপুরী কী?

উঃ উন্নত জাতের বেগুন।

১৫৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উঃ ঈশ্বরদীতে।

১৫৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ডাল গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উঃ ঈশ্বরদীতে।

১৫৮. প্রশ্ন: বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প কোনটি?

উঃ তিস্তা বাঁধ প্রকল্প (রংপুর)।

১৫৯. প্রশ্নঃ 'পদ্মা' নদী ব্যতীত কোন জাতীয় শস্যের বীজের নাম?

উঃ উন্নত জাতের তরমুজ।

১৬০. প্রশ্নঃ 'মধুবালা' কোন জাতীয় শস্যের বীজের নাম কি?

উঃ তরমুজ

১৬১. প্রশ্নঃ নদী ছাড়া 'যমুনা' কী?

উঃ মরিচ।

১৬২. প্রশ্নঃ নদী ছাড়া 'মহানন্দা' কী?

উঃ উন্নত জাতের আম।

১৬৩. প্রশ্নঃ 'বাহার', 'মানিক', 'রতন' কী?

উঃ উন্নত জাতের টমেটো।

১৬৪. প্রশ্নঃ 'ডায়মন্ড', 'কার্ডিনেল', 'কুফরী' ও 'সিন্দুরী' কী?

উঃ উন্নত জাতের আলু।

১৬৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মসলা গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উঃ বগুড়া।

১৬৬. প্রশ্ন: বাংলাদেশের আম গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

১৬৭. প্রশ্নঃ কোন ভূমিরূপটি বাংলাদেশে দেখা যায় না?

উঃ মালভূমি।

১৬৮. প্রশ্নঃ জুমচাষ করা হয় কোন এলাকায়?

উঃ পাহাড়ি এলাকায়।

১৬৯. প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি উদ্যান কোনটি?

উঃ গাজীপুর জেলার কাশিমপুরে।

১৭০. প্রশ্ন: তামাক বীজ বোনা হয় কখন?

উঃ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

১৭১. প্রশ্নঃ পেঁয়াজ বীজ বোনা হয় কখন? 

উঃ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

১৭২. প্রশ্ন: আলু বীজ লাগানো হয় কখন?

উঃ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

১৭৩. প্রশ্নঃ আমন ধান রোপণ করা হয় কখন?

উঃ জুলাই-আগস্ট মাসে।

১৭৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন বিজ্ঞানী সার ও বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার যন্ত্র আবিষ্কার করেন?

উঃ এটিএম জিয়া উদ্দিন।


পরিশেষেঃ 

প্রিয় পাঠক, আলোচনার পরিশেষে এসে বলা যায় যে, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের মাটি, বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বাংলাদেশের কৃষি বিষয়ে যে সকল তথ্যগুলো আজকের আর্টিকেল উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কুইজ প্রশ্ন উত্তর। বিগত সালের বিভিন্ন ধরনের বোর্ড পরীক্ষা থেকে কমন প্রশ্নগুলোকে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের লেখাগুলো পড়ে যদি আপনারা বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক তথা অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করে রাখতে পারেন এবং একই সাথে আরোও নতুন নতুন তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকতে পারেন। ধন্যবাদ।। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post