অনুচ্ছেদ ও প্রবন্ধ লেখার লেখার সঠিক নিয়মাবলি

'অনুচ্ছেদ' ইংরেজি Paragraph শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ; আর প্রবন্ধ হচ্ছে Essay শব্দের বাংলা রূপ। তবে প্রবন্ধের আরো একাধিক সমার্থক ইংরেজি শব্দ হতে পারে। যেমন Article; Paper ইত্যাদি।

মানুষের বলবার কথার কোন সীমা নেই; আর তার বিষয় বৈচিত্র্যও সীমাহীন। মানুষের সহজাত প্রবণতাই হচ্ছে সে তার অভিজ্ঞতা বা বোধকে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়। কিংবা বলা যায় তার ভাবনার জগতকে অন্যের সামনে খুলে দিতে চায়, যাতে করে অন্যেরা সে সম্পর্কে অবহিত হতে পারে, ধারণা ও জ্ঞান লাভ করতে পারে। সৃষ্টিশীল মানুষেরা তাদের ভাবনাকে, জীবন দর্শনকে গতানুগতিক, কবিতা, নাটক বা উপন্যাসের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। তারপরও অনেক কথা থেকে যায়- যা প্রকাশের জন্য মানুষ আশ্রয় নেয় প্রবন্ধের। আর সে প্রবন্ধেরই একটি অংশ হচ্ছে অনুচ্ছেদ (asection)।

Correct writing rules for writing paragraphs and essays
অনুচ্ছেদ ও প্রবন্ধ লেখার লেখার সঠিক নিয়মাবলি

প্রবন্ধ বা অনুচ্ছেদ অন্যান্য প্রকাশ মাধ্যমগুলোর মত একটি মাধ্যম। তবে অন্য মাধ্যমগুলোর সঙ্গে বিষয়বস্তুগত, আকৃতি ও আঙ্গিকগত কিছু পার্থক্য একে অন্য মাধ্যম থেকে আলাদা করেছে। চিন্তার 'প্রকৃষ্টবন্ধনযুক্ত' রচনাকর্মকে সংস্কৃতে প্রবন্ধ আখ্যা দেয়া হতো। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মতে 'এক সময় ছিল যখন গদ্য বা পদ্য উভয় রীতিতেই প্রবন্ধ রচনার প্রচলন ছিল'। কিন্তু আজ আমরা পদ্যে প্রবন্ধ রচনার কথা ভাবতেও পারি না। আমরা জানি এবং মানি যে একমাত্র গদ্যেই প্রবন্ধ রচিত হয় এবং সেটাই স্বাভাবিক।

মানব সমাজে চিন্তার বিকাশের ইতিহাসের সঙ্গে প্রবন্ধের বিস্তার ও বিকাশের ইতিহাস পরস্পর বিজড়িত ও সংলগ্ন। একটু আগেই বলেছি, মানুষের বলবার কথার বহুত্ব সম্পর্কে। সে কথাগুলো যখন সে অন্যকে বলতে চেয়েছে বা অন্যকে তার মত করে বুঝাতে চেয়েছে তখনই সে আবিষ্কার করেছে প্রবন্ধের রীতি। সে বুঝেছে এই মাধ্যমটির সাহায্যে সে সরাসরি তার বলবার কথাগুলো অন্যকে বুঝাতে বা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

ইংরেজি ভাষায় প্রবন্ধের সূত্রপাত হয়েছে এখন থেকে প্রায় তিনশত বছর আগে। ফরাসি লেখক মঁতেন এর অনুসরণে ফরাসিতে এবং ফ্রান্সিস বেকনের অনুসরণে ইংরেজিতে প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারা গড়ে উঠেছিল। ঐ দুই ভাষার প্রবন্ধ সাহিত্য আজ সমৃদ্ধির চরম শিখরে পৌঁছেছে। বাংলা ভাষায় প্রবন্ধ রচনার সূত্রপাত হয়েছে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। বাংলাদেশে তখন সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার চলছে। রাজা রামমোহন রায় তাঁর এঁকেশ্বরবাদী ধর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে বাঙালি সমাজে একটা প্রবল আন্দোলনের সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি তাঁর ধর্ম মতের এবং সমাজ সংস্কার আন্দোলন, বিশেষ করে সতীদাহ প্রথা নিবারণের বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। আর সেগুলো প্রকাশ করছিলেন 'সম্বাদ কৌমুদী' ও তৎকালের অন্যসব পত্র-পত্রিকায়। রাম মোহন প্রবর্তিত ধর্মমত যেহেতু সংস্কারাবদ্ধ হিন্দু সমাজে প্রবল অভিঘাত সৃষ্টি করেছিল ফলে গোঁড়া হিন্দুরা গড়ে তুলেছিল রাম মোহনের বিরুদ্ধে শক্ত সমর্থ বিরোধী পক্ষ। তাঁরাও রামমোহনের সংস্কার আন্দোলন এবং ধর্ম মতকে অসার প্রমাণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তাঁরাও নিজেদের মতের সপক্ষে পত্রিকায় লিখে চলেছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাঙালি সমাজে যে তর্ক-বিতর্ক, উত্তর-প্রত্যুত্তরের সাহিত্য রচিত হতে শুরু করেছিল তার ওপর ভিত্তি করেই মূলত বাংলা ভাষায় প্রবন্ধের সূত্রপাত ঘটে।

রাজা রামমোহনের পর অক্ষয়কুমার দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এঁদের চিন্তাশীল রচনার মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষায় প্রবন্ধ রচনার একটি প্রতিষ্ঠিত ভিত্তি তৈরি হয়। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখের রচনায় মধ্য দিয়ে বাংলা প্রবন্ধ পুষ্প শোভিত হয়ে ওঠে। আজ বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্য পৃথিবীর যে কোন ভাষায় রচিত প্রবন্ধের সমান মর্যাদা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে।

অনুচ্ছেদ ও প্রবন্ধ রচনার প্রয়োজনীয়তা

ছাত্র-ছাত্রীদের যে ধরনের প্রবন্ধ রচনা করতে হয় তার প্রকৃতি প্রবন্ধ সাহিত্যের মূল চরিত্র থেকে খানিকটা ভিন্ন। চিন্তার যে সু-শৃঙ্খল বিন্যাস প্রবন্ধের সৌন্দর্যবিধান করে এবং চিন্তার যে সারবস্তু পাঠকের সামনে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রবন্ধের অবতারণা করা হয়, ছাত্রদের রচনায় তা আশা করা হয় না। তাদের রচনার মাধ্যমে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয় তা হলো, প্রবন্ধ সাহিত্যের বা অনুচ্ছেদের বিশেষ ধরনের গঠনরীতির সঙ্গে তারা পরিচিত হয়ে উঠতে কতটুকু সক্ষম হচ্ছে। প্রবন্ধের প্রাণ হচ্ছে যৌক্তিক শৃঙ্খলা, আর সে যুক্তি পরামর্শ সমন্বিত হয়ে প্রকাশিত হয় ভাষার মাধ্যমে। কিন্তু ভাষার ওপর দখল না থাকলে প্রবন্ধের সৌসাম্য নির্মাণ করা অসম্ভব। সুতরাং প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে ছাত্ররা যুক্তিকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করতে শেখে এবং সেই সঙ্গে অর্জন করে ভাষাগত দক্ষতা ও সাবলীলতা।

কেবল যুক্তি উপস্থাপন এবং ভাষার সাবলীলতা অর্জনের জন্যই ছাত্রদের প্রবন্ধ রচনা করতে দেয়া হয় না: বরং বিভিন্ন বিষয়বস্তু সম্পর্কে নানা প্রকার তত্ত্ব ও তথ্য সম্পর্কেও তাদের উৎসাহী করে তোলা হয়।

সুতরাং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবন্ধ বা অনুচ্ছেদ রচনা প্রধানত কয়েকটি কারণে প্রয়োজনীয়:

ক. নানা বিষয় সম্পর্কে তাদের উৎসাহী করে তোলা:

খ. প্রবন্ধের গঠনরীতির সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া;

গ. অনুচ্ছেদের গঠনরীতি সম্পর্কে অবহিত করা;

ঘ. চিন্তার সুশৃঙ্খল বিন্যাস সাধন করতে শেখানো:

ঙ. ভাষার ওপর দক্ষতা ও সাবলীলতা অর্জনে সহায়তা করা।

প্রবন্ধের প্রকারভেদ

প্রবন্ধ-সাহিত্যকে সাহিত্য তাত্ত্বিকেরা নানা দিক থেকে শ্রেণীবিভাগ করে তাদের মধ্যকার পারস্পরিক পার্থক্যের বিষয়টি নির্দেশ করেছেন। ঐ সব সূক্ষ্ণ বিতর্কে না গিয়ে আমরা প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রধানত দুটি বিভাজন মেনে নিতে পারি:

ক. চিন্তাশ্রিত প্রবন্ধ (Formal essay)

খ. ভাবাশ্রিত প্রবন্ধ (Familiar essay)

চিন্তাশ্রিত প্রবন্ধে লেখক প্রধানত একটি বিষয়বস্তুর অবতারণা করেন এবং ঐ বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। যেমন একজন প্রবন্ধকার যদি বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় আকাশ সংস্কৃতি বা স্যাটেলাইট কালচার আমাদের চিন্তা, চেতনা ও ঐতিহ্যের ওপর কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে সে সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন, তবে একথা মেনে নিতেই হবে যে, তাঁর প্রকাশিত মত বা অবলম্বিত দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সকলে একমত হবেন এমন নয়। বিপক্ষবানীও থাকবেন। কিন্তু প্রবন্ধকার অবশ্যই তাঁর বক্তব্যকে বা চিন্তাকে যুক্তিপূর্ণভাবে, একটি শহখলার মধ্যদিয়ে প্রকাশ করবেন। বক্তব্য উপস্থাপনের এই কৌশলটি চিন্তাশ্রিত প্রবন্ধের বেলাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ভাবাশ্রিত প্রবন্ধে লেখকের বিশিষ্ট মনোভাব প্রকাশিত হয়। ভাবাশ্রিত প্রবন্ধে বিশেষ ঘটনা বা বিশেষ কোন অবস্থা লেখকের মনে যে ধরনের ভাবের উদ্রেক ঘটায় তাকেই প্রকাশ করে। রবীন্দ্রনাথের 'নববর্ষা' ভাবাশ্রিত প্রবন্ধের একটি সার্থক দৃষ্টান্ত। বর্ষার প্রথম দিন ও প্রথম বর্ষণ তাঁর মনে যে ধরনের ভাবাবেগ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে তাকে ব্যাখ্যা করেছেন। ঐ প্রবন্ধে দেখা যায় নববর্ষের আলোচনা সূত্রে তিনি প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেছেন। সেখান থেকে নানা উদ্ধৃতি উল্লেখ করে, কালিদাসের মেঘদূত ও কুমারসম্ভব মন্থন করে তুলে এনেছেন বর্ষা সম্পর্কিত নানা চিত্রের উল্লেখ। ঐ প্রবন্ধের মধ্যদিয়ে বোঝা যায় বর্ষা কবির চিত্তপটে কি বিপুল প্রভাব বিস্তার করেছিল, এবং কোন ধরনের ভাবের সৃষ্টি করেছিল।

আমরা যে চিন্তামূলক প্রবন্ধের কথা একটু আগে বলেছি, সেটিই হল প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রধান ধারা। ঐ ধরনের প্রবন্ধই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রচিত হয়। এ কারণে চিন্তামূলক প্রবন্ধের পরিসর অনেক বিস্তৃত। বিষয়বস্তুর বৈচিত্রোর কথা বিবেচনা করে চিন্তামূলক প্রবন্ধকে আরো কয়েকটি উপবিভাগে বিভাজন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে:

ক. বিবৃতিমূলক (Narrative)

খ. ব্যাখ্যামূলক (Expository)

গ. বর্ণনামূলক (Descriptive)

ঘ. তত্ত্বমূলক (Aurgumentive)

ঙ. ভাবমূলক (Reflective)

চ. তথ্যমূলক (Informative)

নিচে প্রত্যেক প্রকার প্রবন্ধ সম্পর্কে আলোচনা করে তাদের প্রকৃতি ও স্বরূপ বুঝে নেবার চেষ্টা করা যাক।

বিবৃতিমূলক প্রবন্ধ: এ ধরনের প্রবন্ধে প্রবন্ধকার তাঁর বিশিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গীর সাহায্যে কোন একটি বিষয়ের পরিচিতি উপস্থাপন করেন এবং বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে তাঁর অবস্থানও ঘোষণা করেন। অর্থাৎ তিনি যদি বিষয়ের স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে থাকেন তবে যুক্তিসহ তাঁর অবস্থানকে কার্যকরণাত্মক করে তোলেন; আর যদি বিপক্ষে অবস্থান নেন তবে সেক্ষেত্রেও তিনি বিস্তার করেন বিপক্ষের যুক্তিজাল।

ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ: এ ধরনের প্রবন্ধে প্রবন্ধকার বিষয়ের আপাত সত্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ না করে বরং তার ভেতরে প্রবেশ করে উদ্‌ঘাটন করতে চান প্রকৃত সত্যকে। একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটাকে বোঝার চেষ্টা করা যাক। আমাদের সমাজে দুর্নীতি আজ সর্ববিস্তারি। এটি একটি সর্বজন স্বীকৃত সত্য। কিন্তু ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধের রচয়িতা ঐ স্বীকৃতি সত্যের সামাজিক রাজনৈতিক ও আর্থনীতিক কারণ অনুসন্ধান ও তাকে ব্যাখ্যা করে পৌঁছাতে চাইবেন একটি গভীরতর সত্যে।

বর্ণনামূলক প্রবন্ধ: এ ধরনের প্রবন্ধে তথ্য ও তত্ত্বের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের তুলনায় বিষয়বস্তুর লক্ষ্য যোগ্য বর্ণনাই প্রাধান্য পায়। প্রবন্ধকার তাঁর খোলা চোখে বিষয়ের যতটুকু দেখতে পান সে সম্পর্কে একটি সরল বর্ণনা উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠকের সামনে এক ধরনের সত্যদৃষ্টির উন্মোচন ঘটাতে চান। বর্ণনামূলক প্রবন্ধের তত্ত্ব ও তথ্যের বিশ্লেষণ সে কারণে অনেকখানি পাঠকের প্রাজ্ঞতা ও বোধের ওপর নির্ভর করে।

তত্ত্বমূলক প্রবন্ধ: তত্ত্বমূলক প্রবন্ধে প্রবন্ধকার প্রথমেই নির্বাচিত বা নির্ধারিত বিষয়ের সব পক্ষের যুক্তি, পাল্টা যুক্তিকে একত্র করে নেন। তারপর সেগুলোকে শ্রেণীকরণ করেন অর্থাৎ যে যুক্তিগুলো অধিক তাৎপর্যপূর্ণ সেগুলোকে তিনি আলোচনার শুরুতে উপস্থাপন করেন এবং গুরুত্বের বিবেচনায় অবশিষ্ট যুক্তি বা পাল্টা যুক্তিকে ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন। এখানে প্রবন্ধকার বিষয়বস্তুর পক্ষে ও বিপক্ষের সকল যুক্তিকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পৌঁছাতে চান একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে। এ ধরনের প্রবন্ধ আজকালকার বিতর্কমূলক প্রতিযোগিতার তত্ত্বকাঠামোকে অনুসরণ করে যেন গড়ে  ধরনের প্রবন্ধে প্রচুর পরিমাণ তথ্যের সমাবেশ ঘটে থাকে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রবন্ধকার সে সব তথ্যের কোন গভীরতর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন না। গঠনের দিক থেকে একে পরিচিতি মূলক প্রবন্ধও বলা যেতে পারে। সাধারণভাবে দৈনিক সংবাদপত্রগুলোতে আমরা তথ্যমূলক প্রবন্ধের সমাবেশ বেশি দেখতে পাই। মনে করা যাক, একালের একটি জনপ্রিয় যন্ত্র কম্পিউটার, তাকে নিয়ে লেখা হতে পারে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধ। ঐসব প্রবন্ধে বিশেষজ্ঞদের উপযোগী কোন তথ্য হয়তো খুব বেশি থাকে না কিন্তু সাধারণ পাঠক তা থেকে উপকৃত হতে পারেন। তাঁরা ঐ প্রবন্ধ পাঠের মাধ্যমে যে সাধারণ ধারণা পেয়ে থাকেন তার মাধ্যমে উৎসাহী হয়ে আরো গভীরভাবে বিষয়টি জানবার চেষ্টা করতে পারেন। অনুচ্ছেদ রচনার বেলাতে উপর্যুক্ত বিভাজনগুলো সবক্ষেত্রে মেনে চলা সম্ভভ হয় না। কারণ অনুচ্ছেদ মূলত ছোট পরিসরে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে টুকরো অনুভূতি দেবার চেষ্টা করে পাঠককে।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url