নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপায়সমূহ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মাস্টার্স শেষ পর্ব
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিষয় কোড : ৩১১৯০৯
নিরাপত্তা অধ্যয়ন (Security Studies)
রচনামূলক প্রশ্নবলি
প্রশ্ন: নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপায় সম্পর্কে আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিকরণ। স্নায়ুযুদ্ধের পরবর্তী সময় থেকেই এ দিকটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৯৫ সালে Barry Buzan সর্বপ্রথম নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বা securitization-এর বিষয়টি উল্লেখ করেন। জনজীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা গবেষণায় নতুন উপাদান যোগ করতে হবে, যাতে সামষ্টিক নিরাপত্তা ধারণা তৈরি হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপায়ঃ
নিম্নে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. অস্ত্র নিয়ন্ত্রণঃ
সামরিক সামর্থ্য অর্জন, মোতায়েন এবং এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন। অধিকন্তু, পরিভাষাটি দ্বারা সংশ্লিষ্ট কর্মসমূহ দ্বারা সংঘাত ব্যবস্থাপনার ন্যায় কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে আরো সংযম প্রদর্শনকেও বুঝায়। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের অন্যতম তাত্ত্বিক ভিত্তি হচ্ছে, যে অস্ত্রশস্ত্র আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিরন্তন বৈশিষ্ট্য এবং নিবর্তক নীতি হচ্ছে শক্তি প্রয়োগের কূটনীতির মূল্যবান ও ইতিবাচক মাধ্যম। সে অর্থে আদর্শিকভাবে এবং নীতিগতভাবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিরস্ত্রীকরণ থেকে পৃথক। নিরস্ত্রীকরণ যেখানে পরিণামে অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্ন দেখে অথবা অন্তত এমন একটি বিশ্বের কথা ভাবে, যেখানে অস্ত্রের ব্যবহার তথা শক্তি ব্যবহারের আশঙ্কা যথেষ্ট হ্রাস পায়, সেখানে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যেই কাজ করতে ইচ্ছুক। অবশ্য উভয় পদ্ধতিই একটি ব্যাপারে একমত যে, অনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র প্রতিযোগিতা বর্তমান ব্যবস্থাকে বিপন্ন করবে, যা সবার জন্যই ক্ষতিকারক। স্নায়ুযুদ্ধকালে বিশ্বরাজনীতিতে অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ পরিভাষাটি দ্বারা পরাশক্তি দুটোর মধ্যে দ্বিমেরুবিশিষ্ট সম্পর্ক স্থিতিশীল করার নীতি কৌশল হিসেবে দেখা হতো।
২. জোটঃ
একাধিক রাষ্ট্র বা দলের মধ্যে কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জোট গঠিত হয়। যুদ্ধাবস্থা, সামরিক প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক প্রয়োজনে এ ধরনের জোট গঠিত হতে পারে। সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নির্বাচনের প্রশ্নেও একাধিক দলের মধ্যে জোট গঠিত হতে পারে। রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে জোট প্রতিরক্ষামূলক অথবা আক্রমণাত্মক দুই-ই হতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তির বিপক্ষে জোটবদ্ধ মিত্রশক্তি যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে অল্পকিছু সদস্য নিয়ে জোটগঠন করে পরবর্তীতে, যা NATO হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ন্যাটোর মোকাবিলায় কম্যুনিস্ট ব্লক কর্তৃক ওয়ারশ - চুক্তিও জোটবদ্ধ হওয়ার আরেকটি নজির। জোট গঠনের ফলে কোনো নতুন রাষ্ট্র গড়ে উঠে না এবং মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
৩. সালিসিঃ
অনেক সমস্যার সমাধান সালিসির মাধ্যমে করা হয়। সালিসির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো। (ক) সংশ্লিষ্ট বিবদমান দলগুলোর মধ্যে সালিসযোগ্য বিষয়গুলো এবং এক্ষেত্রে পদ্ধতিগত দিকের ব্যাপারে মতৈক্য, (খ) এক্ষেত্রে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ঐকমত্য, (গ) এমন সিদ্ধান্তে আসা যা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, (ঘ) সালিসের - সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে প্রারম্ভেই ঐকমত্য। সালিসির মতো ক্ষেত্রে বিবাদ মিটানোর নিমিত্তে এক ধরনের আইনি কৌশল থাকে, যা কূটনৈতিক আলোচনা (সৌজন্য ব্যবহার, মধ্যস্থতা, তদন্ত, সমঝোতা ইত্যাদি) থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
৪. সাময়িক যুদ্ধ বিরতি, সাময়িক সন্ধিঃ
যুদ্ধ বা বৈরিতার অবসানে সম্পাদিত চুক্তি। ঐতিহাসিকভাবে, পরিভাষাটি দ্বারা যুদ্ধাবস্থার সাময়িক নিবৃত্তি বা অবসান বুঝালেও (যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য) ১৯১৮ সাল থেকে (প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে) শব্দটি দ্বারা বিবাদ বা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করাকে বুঝায়। এক্ষেত্রে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঐকমত্য ঘোষিত হতে পারে, যুদ্ধবিরতির সীমা নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। বর্তমানে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে Truce বা Ceasefire নামেই বেশি অভিহিত করা হয় এবং শব্দগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আজকাল তেমন আর সূক্ষ্ম পার্থক্য বজায় রাখা হয় না। সাধারণত স্থায়ী শান্তিচুক্তির উদ্দেশ্যে আলাপ-আলোচনা আরম্ভ করার জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি হয়ে থাকে।
৫. সংঘাত ব্যবস্থানাঃ
সংঘাত ব্যবস্থাপনা দ্বারা বিবাদের এমন একটি পরিস্থিতি বুঝায়, যেখানে বিবাদ অব্যাহত - থাকলেও অন্তত বিবাদের চরম ক্ষতিকর পরিণতি থেকে আপাতত রক্ষা পাওয়া যায়। অন্যকথায় বিবাদ ব্যবস্থাপনা বলতে - সহিংসতা পরিহার করাকে বুঝায়। এ ধরনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পারস্পরিক সাধারণ নিবর্তকের আশ্রয় নেওয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে শক্তির ভারসাম্য রক্ষাকে বিবাদের একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বিবাদ যদি সহিংসতার সিকে ধাবিত হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি প্রভৃতির মাধ্যমে উক্ত লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে।
৬. বিবাদ নিবারণঃ
বিবাদ নিবারণের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের ভোগান্তি প্রতিহত করা এবং বিবাদ শুরু হওয়ার পরে তা ঠেকাতে ব্যবহৃত ব্যয়বহুল রাজনৈতিক, সামরিক অভিযানগুলোর বিকল্প হিসেবে কাজ করা অথবা সংঘর্ষকালে এর প্রসারকে সীমাবদ্ধ করা। এটি ঘটতে পারে মধ্যস্থতা, আপসরফা ও সংলাপের মাধ্যমে। নিবারণের একটি অপরিহার্য উপকরণ হচ্ছে আগাম সতর্কীকরণ। জাতিসংঘ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের রাজনৈতিক ও অন্যান্য ঘটনাবলি সতর্কতার সঙ্গে মনিটর করে, যাতে আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা যায় এবং এভাবে নিরাপত্তা পরিষদ ও মহাসচিব যাতে নিবারক ব্যবস্থাদি নিতে পারে।
৭. সংঘাত নিরসনঃ
বিবাদময় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও সমাধানের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পদ্ধতি। বিবাদ মীমাংসার জন্য বিবদমান উভয় পক্ষকেই তাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হয়, যেন অন্য ছাড়াই তারা লক্ষ্যার্জনে সক্ষম হয়।
৮. সংঘাত মিটানোঃ
যুদ্ধাবস্থার অবসানের জন্য উদ্যোগ। বিবাদের অবসান এক শক্তি কর্তৃক অন্য শক্তির উপর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেও হতে পারে। বিজয়, পরাজয় এবং আত্মসমর্পণ যেভাবেই বিজয় অর্জিত হতে পারে, ঐতিহাসিকভাবে বিবাদ মীমাংসার ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে তাৎপর্যপূর্ণ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে অন্য পন্থা হচ্ছে বিবাদে জড়িতদের মধ্যে কোনো কোনো গোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে পরিবর্তন আনা। সম্ভাব্য কারণ এ যে, নতুন নেতৃত্ব একই ধরনের ব্যবস্থাপনার আগ্রহী ছিল না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সালিসি এবং মধ্যস্থতাকে বিবাদ মিটানোর ক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৯. নিরস্ত্রীকরণঃ
সাধারণভাবে নিরস্ত্রীকরণ বলতে বুঝায় মারণাস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট ধরনের বা সকল প্রকার অস্ত্র হ্রাস করা (পরিপূর্ণ উচ্ছেদ নয়), উৎপাদিত অস্ত্র ধ্বংস করা বা উৎপাদন বন্ধ করা। নিরস্ত্রীকরণ চার ধরনের হতে পারে। (ক) সাধারণ নিরস্ত্রীকরণ, (খ) আঞ্চলিক নিরস্ত্রীকরণ, (গ) সংখ্যাগত নিরস্ত্রীকরণ, (ঘ) গুণগত নিরস্ত্রীকরণ। নিরস্ত্রীকরণ ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ করলে কেবল অস্ত্রের পরিমাণ হ্রাস বা বিলোপ সাধনই বুঝায় না, সেনাবাহিনীর সংখ্যা হ্রাসও বুঝায়। ১৯৫২ সালে জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ কমিশন গঠিত হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে জেনেভাভিত্তিক কমিটি নিরস্ত্রীকরণ কমিটি নামে পরিচিতি লাভ করে।
১০. পারমাণবিক সমতাঃ
গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সীমিতকরণ সংলাপ (Strategic Arms Limitation Talks, SALT) এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হ্রাস সংলাপ (Strategic Arms Reduction Talks START)-এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কার কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তা নিরূপণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। যদিও এতদসম্পর্কিত গোপনীয়তার দরুন পারমাণবিক অস্ত্রের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা দুরূহ, তথাপি ১৯৮০-এর দশকে প্রতীয়মান হয় যে, উভয় রাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তি মোটামুটি সমান সমান। লাঞ্চার ও মিসাইল সংখ্যা, মেগাটনেজ ও থ্রোওয়েট এর দিক থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মোট অস্ত্রের পরিমাণ ও লক্ষ্যভেদ ক্ষমতার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এগিয়ে। এটা জানার আগ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একথা ভেবে ভীত ছিল যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের লক্ষ্যভেদ ও বিস্ফোরণ ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিভিত্তি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বড় অংশকেই ধ্বংস করে দিতে সমর্থ। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সে ক্ষমতা নেই। এ ভীতি হ্রাস পাওয়ার ফলে ইউরোপে ন্যাটোর প্রচলিত অস্ত্র ও সামরিক শক্তিও হ্রাস করা হয়।
১১. অধিজাতীয়তাবাদঃ
বিভিন্ন রাষ্ট্রের হাত থেকে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে আইনি কর্তৃত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার বিধিসম্মত হস্তান্তরকে অধিজাতীয়তাবাদ বলে। অধিজাতীয়তাবাদী সংস্থার সদস্যরা এর প্রধান অঙ্গগুলোকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্স, জার্মানি প্রভৃতি ইউরোপের কয়েকটি রাষ্ট্রের মনে হয়েছিল যে, রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য শুধু কয়েকটি সংস্থা গঠন করলে হবে না, এর সঙ্গে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, যা তার এক্তিয়ারভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মতৈক্যের বিষয়সমূহ সম্পর্কে সাধারণ নীতি স্থির করতে সক্ষম হবে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নীতিগুলো রূপায়ণ করতে বদ্ধপরিকর থাকবে।
১২. অহিংসাঃ
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে গৌতম বুদ্ধই সর্বপ্রথম অহিংস নীতি বা অহিংসবাদ প্রচার করেন। মহাত্মা গান্ধী এ নীতিকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেন। অহিংসবাদ সন্ত্রাসবাদের বিপরীত। গান্ধীজি মনে করতেন যে, যা হিংসার দ্বারা অর্জিত হয় তা হিংসার মাধ্যমেই ধ্বংস হতে বাধ্য। আর যা অহিংসার মাধ্যমে লব্ধ, তা স্থায়ী হওয়াই স্বাভাবিক। তার মতে গণতন্ত্র হলো 'অবিকৃত অহিংসার শাসন'। তিনি আরো বলতেন যে, যতদিন পর্যন্ত অহিংসাকে একটি জীবন্ত শক্তি হিসেবে স্বীকার করা না যাবে, ততদিন গণতন্ত্র বহুদূরের স্বপ্ন হয়েই থাকবে। তার মতে, কোনো সরকারের পক্ষেই সম্পূর্ণ অহিংস হওয়া সম্ভবপর না হলেও, 'সে সরকারই সর্বশ্রেষ্ঠ, যে সরকার সর্বাপেক্ষা কম শাসনক্ষমতা প্রয়োগ করে।'
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে, স্নায়ুযুদ্ধের পরে রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশের মতো বিষয়গুলো নিরাপত্তার পরিধিকে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করেছে। যে কারণে কিভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তা আজ বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। সুতরাং যৌথ নিরাপত্তা, শক্তির ভারসাম্য, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জোট গঠন, সালিসি ব্যবস্থা, সাময়িক যুদ্ধবিরতি, সংঘাত ব্যবস্থাপনা, নিরস্ত্রীকরণ, পারমাণবিক সমতা, অহিংসার মাধ্যমে বিশ্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তাছাড়া বিশ্ব আন্দোলন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
