সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ
সাধারণত ভূগর্ভস্থ হতে যে সম্পদ উত্তোলন করা হয় তাকে খনিজ সম্পদ বলে। এটি সাধারণত প্রাকৃতিক নিয়মেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। খনিজ সম্পদ বাংলাদেশের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা ভূগর্ভস্থ হতে যে খনিজ সম্পদ গুলো পেয়ে থাকি সেগুলো হচ্ছে- প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও চুনাপাথর। এছাড়াও তামা, সোনা, রুপা ও দস্তা পাওয়া যায়।
খনিজ সম্পদ মানবসভ্যতার জন্য সৃষ্টিকর্তা হতে একটি নিয়ামত স্বরূপ। খনিজ সম্পদ একটি দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে সকল ভূমিকা রাখে তা হচ্ছে- জ্বালানি ও শক্তির উৎস, শিল্পোন্নয়ন, শিল্পের কাঁচামাল, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি, পরিবহন ও যোগাযোগ, যন্ত্রপাতি তৈরি, অবকাঠামো নির্মাণ, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ, অলংকার তৈরি এবং সভ্যতার বিকাশ গঠনে খনিজ সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রিয় পাঠক, আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
![]() |
সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ গুলো কি কি? বিস্তারিত আলোচনা। |
বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান কুইজ
১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কী?
উঃ প্রাকৃতিক গ্যাস।
২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
উঃ ১৯৫৫ সালে (সিলেটের হরিপুরে)।
৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কত সালে?
উঃ ১৯৫৭ সালে।
৪. প্রশ্নঃ বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র কয়টি?
উঃ ২৮টি (বিঃ দ্রঃ ২৮টি না থাকলে ২৬টি দিতে হবে।)
৫. প্রশ্নঃ গ্যাস উত্তোলনের জন্য সমগ্র দেশকে কয়টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে?
উঃ ২৩টি ব্লকে।
৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বড় গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?
উঃ তিতাস।
৭. প্রশ্নঃ সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় কোন গ্যাসক্ষেত্র থেকে?
উঃ তিতাস।
৮. প্রশ্নঃ তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৯. প্রশ্নঃ ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয় কোন ক্ষেত্র থেকে?
উঃ তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
১০. প্রশ্নঃ বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ কুমিল্লা।
১১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের গ্যাসের সিস্টেম লস কত?
উঃ ২০% (সূত্রঃ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৪)।
১২. প্রশ্নঃ গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোন ক্ষেত্রে?
উঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
১৩. প্রশ্নঃ গ্যাস ব্যবহারের দিকগুলো কী কী?
উঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্র-৪১ ভাগ, সার কারখানা-৮ ভাগ, ইন্ডাস্ট্রিজ-১৭ ভাগ, গৃহস্থালীতে-১১ ভাগ, বাণিজ্যিক-১ ভাগ, ক্যাপটিভ পাওয়ার-১৭ ভাগ, চা শিল্প-০.০৬ ভাগ, সিএনজি-৫ ভাগ। (উৎস-অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৪)।
১৪. প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের বছরওয়ারী উৎপাদন কত?
উঃ ৪০৫.৫৬ বিলিয়ন ঘনফুট।
১৫. প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের বছরে খাতওয়ারি ব্যবহার কত?
উঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্র-১৬৯.২ বিলিয়ন ঘনফুট, শিল্পখাতে- ৬৮.৯ বিলিয়ন ঘনফুট, ক্যাপটিভ- ৭০.৪ বিলিয়ন ঘনফুট, সিএনজি- ১৮.৯ বিলিয়ন ঘনফুট, বাণিজ্যিক- ৪.৪ বিলিয়ন ঘনফুট, গৃহস্থলী-৪৮.২ বিলিয়ন ঘনফুট, সার কারখানা- ৩০.৮ বিলিয়ন ঘনফুট, চা বাগান- ০.৬ বিলিয়ন ঘনফুট।
১৬. প্রশ্নঃ সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রটির নাম কী?
উঃ রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে)।
১৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত "রূপগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র" কত নং ব্লকে অবস্থিত?
উঃ ৯ নং ব্লকে।
১৮. প্রশ্নঃ রূপগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উঃ বাপেক্স।
১৯. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র 'শ্রীকাইল' কত নং ব্লকে অবস্থিত?
উঃ ৯নং ব্লকে।
২০. প্রশ্নঃ শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উঃ বাপেক্স।
২১. প্রশ্নঃ কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয় কবে?
উঃ ২০ এপ্রিল, ২০১৩ সালে।
২২. প্রশ্নঃ নোয়াখালির সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় কবে?
উঃ ১৭ মার্চ ২০১২ সালে।
২৩. প্রশ্নঃ সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উঃ বাপেক্স।
২৪. প্রশ্নঃ 'সুনেত্র' গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায়।
২৫. প্রশ্নঃ সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্রটি কত নং ব্লকে অবস্থিত?
উঃ ১১নং ব্লকে।
২৬. প্রশ্নঃ সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্রটি আবিস্কার করে কোন সংস্থা?
উঃ বাপেক্স।
২৭. প্রশ্নঃ সম্প্রতি বাংলাদেশের কোন জেলায় গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উঃ রাজশাহী জেলায় (৭ জুন ২০১৩ সালে ২৭তম জেলা হিসেবে)।
২৮. প্রশ্নঃ সম্প্রতি সর্বশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে গৃহস্থালির কাজে গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উঃ ভোলা জেলা (২৮ আগস্ট ২০১৩ সালে ২৮তম জেলা হিসেবে)।
২৯. প্রশ্নঃ সম্প্রতি আবিষ্কৃত কুমিল্লার মুরাদনগরের ভাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রটি কত নং ব্লকে পড়েছে?
উঃ ৯নং ব্লকে।
৩০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে কয়টি গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে?
উঃ ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া)।
৩১. প্রশ্নঃ দেশের প্রথম সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্রটির নাম কী?
উঃ সাঙ্গু।
৩২. প্রশ্নঃ সাঙ্গু কত নং ব্লকে পড়েছে?
উঃ ১৬নং।
৩৩. প্রশ্নঃ সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কবে সরাসরি জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উঃ ১২ জুন, ১৯৯৮ সালে।
৩৪. প্রশ্নঃ সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কারা গ্যাস উত্তোলন করে?
উঃ কেয়ার্ন এনার্জি।
৩৫. প্রশ্নঃ সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উঃ ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট
৩৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন খনির কাজ করে কোন দেশীয় সংস্থা?
উঃ BAPEX (বাপেক্স) Bangladesh Petroleum Exploration & Production Company Limited.
৩৭. প্রশ্নঃ BAPEX কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৯৮৩ সালে।
৩৮. প্রশ্নঃ দেশে এ পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলনের পরিমাধ কত?
উঃ ১১.৭২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
৩৯. প্রশ্নঃ মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে কবে?
উঃ ১৪ জুন, ১৯৯৭।
৪০. প্রশ্নঃ মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উঃ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানায়।
৪১. প্রশ্নঃ দেশের কোন পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উঃ ফেনী গ্যাসক্ষেত্রে।
৪২. প্রশ্নঃ মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র খনন করে কোন কোম্পানি?
উঃ অক্সিডেন্টাল (যুক্তরাষ্ট্র)।
৪৩. প্রশ্নঃ দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসের মোট মজুদ কত?
উঃ ৩৭.৬৮০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
৪৪. প্রশ্নঃ টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে কবে?
উঃ ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন, ২০০৫ সালে।
৪৫. প্রশ্নঃ দেশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদের পরিমাণ কত?
উঃ ২৭.০৩৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
৪৬. প্রশ্নঃ টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত কোম্পানি কোনটি এবং কোন দেশের?
উঃ কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো।
৪৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
উঃ ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ সালে (হরিপুরে)।
৪৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন কয়লা খনিতে রূপা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উঃ দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লা খনিতে।
৪৯. প্রশ্নঃ দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তেল উৎপাদন শুরু হয় কবে?
উ: ১৯৮৭ সালে।
৫০. প্রশ্নঃ তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কবে?
উঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সালে।
৫১. প্রশ্নঃ দেশে একমাত্র তেল শোধনাগার কোনটি?
উঃ ইস্টার্ন রিফাইনারী লিঃ (চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়)।
৫২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কী?
উঃ মিথেন।
৫৩. প্রশ্নঃ বর্তমান বাংলাদেশের কতটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে?
উঃ ১৯টি (৮০টি কূপ হতে)।
৫৪. প্রশ্নঃ কয়টি গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ?
উঃ ২টি (ছাতক, কামতা)।
৫৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে চীনা মাটি পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ নেত্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা, চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
৫৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে চুনাপাথর পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ সিলেটের টেকেরহাট, ভাঙ্গারহাট, জাফলং, লালঘাট ও বাগলিবাজার, জয়পুরহাট, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে।
৫৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কয়লা পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া, দীঘিপাড়ায় ফুলবাড়ি, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি, নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, সিলেটের লালঘাট ও টেকেরহাট, ফরিদপুরের চান্দা ও রাখিয়া বিল, খুলনার কোলা বিল।
৫৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বড় কয়লা খনি কোনটি?
উঃ দিনাজপুর জেলার দীঘিপাড়া।
৫৯. প্রশ্নঃ দেশে আবিষ্কৃত সবশেষ কয়লা খনি কোনটি?
উঃ দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা।
৬০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সিলিকা বালি পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের বালিঝুরি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।
৬১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কঠিন শিলা পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া।
৬২. প্রশ্নঃ খনিজ তেল পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ সিলেটের হরিপুরে।
৬৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় গন্ধকের সন্ধান পাওয়া যায়?
উঃ কুতুবদিয়ায়।
৬৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন কয়লা খনিতে সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উঃ দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লা খনিতে।
৬৫. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন্ কয়লা খনিতে দস্তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উঃ দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলা।
৬৬. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে?
উঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পাহাড়ে।
৬৭. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত 'জীবাশ্ম জ্বালানি' কি কি?
উঃ কয়লা, পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাস।
৬৮. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় তেজস্ক্রিয় বালি আছে?
উঃ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে।
৬৯. প্রশ্নঃ তেজস্ক্রিয় বালির নাম কি?
উঃ ইলমেনাইট।
৭০. প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কোথায় কোথায় তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে?
উঃ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
৭১. প্রশ্নঃ দেশে পাওয়া তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থগুলো কি কি?
উঃ জিরকন, মোনাজাইট, রিওটাইল, ইলমেনাইট, লিউকক্সিন, কায়ানাইট, গারনেট, ম্যাগনেটাইট ইত্যাদি।
৭২. প্রশ্নঃ Black Gold বা 'কালো সোনা' কি?
উঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ও সেন্ট মার্টিনে পাওয়া তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থগুলোকে Black Gold বা কালো সোনা বলা হয়।
৭৩. প্রশ্নঃ দেশে প্রাপ্ত সবচেয়ে উন্নতমানের কয়লার নাম কি?
উঃ বিটুমিনাস কয়লা।
৭৪. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোথায় উন্নতমানের কয়লা পাওয়া গেছে?
উঃ জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে।
৭৫. প্রশ্নঃ চীনা মাটির সন্ধান পাওয়া যায় কোথায়?
উঃ বিজয়পুরে (নেত্রকোনা)।
৭৬. প্রশ্নঃ দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি ও ২৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয় কবে?
উঃ ২৩ এপ্রিল, ২০০৩।
৭৭. প্রশ্নঃ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয় কবে?
উঃ ১৯৮৫ সালে।
৭৮. প্রশ্নঃ বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির আয়তন কত?
উঃ ৬.৬৮ বর্গ কিলোমিটার।
৭৯. প্রশ্নঃ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির মোট কয়লা মজুদের পরিমাণ কত?
উঃ ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
৮০. প্রশ্নঃ বড় পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কোন শ্রেণীর কয়লা পাওয়া গেছে?
উঃ বিটুমিনাস।
৮১. প্রশ্নঃ বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রকল্প ব্যয় কত?
উঃ ২৫১.০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৮২. প্রশ্নঃ দেশের প্রথম কয়লা শোধনাগার 'বিরামপুর হার্ড কোল লি'-এর অবস্থান কোথায়?
উঃ দিনাজপুরে।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক, আলোচনার পরিশেষে এসে বলা যায় যে, একটি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি হচ্ছে সেই দেশের খনিজ সম্পদ। যে দেশ খনিজ সম্পদে উন্নত, সেই দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। ২০২৫ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে মজুদকৃত খনিজ সম্পদের মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও বাংলাদেশ সরকার প্রথম দিকে এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করেননি তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের প্রতি সরকারের মননিবেশ খুবই ভালো।