বাগধারা কাকে বলে? গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা গুলোর অর্থ এবং বাক্য রচনা

বাগধারা কাকে বলে?

'বাক' শব্দের অর্থ কথা, শব্দ; আর 'ধারা' বলতে বোঝায় কোন বিশেষ রীতি বা ভঙ্গি। বাগধারা বা বাগবিধি ভাষা বিশেষের সৌন্দর্য ও শক্তির পরিচায়ক। এক বা একাধিক শব্দের মিলনে কোন লক্ষ্যার্থ প্রকাশ করাই হলো বাগধারার উদ্দেশ্য। এর দ্বারা অতি সহজে কোন নির্দিষ্ট ভাবকে ভাষায় প্রকাশ করা যায়। বাগধারাকে 'বাকচাল' 'বাকভঙ্গি' 'বাগবিধি'ও বলা হয়ে থাকে। নিচে কিছু বাগধারার অর্থ প্রথম বন্ধনির মধ্যে উল্লেখ করে সেগুলির বাক্যে গঠন করে দেখানো হলো:

বাগধারা কাকে বলে? বাগধারা দিয়ে বাক্য গঠন করার নিয়ম
গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা সমূহের অর্থ ও বাক্যে রচনা।

গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা সমূহের অর্থ ও বাক্য রচনা: 

অমাবস্যার চাঁদ (অদর্শনীয়): কি শিমু। দেখাই যায় না যে, একেবারে অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠলে নাকি? 

অগাধ জলের মাছ (অতিরিক্ত চালাক): রিয়া অগাধ জলের মাছ তাকে চেনা অত সহজ নয়।

অগস্ত্য যাত্রা (চিরতরে প্রস্থান): মায়ের সাথে ঝগড়া করে ছেলেটি সেই যে অগস্ত্য যাত্রা করল আর ফিরে এল না।

অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া): কুখ্যাত সন্ত্রাসী শাওন সড়ক দুর্ঘটনায় অক্কা পেয়েছে।

অহি-নকুল সম্পর্ক (চিরশত্রুতা): স্বার্থের কারণে দুভায়ের মধ্যে এমন অহি-নকুল সম্পর্ক যে একজন আরেকজনের কথা শুনতেই পারে না।

অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া (অনুমানের উপর নির্ভর করা): অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে আসল বিষয় জানার চেষ্টা করো।

আক্কেল সেলামি (বোকামির দন্ড): নিজের ভুলের জন্যই এতগুলো টাকা আক্কেল সেলামি দিতে হলো।

আদা জল খেয়ে লাগা (উঠে পড়ে লাগা): পরীক্ষায় পাস করার জন্য হ্যাপি এবার আদা জল খেয়ে লেগেছে।

ইঁদুর কপালে (মন্দ ভাগ্য): মেয়েটি এমন ইঁদুর কপালে যে জন্মের পর মা হারিয়েছে, দুদিন হলো বাপও মারা গেছে।

উত্তম-মধ্যম (মার-ধোর): চোরটিকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দাও।

উড়ো চিঠি (বেনামি চিঠি): উড়ো চিঠি পেলেও সতর্ক হওয়া ভাল।

একচোখা (পক্ষপাতদুষ্ট): তোমার একচোখা নীতির জন্যই সবাই সমালোচনা করে।

একাদশে বৃহস্পতি (সৌভাগ্য): তোমার তো এখন একই সাথে ছেলের চাকরি ও মেয়ের বিয়ে একাদশে বৃহস্পতি। 

ওজন বুঝে' চলা (আত্মসম্মান রক্ষা করা): নিজের ওজন বুঝে না চললে বিপদ তো হবেই।

ওষুধ ধরা (ফল লাভ): মায়ের আদেশে ছেলেটির চাল চলনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, মনে হয় ওষুধ ধরেছে।

কথার কথা (গুরুত্বহীন কথা): গতকাল যে বিষয়ে বলেছিলাম, সে বিষয়ে কোন উদ্যোগ নিও না, ওটা ছিল কথার কথা।

কাঁচা পয়সা (নগদ টাকা): কিছু দিন আগেও সে গরিব ছিল, বর্তমানে কাঁচা পয়সার মানুষ হয়ে গরিবকে দেখতেই পারে না।

কেঁচে গণ্ডুষ (নতুন করে আরম্ভ করা): সারা বছর লেখা পড়া করলেও পরীক্ষার আগে পুরাতন পাঠগুলো কেঁচে গুড়ুষ না করলে ভাল ফল আসা করা যায় না।

খয়ের খাঁ (গুণগায়ক): বিচক্ষণ রাজনীতিবিদরা খয়ের খাঁদের পছন্দ করেন না।

খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সমর্থন): খুঁটির জোর ছাড়া দুর্নীতি করে রেহাই পাওয়া যায় না।

গলগ্রহ (পরের বোঝা হয়ে থাকা): লেখাপড়া করেছ, এখন আর বাবার গলগ্রহ না হয়ে একটা কিছু করো।

গড্ডালিকা প্রবাহ (অন্যের অন্ধ অনুকরণ): গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিজের বুদ্ধিমত চলা ভাল।

গৌরচন্দ্রিকা (ভূমিকা): গৌরচন্দ্রিকা বাদ দিয়ে আসল কথা বলো।

গোবরে পদ্ম ফুল (নীচ বংশে মহৎ ব্যক্তি): অত্যন্ত দরিদ্র ও অশিক্ষিত পরিবারের ছেলে নিজ যোগ্যতার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন, এ যেন গোবরে পদ্মফুল।

ঘাটের মড়া (অতি বৃদ্ধ): সুন্দরী মেয়েটাকে মা টাকার লোভে ঘাটের মড়ার সাথে বিয়ে দিল?

ঘোড়া রোগ (অতিরিক্ত প্রত্যাশা): ঘোড়া রোগ থাকলে শান্তি পাওয়া যায় না।

চোখের বালি (বিরক্তির কারণ): কারো চোখের বালি না হয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলা ভাল।

চিনির বলদ (যে খাটে অথচ ফল পায় না): সারা জীবন চিনির বলদের মত কাজ করেই গেলাম, সুখ-শান্তি কিছু বুঝলাম না।

চাঁদের হাট (আনন্দের প্রাচুর্য): ধনে-জনে হামিদ সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।

চক্ষুদান (চুরি করা): চক্ষুদান স্বভাবটা বাদ দিতে পারলে মিজানকে সবাই ভাল বলতো।

ছাই চাপা আগুন (অপ্রকাশিত প্রতিভা): শান্তনুর মধ্যে ছাই চাপা আগুন আছে, একদিন সে মানুষ হবেই।

ছ-কড়া ন-কড়া (সস্তা): এত সুন্দর বাড়িটা ছ-কড়া ন-কড়া করে বিক্রি করা ঠিক হয় নি।

ছিনিমিনি খেলা (অপব্যয় করা): টাকা পয়সা নিয়ে ছিনিমিনি খেলো না, সময়ে কাজ দেবে।

জিলাপির প্যাঁচ (কূটবুদ্ধি): নয়নকে সহজ মনে হলেও ওর মধ্যে রয়েছে জিলাপির প্যাঁচ।

জগদ্দল পাথর (কঠিন বিষয়): দায়িত্বটা যেন আমার উপর জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে আছে।

ঝাঁকের কৈ (একই দলভুক্ত): পরীক্ষায় নকল চলে বলে সবাইকে ঝাঁকের কৈ ভাবা ঠিক নয়, ভাল ছেলে-মেয়েরা নকল করে না।

ঝোপ বুঝে কোপ মারা (অবস্থা বুঝে সুযোগ গ্রহণ): ঝোপ বুঝে কোপ মারার কৌশল চয়নের জানা আছে।

টনক নড়া (সচেতন হওয়া): ছেলে মেয়ের কোন খোঁজ রাখতো না ছেলে এখন সন্ত্রাসী আর মেয়ে প্রমোদবালা এবার বাবা-মায়ের টনক নড়েছে।

টক্কর দেওয়া (প্রতিযোগিতা করা): খান সাহেবের সাথে টক্কর দেয়া আমাদের ঠিক হবে না।

টাকার গরম (অর্থের অহংকার): টাকার গরমে মুরুব্বিদের অপমান করা মূর্খের কাজ।

ঠোঁট কাটা (স্পষ্ট বক্তা): ঠোঁট কাটা লোকদের মেকি সমাজে মূল্য নেই।

ঠাট বজায় রাখা (চাল চলন ঠিক রাখা): ঠাট বজায় রেখে লাভ নেই, নিজের সামর্থ অনুযায়ী চলো।

ডুবে ডুবে জল খাওয়া (গোপনে কাজ করা): মেহের যে ডুবে ডুবে জল খায়, সে খবর আমার জানা আছে।

ডুমুরের ফুল (যার দেখা পাওয়া যায় না): আগে এত আসতে, চাকরি পেয়ে যে একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছ।

ঢাক ঢাক গুড় গুড় (লুকোচুরি): ঢাক ঢাক গুড় গুড়ের কিছু নেই, বিষয়টি এখন সবাই জানে।

ঢাকের কাঠি (অকর্মণ্য সঙ্গী): সুবর্নের মতো ঢাকের কাঠির সাথে সম্পর্ক থাকা না থাকায় কিছু এসে যায় না।

তীর্থের কাক (দীর্ঘ প্রতীক্ষাকারী): সামান্য সাহায্যের জন্য গরীব মানুষগুলো সেই থেকে তীর্থের কাকের মত বসে আছে।

তুলসী বনের বাঘ (ভন্ড সাধু): তুলসী বনের বাঘেরাই ক্ষতি করে।

তুষের আগুন (দীর্ঘ স্থায়ী মানসিক যন্ত্রণা): সন্তান হারানো তুষের আগুন সবাই এর জ্বালা বোঝে না।

থোতা মুখ ভোঁতা হওয়া (গর্ব চূর্ণ হওয়া): ছেলের জন্যই তার থোতা মুখ ভোঁতা হলো।

দহরম মহরম (অন্তরঙ্গ সম্পর্ক): তাদের দুজনের মধ্যে বেশ দহরম মহরম আছে।

দা-কুমড়া সম্পর্ক (শত্রুতা): দুই ভায়ের মধ্যে এখন দা-কুমড়া সম্পর্ক।

দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু): নিজের অবস্থা ভাল হলে দুধের মাছির অভাব হয় না।

দাঁও মারা (লাভ করা): পিঁয়াজের ব্যবসায় এবার অনেকেই দাও মেরেছে।

ধামাধরা (তোষামোদকারী): ধামা ধরাদের জন্যই সমাজের আইন-শৃংক্সখলার এ দুর্দশা।

ধরাকে সরা জ্ঞান করা (কোন কিছুকে তুচ্ছ মনে করা): কটা টাকার মানুষ হয়েই ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছ?

ধরি মাছ না ছুঁই পানি (এমনভাবে কাজ করা যাতে দায়িত্ব থাকে না): এ বিষয়ে আমার ভূমিকা ধরি মাছ না ছুঁই পানি।

ননীর পুতুল (অত্যন্ত আদুরে): তোমার মত ননীর পুতুলকে দিয়ে কাজ হবে না।

নিজের কোলে ঝোল টানা (স্বার্থপর): সম্পার মা নিজের কোলে ঝোল টানা ছাড়া কিছু বোঝে না।

নাক উঁচু (অহংকারী): বিয়ের ব্যাপারে অত নাক উঁচু করো না নিজের দিকটা একটু ভাবো।

নেই আঁকড়া (না-ছোড় বান্দা): তার মতো নেই আঁকড়া লোকের সাথে তোমার কথা বলতে যাওয়া ঠিক হয় নি।

পায়াভারী (অহংকারী): পায়াভারী স্বভাব ভাল না।

পুকুর চুরি (বড় রকমের চুরি): কর্মচারীদের পুকুর চুরির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পথে।

পুঁটি মাছের প্রাণ (ক্ষুদ্রপ্রাণ ব্যক্তি): পুঁটি মাছের প্রাণ নিয়ে বড় কাজ করা যায় না।

পাকা ধানে মই দেওয়া (প্রায় সমাপ্ত কাজ পন্ড করে দেওয়া): সে আমার সাথে এমন ব্যবহার করল যেন আমি তার পাকা ধানে মই দিয়েছি।

ফেঁপে উঠা (ধনবান হওয়া): চাঁদাবাজি করে লোকটা ফেঁপে উঠেছিল, এবার ধরা পড়েছে।

ফাঁদে পা দেওয়া (চক্রান্ত না বুঝে বিপদে পড়া): আগে জানলে কি আর কেউ ফাঁদে পা দেয়?

বক ধার্মিক (ভন্ড): বক ধার্মিক লোকেরা মেকি মুখোশে আদর্শের কথা বলে বেড়ায়।

বালির বাঁধ (অতোই যা নষ্ট হয়ে যায়): ধনীর সাথে বন্ধুত্ব যেন বালির বাঁধ, দুদিনেই শেষ হয়ে যায়।

বিড়াল তপস্বী (ভন্ড লোক): সাধু সেজে থাকা বিড়াল তপস্বীদের বড় গুণ।

ভেজা বিড়াল (দায়ে পড়ে ভাল মানুষ): মৌটুসী আস্ত ভেজা বিড়াল তাকে বিশ্বাস করো না।

জুঁই ফোঁড় (হঠাৎ আবির্ভূত): নির্বাচনের সময় অনেক জুঁই ফোঁড় নেতা দেখা যায়।

মাছের মা (নিজের সন্তানের জন্য মায়া নেই এমন মা): দুটো সন্তান রেখে মহিলা অন্যের ঘরে চলে গেল, ঠিক যেন মাছের মা।

মাকাল ফল (অন্তঃসারশূন্য): মীনা সুন্দরী কিন্তু কোন কাজের নয়, ঠিক যেন মাকাল ফল।

মগের মুল্লুক (অরাজকতা): জোর করে জমি দখল করে রাখবে মগের মুল্লুক পেয়েছ নাকি?

মিছরির ছুরি (মুখে মধু অন্তরে বিষ): ডলির কথা যেন মিছরির ছুরি, শুনতে ভাললাগে কিন্তু অন্তরে গিয়ে ঘা লাগে।

যমের দোসর (ভয়ানক লোক): গ্রামের মাতব্বর যমের দোসর তার থেকে সবাই দূরে থাকতে চায়।

রগচটা (যে একটুতেই রেগে যায়): রগচটা লোক রাজনীতি করতে পারে না।

রাবণের চিতা (দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ): একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে বৃদ্ধার অন্তর রাবণের চিতার মত জ্বলছে।

লেফাফা দুরস্ত (অতিরিক্ত বাবুভাব): লেফাফা দুরস্ত স্বভাব বাদ দিয়ে কাজে মন দাও।

লালবাতি জ্বলা (ব্যবসা গুটানো): বেহিসেবি হলে দোকানে তো লালবাতি জ্বলবেই।

শাপে বর (মন্দের বদলে ভাল হওয়া): বাড়ি থেকে চলে গিয়ে তার শাপে বর হয়েছে, সে এখন একজন বড় অফিসার।

শাঁখের করাত (উভয় সংকট): একদিকে জামাই অন্যদিকে ছেলে, কেউ কাউকে দেখতে পারে না; এ যেন শাখের করাতের মধ্যে পড়েছি।

শিরে সংক্রান্তি (আসন্ন বিপদ): আমার এখন শিরে সংক্রান্তি আর তুমি রসিকতা করছো।

শনির দৃষ্টি (কুদৃষ্টি): শনির দৃষ্টির মধ্যে আছি যা করতে যাই তাতেই লোকসান।

ষোল আনা (সম্পূর্ণ): ষোল আনা সুখী লোক পাওয়া যায় না।

সাক্ষী গোপাল (নিষ্ক্রীয় দর্শক): সাক্ষী গোপালের মত সবাই দাঁড়িয়ে দেখলো ছিনতাইকারী কিভাবে ছিনতাই করে।

সাপে নেউলে (প্রচন্ড শত্রুতা): সুস্মিতা ও সুমির মধ্যে এখন শাপে নেউলে সম্পর্ক দুদিন আগেও ছিল গলায় গলায় ভাব।

সরিষার ফুল দেখা (চোখে অন্ধকার দেখা): ঠিকমত লেখা পড়া না করলে পরীক্ষার সময় চোখে সরিষার ফুল দেখতে হবে।

সোনার পাথর বাটি (অসম্ভব বস্তু): তোমার গন্তব্য আমার কাছে সোনার পাথর বাটির মতো মনে হলো।

হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল): পাঁচশ' টাকায় এখন আমার হাতের পাঁচ এ থেকে ধার দিতে পারবো না।

হ-য-ব-র-ল (বিশৃংক্সখলা): অঙ্কের উত্তর এমন হ-য-ব-র-ল করে লিখেছ কেন?

হাতটান (চুরির অভ্যাস): নয়নের হাতটানের অভ্যাস আছে।

হাটে হাঁড়ি ভাঙা (গোপন কথা প্রকাশ করা): আমার সাথে দুই নম্বরী করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেব।


পরিশেষেঃ 

আলোচনার পরিশেষে এসে বলা যায় যে, আজকের উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা তুলে ধরেছি। যাহা সব সময়ই বিভিন্ন পরীক্ষা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর পরীক্ষা, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা এবং কখনো কখনো বিভিন্ন ভাইভা পরীক্ষার বোর্ডেও আসতে দেখা গিয়েছে। ভবিষ্যতে এই পোস্টটি আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা প্রশ্ন যুক্ত করে আর্টিকেলটি বড় করবো ইনশাআল্লাহ। 

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url