সাধারণ জ্ঞান কুইজ: স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী নিরাপত্তা ইস্যু
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি: স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী নিরাপত্তা ইস্যু
১। স্নায়ুযুদ্ধ কাকে বলে?
উত্তর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিদ্যমান দুটি পরাশক্তির মাঝে রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতাকে স্নায়ুযুদ্ধ বলে।
২। স্নায়ুযুদ্ধের সময়কাল কত?
উত্তর: ১৯৪৫ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত।
৩। কোন দুটি দেশ স্নায়ুযুদ্ধের কেন্দ্রে ছিল?
অথবা, স্নায়ুযুদ্ধ কোন দুটি পরাশক্তির মধ্যে চলছিল?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
৪। দুটি দেশ কিসের ভিত্তিতে ঠাণ্ডা বা স্নায়ু বা শীতল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল?
উত্তর: আদর্শের ভিত্তিতে।
৫। কোন আদর্শের ভিত্তিতে ঠাণ্ডা বা স্নায়ুযুদ্ধে লিপ্ত ছিল?
উত্তর: পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে।
৬। পুঁজিবাদী আদর্শের নেতৃত্বে ছিল কোন দেশ?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৭। সমাজতান্ত্রিক আদর্শের নেতৃত্বে ছিল কোন দেশ?
উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়ন।
![]() |
| সাধারণ জ্ঞান কুইজ: স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী নিরাপত্তা ইস্যু |
৮। বর্তমান বিশ্বের ৪টি সামরিক হুমকি উল্লেখ কর।
উত্তর: (ক) আইএস সমস্যা, (খ) শরণার্থী সমস্যা, (গ) সিরীয় সংকট, (ঘ) সন্ত্রাসবাদ।
৯। যুদ্ধ কাকে বলে?
উত্তর: যুদ্ধ বলতে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ তথা সমগ্র প্রতিযোগিতামূলক সংঘর্ষকে বুঝায়।
১০। ন্যাটো কত সালে গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে।
১১। কিসের প্রেক্ষিতে ন্যাটো গঠিত হয়?
উত্তর: স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষিতে।
১২। কোন দেশের নেতৃত্বে সিয়াটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে।
১৩। সিয়াটো চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: ১৯৫৪ সালে।
১৪। কত সালে সিয়াটো চুক্তি ভেঙে দেওয়া হয়?
উত্তর: ১৯৭০ সালে।
১৫। ন্যাটোকে টেক্কা দেওয়ার জন্য রাশিয়া কোন চুক্তি করেছিল?
উত্তর: ওয়ারশ চুক্তি।
১৬। কত সালে জার্মান বিভাজন হয়?
উত্তর: ১৯৫৫ সালে।
১৭। কোন আদর্শকে কেন্দ্র করে জার্মান ভাগ হয়ে যায়?
উত্তর: পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক আদর্শকে কেন্দ্র করে।
১৮। জার্মানির দুটি অংশ কোন কোন আদর্শের অনুসারী ছিল?
উত্তর: পূর্ব জার্মানি সমাজতান্ত্রিক ও পশ্চিম জার্মানি পুঁজিবাদী আদর্শের অনুসারী ছিল।
১৯। মার্কিন প্রতিবেশী কিউবা কোন ব্লকে ভুক্ত ছিল?
উত্তর: সোভিয়েত ব্লক।
২০। সোভিয়েত ইউনিয়ন কত সালে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করে?
উত্তর: ১৯৫৭ সালে।
২১। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন কিউবা সংকটে সোভিয়েত ইউনিয়ন কি ধরনের সাহায্য করেছিল?
উত্তর: সকল প্রকার সামরিক সাহায্য।
২২। কত সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়?
উত্তর: ১৯৯১ সালে।
২৩। স্নায়ুযুদ্ধ কত সালে শেষ হয়?
অথবা, কত সালে ঠাণ্ডাযুদ্ধ থেমে যায়?
উত্তর: ১৯৯১ সালে।
২৪। কত সালে ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেমে যায়?
উত্তর: ১৯১১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে।
২৫। সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিল কয়টি দেশ?
উত্তর: ১৫টি।
২৬। সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিল কোন দেশ?
উত্তর: রাশিয়া।
২৭। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন বিশ্বে পরাশক্তি ছিল কয়টি?
উত্তর: দুটি।
২৮। পরাশক্তি দুটির নাম কি?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
২৯। স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় একক পরাশক্তি হিসেবে কার আবির্ভাব হয়?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
৩০। স্নায়ুযুদ্ধের প্রভাব কোন মহাদেশে বেশি পড়েছিল?
উত্তর: ইউরোপে।
৩১। স্নায়ুযুদ্ধ থেকে যাওয়ার ফলে কোন প্রভাব কমেছে?
উত্তর: সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক প্রভাব।
৩২। স্নায়ুযুদ্ধ থেমে যাওয়ার ফলে কোন প্রভাব বেড়েছে?
উত্তর: মার্কিন নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী প্রভাব।
৩৩। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন ভারত কোন প্রভাব বলয়ে ছিল?
উত্তর: সোভিয়েত প্রভাব বলয়ে।
৩৪। গ্রাহযুদ্ধ চলাকালীন চীন কোন প্রভাব বলয়ে ছিল?
উত্তর: আদর্শগত কারণে সোভিয়েত প্রভাব বলয়ে।
৩৫। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অনুসৃত ধারক নীতির হাতিয়ার হিসেবে যে সকল আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সংগঠন গড়ে তুলেছিল তার মধ্য থেকে দুটির নাম লিখ।
উত্তর: ন্যাটো ও সিয়াটো।
৩৬। ১৯৫১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন সংগঠন গড়ে তোলে?
উত্তর: ANZUS।
৩৭। ANZUIS-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: Astralia, Newzealand and United Stated of America.
৫৮ । ANZUS কোন ধরনের সংগঠন?
উত্তর: সামরিক সংগঠন।
৫৯। কিসের প্রেক্ষিতে ANAUS গঠিত হয়?
উত্তর: স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন চীন ও সোভিয়েত যৌথশক্তিকে প্রতিহত করার জন্য।
৪০। ওয়ারশ জোট কবে ভেঙে যায়?
উত্তর: ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে।
৪১। সোভিয়েত রাশিয়া পরাশক্তির আসন থেকে বিচ্যুত হওয়ার প্রধান কারণ কি?
উত্তর: অর্থনৈতিক দুর্বলতা।
৪২। এপেক কত সালে গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৯৩ সালে।
৪৩। নাফটা কত সালে গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৯৩ সালে।
৪৪। নাফটাভুক্ত দেশ কতটি?
উত্তর: তিনটি
৪৫। নাফটাভুক্ত দেশগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো।
৪৬। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে কি বলা হয়?
উত্তর: স্টার ওয়ার।
৪৭। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কোন মেয়াদে বিদ্যমান ছিল?
উত্তর: ১৯৩৯ সাল হতে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত।
৪৮। ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জ কোন দেশ?
উত্তর: চীন।
৪৯। চীন কোন শক্তির প্রাধান্য বিস্তার করছে?
উত্তর: অর্থনৈতিক শক্তি
৫০। বর্তমান বিশ্বে প্রধান মিলিটারি চ্যালেঞ্জ কোনটি?
উত্তর: আই এস'র উত্থান।
৫১। বোকো হারাম কি?
উত্তর: নাইজেরিয়াভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
৫২। সন্ত্রাসবাদ কি?
উত্তর: সন্ত্রাসবাদ হলো সন্ত্রাসের পদ্ধতিগত ব্যবহার যা প্রায়শই ফধ্বংসাত্মক এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ঘটানো হয়।
৫৩। বর্তমানে বিশ্বের দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম লিখ।
উত্তর: আল-কায়েদা ও আইএস।
৫৪। অধ্যাপক ব্রেইনের মতে সন্ত্রাসবাদ কি?
উত্তর: অধ্যাপক ব্রেইনের মতে, সন্ত্রাসবাদ হলো রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য শক্তি প্রয়োগ বা শক্তি প্রয়োগের হয়তি।
৫৫। মূলত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় কখন থেকে?
উত্তর: ১/১১-এর পর থেকে।
৫৬। টুইন টাওয়ারে কখন হামলা হয়?
উত্তর: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর।
৫৭। ৯/১১-এর তাৎপর্য কি?
উত্তর: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত টুইন টাওয়ার আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়েছিল।
৫৮। 'হিজবুল্লাহ' কোন দেশর জঙ্গি সংগঠন?
উত্তর: লেবানন।
৫৯। বর্তমান বিশ্বে বর্তমানে প্রধান সন্ত্রাসবাদী সংগঠন কোনটি?
উত্তর: আল-কায়েদা।
৬০। পৃথিবীর প্রধান দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম লিখ।
উত্তর: আল-কায়েদা ও আইএস।
৬১। কয়েকটি সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশনের নাম লিখ।
উত্তর: (ক) অপারেশন নোবেল এগল, (খ) অপারেশন এগল অ্যাসিস্ট, (গ) অপারেশন একটিভ এনডেভার, (ঘ) অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম ইত্যাদি।
৬২। অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম কি?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশন।
৬৩। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে কোন ধর্মের লোক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: ইসলাম ধর্মের লোক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬৪। বিশ্বায়নের মূল সুর কি?
উত্তর: সমগ্র বিশ্বকে একটি গ্রাম হিসেবে দেখা।
৬৫। বিশ্বায়নের প্রধান কারণ কি?
উত্তর: বিশ্বায়নের প্রক্রিয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর বিকাশ।
৬৬। বিশ্বায়ন ধারণাটি বহুমাত্রিক না সংকীর্ণ?
উত্তর: বহুমাত্রিক।
৬৭। বিশ্বায়নের ফলে তিনটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ কর।
উত্তর: ১ ধনী-দরিদ্র আয় বৈষম্য, ২. অনুন্নত দেশে শিল্প রুগ্নতা সৃষ্টি এবং ৩. দরিদ্র দেশগুলোতে আমদানি বৃদ্ধি।
৬৮। বিশ্বায়নের একটি ইতিবাচক দিক লিখ।
উত্তর: উন্নয়নের সুফল সারা বিশ্বের নাগরিকগণ ভোগ করতে পারে।
৬৯। বিশ্বায়নের ৩টি সুবিধা লিখ।
উত্তর: ১. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, ২. পুঁজি ও শ্রমের সহজ সঞ্চালন ও ৩. অবাধ তথ্য প্রবাহ।
৭০। বিশ্বায়নের একটি নেতিবাচক দিক লিখ।
উত্তর: ধনী-গরিব বৈষম্য সৃষ্টি হওয়া।
৭১। বর্তমান বিশ্ব কয় মেরুকেন্দ্রিক?
উত্তর: বহুমেরু প্রবণতা বিশিষ্ট এক মেরুকেন্দ্রিক।
