মাস্টার্স প্রিলিমিনারি মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত সাজেশন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
(অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
____________________°___________________
প্রিয় পাঠক এবং মাস্টার্স প্রথম পর্বের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মাস্টার্স প্রথম পর্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের, "সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান" বই থেকে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে। আমি মনেকরি আপনারা সবাই জানেন যে, মাস্টার্স প্রথম পর্ব পরীক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান বইয়ের (ক-বিভাগ) থেকে ১০ নম্বরের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বা সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন থাকে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষাগুলোতেও এই প্রশ্ন উত্তরগুলো আসতে দেখা গিয়েছে। তাই আজ আমি আপনাদের কাছে উক্ত বিষয়ের অতি গুরুত্বপুর্ণ বেশকিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলো তুলে ধরলাম। ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে আশাকরি আপনারা সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
![]() |
মাস্টার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান মৌখিক পরীক্ষার সাজেশন |
১. সামাজিক গবেষণা কি?
উত্তরঃ গবেষণা হলো প্রণালিবদ্ধ অনুসন্ধান। সুতরাং সমাজের কোন ঘটনাকে সুশৃঙ্খল, প্রণালিবদ্ধ, যুক্তিনিষ্ঠ ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করাকে সামাজিক গবেষণা বলে।
২. সমাজ গবেষণায় কি কি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ সমাজ গবেষণায় ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো হলো:
- দার্শনিক পদ্ধতি
- ঐতিহাসিক পদ্ধতি
- নৃ-তাত্ত্বিক পদ্ধতি
- ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি
- জরিপ পদ্ধতি
- বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ পদ্ধতি
- পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি।
৩. কি কারণে গবেষণা পরিচালিত হয়?
উত্তরঃ দু'টি বিশেষ কারণে গবেষণা পরিচালিত হয়। যথা-
- জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ানোর জন্য ও
- বাস্তব সমস্যাকে সমাধানের জন্য।
৪. কয়েকজন সমাজ গবেষকের নাম বল?
উত্তরঃ সমাজ গবেষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেনঃ
- Barry F. Anderson
- Eart R. Babble
- G. A Lundberg.
৫. মৌলিক গবেষণা কি?
উত্তরঃ মৌলিক গবেষণা হলো মূল বা আদি গবেষণা। মৌলিক গবেষণাকে অনেক সময় Pure Research কিংবা Fundamental Research ইত্যাদি নামেও উল্লেখ করা হয়। কাজেই যে গবেষণা শুধু জ্ঞান অর্জনের জন্য পরিচালিত হয় তাকে মৌলিক গবেষণা বলে।
৬. মৌলিক গবেষণার দুটি প্রধান দিক কি কি?
উত্তরঃ মৌলিক গবেষণার দুটি প্রধান দিক হলো:
- নতুন তত্ত্বের উন্নয়ন এবং
- পুরাতন তত্ত্বের যাচাই।
৭. মৌলিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তরঃ সমাজ উন্নয়নে সামাজিক গবেষণার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। নিম্নে সামাজিক গবেষণার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
- সামাজিক গবেষণা সামাজিক কুসংস্কার এবং অজ্ঞানজনিত বিপদ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।
- এ গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
- সামাজিক গবেষণা সামাজিক পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে সাহায্য করে থাকে।
- সামাজিক গবেষণা সতর্কীকরণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সাহায্য করে।
- অনুসন্ধান পদ্ধতির সামাজিক গবেষণার মাধ্যমে করা যায়।
৮. ফলিত গবেষণা কি?
উত্তরঃ অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে মানুষ ও সমাজের কল্যাণে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার গবেষণাকে ফলিত গবেষণা বলে। ফলিত গবেষণাকে মাঠ গবেষণাও বলা হয়ে থাকে।
৯. কার্যক্রম গবেষণা কি?
উত্তরঃ ফলিত গবেষণার মাধ্যমে গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচির প্রয়োগ এবং কার্যকারিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুততার সাথে যে সমস্ত গবেষণা করা হয় তাকেই মূলত কার্যক্রমগত গবেষণা বলে। এ গবেষণার অন্যতম কাজ হলো বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যকারিতা মূল্যায়ন ও তা সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দিক নির্দেশ করা।
১০. বর্ণনামূলক গবেষণা কি?
উত্তরঃ যখন কোন গবেষণায় কোন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী, উপজাতি কৃষক বা গৃহস্থ পরিবারের জীবনযাত্রার উপর বিস্তৃত বর্ণনামূলক আলোচনা লিপিবদ্ধ করা হয়, তখন সে ধরনের গবেষণাকে বর্ণনামূলক গবেষণা বলে। এরূপ গবেষণায় চলকের উপর গবেষকদের কোন হাত থাকে না।
১১. প্রান্তিক মূল্যায়ন কি?
উত্তরঃ কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তার সফলতা এবং ব্যর্থতা যাচাইয়ের জন্য যে মূল্যায়ন গবেষণা পরিচালনা করা হয় তাকে প্রান্তিক মূল্যায়ন বলে।
১২. পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন কি?
উত্তরঃ প্রকল্প বাস্তবায়নকালে ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট সময় পর পর যে মূল্যায়ন করা হয় তাকে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বলা হয়।
১৩. সহগামী মূল্যায়ন কি?
উত্তরঃ কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন কালে অবিরত যে মূল্যায়ন চলতে থাকে তাকে সহগামী মূল্যায়ন বলে।
১৪. অংশগ্রহণ বিহীন গবেষণা কি?
উত্তরঃ গবেষণাধীন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া যে গবেষণা হয় তাকে অংশগ্রহণ বিহীন গবেষণা বলে।
১৫. তত্ত্ব কি?
উত্তরঃ তত্ত্ব হলো দুটি প্রত্যয় বা ধারণার মধ্যকার সম্পর্ক সম্বন্ধে একটি সাধারণ বিবৃতি।
১৬. তথ্য (Fact) কি?
উত্তরঃ কোন গবেষক যদি তাঁর গবেষণা কাজের জন্য মাঠ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সূত্র আবিষ্কার করেন সেগুলোকে তথ্য বলে। অন্যভাবে বলা যায়, গবেষণা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সেসব খবর বা সংবাদ যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত ও গবেষণা কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে তথ্য বা উপাত্ত বলে।
১৭. তথ্য এবং তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ তথ্য হলো কোন ঘটনার বর্ণনা, কিন্তু তত্ত্ব হলো বিভিন্ন তথ্যের পারস্পরিক বর্ণনা। তত্ত্ব হলো গবেষণার ফল, তথ্য হলো পর্যবেক্ষণের ফল। তত্ত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়, তথ্যের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়।
১৮. প্রকল্প কি?
উত্তরঃ সাধারণভাবে প্রকল্প হলো প্রাক কল্পনা বা পূর্ব অনুমান। গবেষণার শুরুতে গবেষণা সম্পর্কে যে পূর্ব ধারণা পোষণ করা হয় তাই হলো প্রকল্প। প্রকল্প তথ্য সংগ্রহের দিক নির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত।
১৯. প্রকল্পের কাজ কি?
উত্তরঃ গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের কাজ হলো:
- গবেষণার দিক নির্দেশনা দান করা
- গবেষকের তত্ত্ব সংগ্রহে সাহায্য করা
- জ্ঞানের বিকাশ বা উন্নতি ঘটানো।
২০. কোন কোন গবেষণায় প্রকল্প বেশি কাজে লাগে?
উত্তরঃ সামাজিক বিজ্ঞানসমূহ এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানসমূহের গবেষণায়।
২১. একটি উত্তম প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ একটি উত্তম প্রকল্পের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। যথা-
- প্রকল্পটি সুনির্দিষ্ট হতে হবে
- প্রকল্পটি প্রমাণ সাপেক্ষ হতে হবে
- প্রকল্পটি যৌক্তিকভাবে সরল হতে হবে
- প্রকল্পের তাত্ত্বিক ভিত্তি থাকতে হবে
- প্রকল্পটি সাধারণ ভাষায় প্রকাশ করতে হবে।
২২. প্রকল্পের উৎস কি?
উত্তরঃ প্রকল্পের উৎস বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন-
- পূর্ববর্তী গবেষণা হতে প্রকল্প গ্রহণ
- বিভিন্ন গবেষকের সাথে আলোচনা
- অন্য গবেষণা পাঠ
- সৃজনশীল কল্পনা ইত্যাদি থেকে।
২৩. সামাজিক গবেষণায় প্রকল্পের ভূমিকা কি?
উত্তরঃ সামাজিক গবেষণায় প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রকল্প গবেষকদের তত্ত্ব সংগ্রহে সাহায্য করে। এছাড়া তথ্যের সুবিন্যস্তকরণ ও বিশ্লেষণ করতেও প্রকল্প সাহায্য করে থাকে।
২৪. চলক কাকে বলে?
উত্তরঃ চলক হলো এমন এক ধরনের গুণ, বৈশিষ্ট্য বা অবস্থা যা একই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। চলকের উদাহরণ-ওজন, উচ্চতা, বয়স ইত্যাদি।
২৫. চলক কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ
- চলকের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে চলককে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (ক) গুণবাচক চলক ও (খ) সংখ্যাবাচক চলক।
- চলকের গতিপথের উপর ভিত্তি করে চলককে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (ক) বিচ্ছিন্ন চলক ও (খ) অবিচ্ছিন্ন চলক।
- পদ্ধতিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে চলককে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (ক) স্বাধীন চলক, (খ) নির্ভরশীল চলক, (গ) নিয়ন্ত্রিত চলক।
২৬. বিচ্ছিন্ন চলক কি?
উত্তরঃ যে চলক সর্বদাই পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশিত এবং কখনই ভগ্নাংশে দেখানো যায় না এবং শুধুমাত্র পরিমাপের উপযোগিই নয় গণনাও করা যায় তাকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। যেমন- ক্লাশের ছাত্র সংখ্যা, বাজারে দোকানের সংখ্যা ইত্যাদি।
২৭. অবিচ্ছিন্ন চলক কি?
উত্তরঃ যে সমস্ত চলক শুধুমাত্র গণনা করা যায় কিন্তু সকল ক্ষেত্রে পরিমাপ করা যায় না তাকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলা হয়। যেমন- আয়, ব্যয়, উৎপাদন, জন্মহার প্রভৃতি।
২৮. স্বাধীন চলক কি?
উত্তরঃ যে বিষয়টি ঘটনার কারণ নির্দেশ করে তাকে স্বাধীন চলক বলে। যেমন- হতাশা আত্মহত্যার কারণ হলো 'হতাশা' স্বাধীন চলক।
২৯. অধীন চলক কি?
উত্তরঃ কার্যকরণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি ঘটনার ফলাফল নির্দেশ করে তাকে অধীন চলক বা নির্ভরশীল চলক বলে।
৩০. সামাজিক গবেষণার উপাদানগুলো কি কি?
উত্তরঃ সামাজিক গবেষণার প্রধান প্রধান উপাদান হলো- তত্ত্ব, সংজ্ঞা, প্রত্যয়, চলক, কল্পনা নৈতিকতা প্রভৃতি।
৩১. প্রত্যয় কি?
উত্তরঃ অনেকগুলো ধারণাকে সংক্ষিপ্তকারে সহজে উপস্থাপন করাকে প্রত্যয় বলে। অর্থাৎ একটি বিশেষ সামাজিক অবস্থা বর্ণনার জন্য যখন প্রতীকী শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয় তখন তাকে প্রত্যয় বলে।
৩২. তথ্য সংগ্রহের প্রধান উপায় বা কৌশলগুলো কি কি?
উত্তরঃ তথ্য সংগ্রহে বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। যেমন-
- সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
- প্রশ্নপত্র
- পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
- ডাক প্রশ্নপত্র
- প্রক্ষেপণ পদ্ধতি
- ডকুমেন্ট স্টাডি।
৩৩. প্রাথমিক তথ্য কি?
উত্তরঃ: গবেষণা পরিচালনাকারী যে সকল তথ্য অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে নিজেই সরাসরি সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক তথ্য বলে।
৩৪. মাধ্যমিক তথ্য কি?
উত্তরঃ যেসব তথ্য বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দলিল, নথিপত্র, সংবাদপত্র থেকে সংগ্রহ করা হয় তাকে মাধ্যমিক তথ্য বলে।
৩৫. মূল্যায়ন গবেষণা কি?
উত্তরঃ যে গবেষণার মাধ্যমে জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাফল্য নির্ণয় করা যায় তাকে মূল্যায়ন গবেষণা বলে।
৩৬. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ সাক্ষাৎকার, প্রশ্নমালা এবং লিখিত ও মৌখিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের রীতিবদ্ধ, বস্তু নিরপেক্ষ এবং সংখ্যাতাত্ত্বিক বর্ণনাকে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ পদ্ধতি বলে।
৩৭. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
- বিষয়বস্তুর গঠনভিত্তিক উদ্দেশ্য
- বিষয়বস্তুর বৈশিষ্ট্যভিত্তিক উদ্দেশ্য
- বিষয়বস্তুর প্রণেতা সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য
- বিষয়বস্তুর পাঠক সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য।
৩৮. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের সুবিধা কি?
উত্তরঃ বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো লক্ষ্য করা যায়-
- ইহা অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ
- ঐতিহাসিক গবেষণায় অত্যন্ত উপযোগ
- এখানে সময় ও অর্থ কম লাগে
- ইহা পদ্ধতিগতভাবে সহজ ও সুবিধাজনক।
৩৯. সাহিত্য পর্যালোচনা কি?
উত্তরঃ সাহিত্য পর্যালোচনা হলো নিত্য পরিবর্তনশীল ও বিবর্তনশীল সমাজ গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ, প্রকল্প গঠন, অনুমান নির্ধারণ, পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং ফলাফল তুলনা করার একটি পদ্ধতি।
৪০. গবেষণার উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ গবেষণার উদ্দেশ্য হলো-
- তথ্য উদঘাটন করা
- ঘটনার বর্ণনা করা
- ঘটনার ব্যাখ্যা করা।
৪১. গবেষণা নকশা কি?
উত্তরঃ গবেষণা নকশা হচ্ছে গবেষণার পরিকল্পনা অর্থাৎ গবেষক প্রাপ্ত সম্পদ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিভাবে গবেষণা কার্যটি সম্পাদন করতে চান তার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
৪২. সামাজিক জরিপ কি?
উত্তরঃ সামাজিক জরিপ হলো সামাজিক আচরণ ও সামাজিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট সমস্যার নানাবিধ দিক নিয়ে সর্বাত্মক ঘটনা অনুসন্ধান।
৪৩. জরিপ গবেষণা?
উত্তরঃ যে গবেষণায় চলকসমূহের সম্পর্ক এবং চলকের বিন্যাস সম্পর্কিত অনুরূপ প্রাক-পরীক্ষামূলক নকশা ব্যবহার করা হয় তাকে জরিপ গবেষণা বলে।
৪৪. সামাজিক জরিপের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ সামাজিক জরিপের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক উপাদান সম্পর্কে তথ্যাবলীর বর্ণনা করা, কারণ উদঘাটন করা, প্রকল্প এবং তত্ত্ব গঠন করা।
৪৫. গবেষণা নকশার উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ গবেষণা বিষয়ের পূর্বধারণ লাভের জন্য গবেষণা নকশা তৈরি করা হয়। তাছাড়া তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের উপস্থাপনা ও তথ্যের বিশ্লেষণের সুবিধার্থে গবেষণা নকশা তৈরি করা হয়।
৪৬. সাক্ষাৎকার কি?
উত্তরঃ গবেষণার তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে ব্যক্তির পারস্পরিক কথোপকথনই হলো সাক্ষাৎকার।
৪৭. সাক্ষাৎকারে সুবিধাগুলো কি কি?
উত্তরঃ সাক্ষাৎকার পদ্ধতিগুলোর নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো রয়েছে। যথা-
- অধিক উত্তর প্রাপ্তি
- অধিক নমনীয়তা
- জটিল প্রশ্নের ব্যবহার
- তথ্যের গভীরতা ও যথার্থতা প্রাপ্তি
- পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
- সাক্ষাৎদাতা সরাসরি উত্তর দিতে পারেন।
৪৮. নমুনায়ন কি?
উত্তরঃ যে পরিসংখ্যান পদ্ধতির সাহায্যে কোন সমগ্রকের একটি অংশ সমীক্ষা করে সমগ্রক সম্বন্ধে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায় তাকে নমুনায়ন বলে।
৪৯. পর্যবেক্ষণ কি?
উত্তরঃ কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্দিষ্ট কোন বস্তু বা ঘটনা সুশৃঙ্খলভাবে অবলোকন বা নিরীক্ষণ করাকে পর্যবেক্ষণ বলে।
৫০. সমগ্রক কি?
উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট গুণাবলী বিশিষ্ট প্রাণী, বস্তু, বিষয় বা ঘটনার সমাহারকে সগ্রক বলে।
৫১. প্রতিবেদন কি?
উত্তরঃ প্রতিবেদন হচ্ছে গবেষণার সর্বশেষ ধাপ এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা গবেষণার সম্পূর্ণ ফলাফল এবং সিদ্ধান্তসমূহ জানতে আগ্রহী তাদের নিকট এগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাতে তারা এগুলো ভাল করে বুঝতে পারে।
৫২. ডকুমেন্ট কি?
উত্তরঃ ডকুমেন্ট বলতে কোন ব্যক্তি, দল বা সমাজের এমন কিছু অভিব্যক্তিকে বোঝায় যা কোন না কোন প্রকারে সংরক্ষণ করা হয়।
৫৩. প্রাথমিক ডকুমেন্ট কি?
উত্তরঃ কোন একটি ঘটনা বা অবস্থা যখন কোন ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করে থাকেন এবং তা থেকে যে দলিল তৈরি করেন সেটিকে প্রত্যক্ষ দলিল বা প্রাথমিক ডকুমেন্ট বলা হয়।
৫৪. কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ কেস স্টাডি পদ্ধতি বলতে সামাজিক কোন বিষয় বা ক্ষেত্রকে একক ধরে তার সম্পর্কে বিশদভাবে অনুসন্ধান ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করাকে বুঝায়। কেস স্টাডি পদ্ধতি হলো তথ্যের গুণগত বিশ্লেষণ।
৫৫. কেস স্টাডি পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপসমূহ কি কি?
উত্তরঃ কেস স্টাডি পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপগুলো হলো-
- বিষয় নির্বাচন
- প্রকল্প গঠন
- তথ্য সংগ্রহ
- তথ্যের বিশ্লেষণ
- গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য পেশ।
৫৬. কেস স্টাডি পদ্ধতির সুবিধা কি?
উত্তরঃ কেস স্টাডি পদ্ধতির মাধ্যমে কোন সমস্যার ব্যাপকতা এবং গভীরতা সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। এ পদ্ধতিতে অল্প সংখ্যক নমুনার মাধ্যমেই কোন সমস্যার সমাধানে উপনীত হওয়া যায়।
৫৭. কেস স্টাডি পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধা কি?
উত্তরঃ এ পদ্ধতিতে সামান্য সংখ্যক তথ্য থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনেক সময় ভুল হয়। এ পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইয়ের তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিমাপ সম্ভব নয়।
৫৮. দৈবচয়ন কি?
উত্তরঃ দৈবচয়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গবেষণার এককগুলোকে পরীক্ষণীয় এবং নিয়ন্ত্রিত দলে বিভক্ত করা হয়।
৫৯. রেটিং স্কেলিং পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ কোন ঘটনা, বিষয় বা ব্যক্তি সম্পর্কে অন্য একজন ব্যক্তি বা দলের অভিমত নির্দেশের প্রত্যক্ষ পদ্ধতি বা মাধ্যম হলো রেটিং স্কেল। সমাজ গবেষণায় বিশেষত জরিপ পদ্ধতিতে এর ব্যবহার বেশি।
৬০. রেটিং স্কেল কত প্রকার কি কি?
উত্তরঃ রেটিং স্কেলসমূহকে প্রধানত পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
- সংখ্যাভিত্তিক
- রৈখিক
- স্টান্ডার্ড
- ক্রম সমষ্টিমূলক এবং
- বাধ্যতামূলক নির্বাচন।
৬১. জরিপ পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ জরিপ পদ্ধতি হলো বিভিন্ন কৌশলে তথ্যাবলি সংগ্রহ, তথ্যাবলির ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার একটি প্রক্রিয়া।
৬২. কম্পিউটার কি?
উত্তরঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক বর্তনী ও যান্ত্রিক সরঞ্জামের সমন্বয়ে গঠিত একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র যা তথ্য বা উপাত্ত গ্রহণ করে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী স্বয়ং প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ফলাফল প্রদানে সক্ষম।
৬৩. কম্পিউটার কয় ভাগে বিভক্ত?
উত্তরঃ কম্পিউটারকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
- সুপার কম্পিউটার
- মেইন ফ্রেম কম্পিউটার
- মিনি কম্পিউটার
- মাইক্রো কম্পিউটার।
৬৪. পরিসংখ্যান বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ কোন সমস্যা সম্পর্কে সংখ্যাত্মক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলোর প্রণালিবদ্ধ বিশ্লেষণকে পরিসংখ্যান বলে।
৬৫. এক বচন অর্থে পরিসংখ্যান কাকে বলে?
উত্তরঃ এক বচন অর্থে পরিসংখ্যান বিজ্ঞান হলো সংখ্যাত্মক প্রাক্কলন বা প্রাক্কলন সমষ্টির বিশ্লেষণ দ্বারা প্রাপ্ত ফলাফল হতে সমষ্টিগত প্রাকৃতিক বা সামাজিক ব্যাপারসমূহের বিচার পদ্ধতি।
৬৬. বহুবচন অর্থে পরিসংখ্যান কাকে বলে?
উত্তরঃ বহুবচন অর্থে পরিসংখ্যান বলতে জনসাধারণের অবস্থা সম্পর্কিত সে সব তথ্যাবলীকে বুঝায় যেগুলো সংখ্যা বা যে কোনরূপ সারণি আকারে বা শ্রেণীবদ্ধ বিন্যাসে বিবৃত করা যায়।
৬৭. গণসংখ্যা নিবেশন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ সংগৃহীত উপাত্তসমূহকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে শ্রেণীর গণসংখ্যা প্রদর্শন করে সাজানোর প্রক্রিয়াকে গণসংখ্যা নিবেশন বলে। গণসংখ্যা নিবেশন উপাত্ত সংক্ষিপ্তকরণের সর্বোত্তম কৌশল।
৬৮. অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ এ পদ্ধতিতে প্রতিটি শ্রেণী নিম্ন এবং উচ্চ সীমা সম্বলিত হয়। প্রথম শ্রেণীর উচ্চ সীমাকে পরবর্তী শ্রেণীর নিম্ন সীমা হিসেবে দেখানো হয় না। পরবর্তী শ্রেণী প্রথম শ্রেণীর উচ্চ সীমার পরবর্তী সংখ্যা হতে শুরু হয়। যেমন- ৫-৯ ১০-১৪, ১৫-১৯ ইত্যাদি।
৬৯. বহির্ভুত পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ যখন কোন শ্রেণীর ঊর্ধ্বসীমা পরবর্তী শ্রেণীর নিম্নসীমা হিসেবে গণ্য করে শ্রেণীভুক্ত করা হয় তাকে বহির্ভূত পদ্ধতি বলে। যেমন- ১০-১৫, ১৫-২০, ২০-২৫ ইত্যাদি।
৭০. শ্রেণীবদ্ধকরণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ অনুসন্ধান ক্ষেত্র হতে সংগৃহীত তথ্যসমূহকে বৈশিষ্ট্যের তারতম্য অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে শ্রেণীবিন্যাস যা শ্রেণীবদ্ধকরণ বলা হয়।
৭১. সারণিবদ্ধকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সংগৃহীত উপাত্ত বা তথ্যসমূহকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করার জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রণালিবদ্ধকরণকে সারণিবদ্ধকরণ বা তালিকাবদ্ধকরণ বলে।
৭২. তথ্য বা উপাত্ত কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং সংখ্যায় প্রকাশিত তথ্য সামগ্রীকে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য বা উপাত্ত বলা হয়।
৭৩. প্রাথমিক উপাত্ত কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোন ঘটনা সম্পর্কে মৌলিক তথ্যাবলী সংগ্রহ করা হয় তখন তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়।
৭৪. মাধ্যমিক তথ্য বা উপাত্ত কাকে বলে?
উত্তরঃ সরাসরি কোন কার্যক্ষেত্র থেকে উপাত্ত সংগ্রহ না করে বিভিন্ন দলিলপত্রের সাহায্য নিয়ে যখন উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় তখন তাকে মাধ্যমিক তথ্য বলা হয়।
৭৫. প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহে কি কি প্রণালি ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহে যে সব প্রণালি ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো-
- সাক্ষাৎকার প্রণালি
- সরাসরি পর্যবেক্ষণ
- ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ
- পরোক্ষ মৌলিক পর্যবেক্ষণ
- স্থানীয় সংবাদদাতা
- প্রেরিত সংবাদ ইত্যাদি।
৭৬. চলক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পরিমাণ বাচক বৈশিষ্ট্য দুই বা ততোধিক ব্যক্তির বা এককের মধ্যে মাত্রাগতভাবে পরিবর্তিত হয় তাকে চলক বলে?
৭৭. চলক কত প্রকার কি কি?
উত্তরঃ চলক দুই প্রকার। যথা- (ক) অবিচ্ছিন্ন চলক ও (খ) বিচ্ছিন্ন চলক।
৭৮. কেন্দ্রীয় প্রবণতা বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ অবিন্যস্ত তথ্যগুলোকে গণসংখ্যা নিবেশনে সন্নিবেশিত করলে সংখ্যাসমূহ নিবেশনের মাঝামাঝি স্থানে ঘণীভূত হতে চায়। তথ্যগুলোর কেন্দ্রের দিকে ঘনীভূত হওয়ার এ প্রবণতাকে কেন্দ্রীয় প্রবণতা বলে।
৭৯. সর্বোৎকৃষ্ট কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপ কয়টি?
উত্তরঃ যোজিত গড় বা গাণিতিক গড়কে সর্বোকৃষ্ট কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
৮০. যোজিত গড় কাকে বলে?
উত্তরঃ কতকগুলো রাশির সমষ্টিকে রাশিগুলোর মোট সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে ঐ রাশিসমূহের যোজিত গড় বা গাণিতিক গড় বলা হয়।
৮১. পরিমিত ব্যবধান কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন নিবেশন বা সিরিজের গাণিতিক গড় থেকে রাশিগুলোর পার্থক্যের বর্গফলের সমষ্টিকে রাশিগুলোর সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে যে ভাগফল পাওয়া যায় তার বর্গমূলকে ঐ নিবেশনের পরিমিত ব্যবধান বলা হয়।
৮২. ব্যবধানাঙ্কের সংজ্ঞা দাও। কি কাজে ইহা প্রয়োগ করা হয়?
উত্তরঃ পরিমিত ব্যবধানকে গাণিতিক গড়ের শতকরা হারে প্রকাশ করলে যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে ব্যবধানাঙ্ক বলা হয়। দুই বা ততোধিক তথ্য সারির বিস্তৃতির মধ্যে তুলনা করার জন্য ব্যবধানাঙ্ক প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
৮৩. অজিড কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন শ্রেণীর যোজিত গণসংখ্যা নির্ণয় করে যোজিত গণসংখ্যাকে লেখচিত্রে উপস্থাপন করাকে অজিভ বলে।
৮৪. গণসংখ্যা বহুভুজ কি?
উত্তরঃ গণসংখ্যা নিবেশনকে বহুভুজের মাধ্যমে উপস্থাপন করাকে গণসংখ্যা বহুভুজ বলে।
৮৫. মোড কাকে বলে?
উত্তরঃ সারিবদ্ধ তথ্যসমূহে যে সংখ্যা মানটি সবচেয়ে বেশিবার প্রদর্শিত হয় তাকে মোড বা প্রচুরক বলে। অর্থাৎ কোন গণসংখ্যা নিবেশনের যে অংশে গণসংখ্যা সর্বাধিক কেন্দ্রীভূত থাকে সে অংশের মানই উক্ত গণসংখ্যা নিবেশনের মোড বা প্রচুরক। যেমন- কোন অনুক্রমে যদি ৯, ৬, ১০, ৯, ৮, ৭, ৯ ইত্যাদি সংখ্যা থাকে তাহলে দেখা যায় যে, সিরিজে ৯ সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুতরাং ৯ ই হচ্ছে সিরিজের মোড।
৮৬. বিস্তার পরিমাপ কি?
উত্তরঃ যে সংখ্যাগত পরিমাপ দ্বারা কোন গণসংখ্যা নিবেশনের অন্তর্ভুক্ত রাশিগুলো থেকে উহার মধ্যক মানের পার্থক্য বা বিস্তৃতি নিরূপণ করা হয় তাকে বিস্তার পরিমাপ বলে।
৮৭. সর্বোত্তম বিস্তার পরিমাপ কোনটি?
উত্তরঃ পরিমিত ব্যবধানই হলো সর্বোত্তম বিস্তার পরিমাপক। কেননা একটি আদর্শ বিস্তার পরিমাপের সবগুলো বৈশিষ্ট্য পরিমিত ব্যবধানে বিদ্যমান।
৮৮. পরিসর কি?
উত্তরঃ পরিসর হলো সর্বোচ্চ সীমা এবং সর্বনিম্ন সীমার অন্তর বা বিয়োগফল।
৮৯. মধ্যমা কাকে বলে?
উত্তরঃ সমজাতীয় কতকগুলো তথ্যসমূহকে মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী সাজানোর পর মধ্যবর্তী যে রাশিটি পাওয়া যায় তাকেই মধ্যমা বলে।
৯০. তথ্য উপস্থাপন কাকে বলে?
উত্তরঃ গণসংখ্যা নিবেশনের সংকলিত তথ্যসমূহকে বিভিন্ন রেখাচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন প্রক্রিয়াকে তথ্য উপস্থাপন বলা হয়।
৯১. শ্রেণীসীমা কি?
উত্তরঃ সংগৃহীত উপাত্তসমূহ কতটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে তা নির্ণয় করাকে শ্রেণী সীমা বলে।
৯২. শ্রেণী ব্যাপ্তি কি?
উত্তরঃ কোন শ্রেণীর নিম্নতম সংখ্যা ও বৃহত্তম সংখ্যার মধ্যে পার্থক্যকে শ্রেণীব্যাপ্তি বলা হয়।
৯৩. শ্রেণী সংখ্যা কি?
উত্তরঃ গণসংখ্যা নিবেশনের যে কয়টি শ্রেণী থাকে তার সংখ্যাকে বলা হয় শ্রেণী সংখ্যা।
৯৪. আপেক্ষিক বিস্তার পরিমাপসমূহ কি কি?
উত্তরঃ বিস্তার পরিমাপের যে পরিমাপগুলো দুই বা ততোধিক নিবেশনের বিস্তৃতি তুলনা করার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে আপেক্ষিক বিস্তার পরিমাপ বলে। এগুলো হলো ভেদাঙ্ক, গড় ব্যবধানাঙ্ক, পরিমিত ব্যবধানাঙ্ক, চতুর্থক ব্যবধানাঙ্ক।
৯৫. অনাপেক্ষিক পরিমাপগুলো কি কি?
উত্তরঃ যে পরিমাপসমূহ কোন নিবেশনের মধ্যক মান থেকে নিবেশনের অন্যান্য সংখ্যাগুলোর বিস্তৃতি পরিমাপ করে তাদেরকে অনাপেক্ষিক বিস্তার পরিমাপ বলে। এর পরিমাপগুলো হলো:
- পরিসর
- চতুর্থক ব্যবধান
- পরিমিত ব্যবধান
- গড় ব্যবধান ও
- ভেদাঙ্ক।
৯৬. বিক্ষেপ চিত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ দ্বিচলক বিশিষ্ট তথ্যের লেখচিত্র অংকন করাকেই বিক্ষেপ চিত্র বলে।
৯৭. নির্ভরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি চলকের গতিশীলতার প্রেক্ষিতে অপর চলকের যে পরিবর্তন সাধিত হয় উহার বিশ্লেষণ করাকে নির্ভরণ বলে।
৯৮. অন্তঃপ্রক্ষেপ প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন একটি সিরিজের জ্ঞাত মানসমূহের ভিত্তিতে ঐ সিরিজের কোন লুপ্তমান নির্ণয় করা হয় তাকে অন্তঃপ্রক্ষেপ প্রক্রিয়া বা অন্তঃপ্রক্ষেপ বলা হয়।
৯৯. বহিঃপ্রক্ষেপ প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন একটি সিরিজের জ্ঞাত মানসমূহের ভিত্তিতে ঐ সিরিজের পরিসীমার কোন বহির্ভূত সংখ্যার মান নির্ণয় করা হয় তাকে বহিঃপ্রক্ষেপ প্রক্রিয়া বা বহিঃপ্রক্ষেপ বলা হয়।
১০০. সূচক সংখ্যা কি?
উত্তরঃ সময়ের পরিবর্তন বা স্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্রব্যের মূল্য বা পরিমাণের পরিবর্তনের আনুপাতিক হার প্রদর্শক সংখ্যাকে সূচক সংখ্যা বা Index Number বলা হয়।
১০১. সূচক সংখ্যা কত প্রকার কি কি?
উত্তরঃ সূচক সংখ্যা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
- মূল্যসূচক সংখ্যা
- পরিমাণমূলক সংখ্যা
- মান সূচক সংখ্যা
- শিল্প তৎপরতা সূচক।
১০২. মূল্যসূচক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সূচক সংখ্যার সাহায্যে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পণ্য বা বস্তুর মূল্যের আপেক্ষিক পরিবর্তনের মান পরিমাণ করা হয় সে সূচক সংখ্যাকে মূল্যসূচক সংখ্যা বলে।
১০৩. জীবনযাত্রার ব্যয়সূচক সংখ্যা কি?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব্য ও সেবাকর্ম ভোগ করতে যে খরচ লাগে তার সময়ভিত্তিক গতিশীলতা পরিমাপ করাকে জীবনযাত্রার ব্যয়সূচক সংখ্যা বলে।
১০৪. কালীন সারি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন ঘটনা বা তথ্য সারির বিভিন্ন সময়ে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে তাকে সময়ের পরিবর্তন অনুসারে সাজালে যে সারি বা সিরিজের সৃষ্টি হয় তাকে কালীন সারি বলে।
১০৫. যুগব্যাপী সাধারণ ধারা কি?
উত্তরঃ একটি কালীন সারিতে যে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী গতিশীলতা দেখা যায় তাকে যুগব্যাপী সাধারণ ধারা বলা হয়।
১০৬. সাধারণ ধারা পরিমাপের পদ্ধতিগুলো কি কি?
উত্তরঃ সাধারণ ধারা পরিমাপের প্রক্রিয়াগুলো হলো-
- লেখচিত্র পদ্ধতি
- আধাগড় পদ্ধতি
- চলিষ্ণু গড় পদ্ধতি
- ন্যূনতম বর্গ প্রক্রিয়া।
১০৭. পূর্বাভাস কি?
উত্তরঃ কোন চলকের ভবিষ্যৎ গতিশীলতা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করাকে পূর্বাভাস বলে।
১০৮. সম্ভাবনা কি?
উত্তরঃ সাধারণত কোন একটি ঘটনা ঘটবে না তার গাণিতিক পরিমাপই হচ্ছে সম্ভাবনা বা Probability.
১০৯. পরিমিত বিন্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন একটি রাশিমালার সংখ্যা মানগুলো কিভাবে বিন্যস্ত তা প্রকাশ করাকে পরিমিত বিন্যাস বলে।
১১০. নমুনায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমগ্রকের একটি অংশ বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান বা পরীক্ষা করে সমগ্রক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় সে পদ্ধতিই হচ্ছে নমুনায়ন বা Sampling.
১১১. নিয়ন্ত্রণ চিত্র কি?
উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ চিত্র হলো উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাকালে দ্রব্যের উৎকর্ষের তারতম্যের যাচাই করার উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াগত নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যান পদ্ধতি।
১১২. নিয়ন্ত্রণ চিত্র কত প্রকার?
উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণ চিত্র দুই প্রকার। যথা- (ক) চলক সম্বন্ধীয় নিয়ন্ত্রণ চিত্র ও (খ) গুণ সম্বন্ধীয় নিয়ন্ত্রণ চিত্র।
১১৩. নমুনা জরিপ কি?
উত্তরঃ যে পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বশীল কোন একটি ক্ষুদ্র অংশকে যাচাইয়ের মাধ্যমে সমগ্রকের পূর্ণাঙ্গ বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে সম্যক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় তাকে নমুনা জরিপ বলে।
১১৪. লরেঞ্জ রেখা কি?
উত্তরঃ একটি তথ্য সারির কেন্দ্রিকতা এবং বিচ্যুতি লেখ-এর মাধ্যমে উপস্থাপন করার পদ্ধতি হলো লরেঞ্জ রেখা।
১১৫. গ্রহণ নমুনায়ন কি?
উত্তরঃ যে পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত দ্রব্যের উৎকর্ষ নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে গ্রহণ নমুনায়ন বলে।
১১৬. জাতীয় আয়ের সংজ্ঞা দাও?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা সামগ্রী উৎপাদিত হয় উহার আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে জাতীয় আয় বলে।
১১৭. জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতিগুলো কি কি?
উত্তরঃ জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য তিনটি বহুল পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এগুলো হলো-
- আয় পদ্ধতি
- ব্যয় পদ্ধতি ও
- উৎপাদন পদ্ধতি।
১১৮. প্রকাশিত পরিসংখ্যান কি?
উত্তরঃ কোন দেশের বিভিন্ন অবস্থার তথ্য সম্বলিত যে কোন প্রকাশনাকেই বাংলাদেশে প্রকাশিত পরিসংখ্যান হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
১১৯. বাংলাদেশে প্রকাশিত পরিসংখ্যান কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন অবস্থার তথ্য সম্বলিত যে কোন প্রকাশনাকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলা হয়।
১২০. বাংলাদেশে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের উৎসসমূহ কি কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের উৎসগুলো হলো-
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
- বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়
- স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং
- বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
১২১. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে।
সবশেষেঃ
প্রিয় পাঠক এবং শিক্ষার্থী বন্ধুরা, উপরোক্ত বিষয়ের উপর আলোচনা সম্পর্কে আপনাদের আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন এবং আমাদের ফেইসবুক পেইজেও যুক্ত হতে পারন। পরবর্তীতে আরও আপডেট সাধারণ জ্ঞান এবং একাডেমিক শিক্ষামূলক সম্পর্কে তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।