সাধারণ জ্ঞান- দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি

প্রশ্ন: ১। দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নাম বল?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন: ২। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো- 
(ক) শহর কেন্দ্রিক রাজনীতি।
(খ) জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব।
(গ) ব্যক্তির প্রভাবে দল গঠন।
(ঘ) সম্মোহনী নেতৃত্বের সমাবেশ।
(ঙ) আমলাদের প্রভাব।
(চ) রাজনীতিতে বৈধতার সংকট।
(ছ) রাজনৈতিক কোন্দল।
(জ) বহুদলীয় রাজনীতি।
(ঝ) রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রাধান্য।
(ঞ) রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৩। নব্য রাষ্ট্রসমূহ বলতে কি বুঝ?

উত্তর: সাধারণভাবে নব্য রাষ্ট্রসমূহ বলতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বা স্বাধীনতার জন্য সচেষ্ট এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার রাষ্ট্রসমূহকে বুঝায়।

প্রশ্ন: ৪। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: সাধারণত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বলতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও বিশৃঙ্খলার বহিঃপ্রকাশকে বুঝায়।

প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার সাজেশন- দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি
প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার সাজেশন- দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি

প্রশ্ন: ৫। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ কি?

উত্তর: এ অঞ্চলের দেশগুলোর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণগুলো হলো-
(ক) দারিদ্র্যতা।
(খ) জাতীয় সংহতির অভাব।
(গ) সরকারের প্রতি বৈরিতা।
(ঘ) যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।
(ঙ) হিংসাত্মক কার্যকলাপ।
(চ) সাম্প্রদায়িকতা।
(ছ) সহনশীলতার অভাব।
(জ) স্বৈরতান্ত্রিক ঐতিহ্য।
(ঝ) সামাজিক গতিশীলতার অভাব।
(ঞ) সামরিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৬। ক্যারিজমা কি?

উত্তর: ক্যারিজমা হচ্ছে কোন ব্যক্তির নেতৃত্বের প্রতি চরম ব্যক্তিগত ভক্তি বা আসক্তি এবং অন্যান্য গুণাবলির প্রতি ব্যক্তিগত আসক্তি।

প্রশ্ন: ৭। দক্ষিণ এশিয়ার ক্যারিজমাসুলভ নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের নাম বল?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার ক্যারিজমা বা সম্মোহনী নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ভারতের মহাত্মা গান্ধী, বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন: ৮। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
(ক) অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থা।
(খ) গ্রামীণ অর্থনীতির পশ্চাদপদতা।
(গ) শিল্পের অনগ্রসরতা।
(ঘ) অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
(ঙ) জ্বালানি শক্তির অভাব।
(চ) খাদ্য সংকট প্রভৃতি।

প্রশ্ন: ৯। রাজনৈতিক উন্নয়ন বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: সাধারণভাবে বলা যায়, একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার অগ্রগতিই হলো রাজনৈতিক উন্নয়ন। অন্যকথায় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাঠামোগত স্বতন্ত্রীকরণ, সাম্যস্থাপন, সংহতি অর্জন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াই হলো রাজনৈতিক উন্নয়ন।

প্রশ্ন: ১০। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক উন্নয়নের সংকটগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক উন্নয়নের সংকটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
(ক) একাত্মতার সংকট।
(খ) বৈধতার সংকট।
(গ) অনুপ্রবেশের সংকট।
(ঘ) অংশগ্রহণের সংকট।
(ঙ) সংহতির সংকট।
(চ) বণ্টন সংকট ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১১। জাতি গঠন বলতে কি বুঝ?

উত্তর: জাতি গঠন বলতে আমরা বুঝি একই ভূ-খণ্ডে বসবাসরত জনসমষ্টির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগত ঐক্য যার ভিত্তিতে উক্ত সব জনসমষ্টি সমস্বার্থের ভিত্তিতে একই সংবিধানের অধীনে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে।

প্রশ্ন: ১২। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতি গঠন প্রক্রিয়ার সমস্যাগুলো উল্লেখ কর?

উত্তর: এ সমস্যাগুলো হলো-
(ক) বর্ণ ও সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্ব।
(খ) শ্রেণীগত ব্যবধান।
(গ) ভাষাগত বিরোধ।
(ঘ) আর্থিক দুর্বলতা।
(৬) শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব।
(চ) সামরিক হস্তক্ষেপ।
(ছ) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১৩। সংসদীয় সরকার কাকে বলে?

উত্তর: সাধারণভাবে সংসদীয় সরকার বলতে এমন এক ধরনের সরকারকে বুঝায় যেখানে মন্ত্রিপরিষদ তাদের কার্যকলাপের জন্য আইন বিভাগের নিকট দায়ী থাকে। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির নামে সমস্ত কর্ম সম্পাদিত হয়। কিন্তু প্রকৃত শাসন ক্ষমতা মন্ত্রি পরিষদের উপরই ন্যস্ত থাকে।

প্রশ্ন: ১৪। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে সংসদীয় রাজনীতির ব্যর্থতার কারণ কি?

উত্তর: এ অঞ্চলে সংসদীয় রাজনীতির ব্যর্থতার কারণগুলো নিম্নরূপ-
(ক) নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
(খ) রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ।
(গ) সরকারি ও বিরোধী দলে দ্বন্দ্ব।
(ঘ) রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য।
(ঙ) দল ভাঙনের রাজনীতি।
(চ) জনমতের গুরুত্বহীনতা।
(ছ) আমলাদের প্রভাব।
(জ) পার্টিগত বিরোধ।
(ঝ) রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানিকীকরণের অভাব।
(ঞ) ধংসাত্মক রাজনীতির ব্যাপকতা ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১৫। সামাজিক পরিবর্তন বলতে কি বুঝ?

উত্তর: কালের গতিতে রীতিনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন ঘটে তাকে সামাজিক পরিবর্তন বলে। সামাজিক পরিবর্তন বলতে সামাজিক বিবর্তন, প্রগতি ও পরিবর্তনকে বুঝায়। 

প্রশ্ন: ১৬। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে সামাজিক পরিবর্তনে ক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কি কি?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা পালনকারী শক্তিসমূহ হলো-
(ক) নবজাগ্রত চেতনা।
(খ) ঔপনিবেশিক শক্তির প্রভাব।
(গ) ব্যাপক শিল্পায়ন।
(ঘ) পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব।
(ঙ) ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারা।
(চ) রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব।

প্রশ্ন: ১৭। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উপর ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব উল্লেখ কর।

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উপর ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(ক) নতুন সামাজিক শ্রেণীর উদ্ভব।
(খ) নতুন প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তন।
(গ) নতুন ভূমি ব্যবস্থার প্রবর্তন।
(ঘ) সামাজিক সংস্কার।
(ঙ) পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার।
(চ) ব্যাপক নগরায়ন।
(ছ) সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন ইত্যাদি।
(ছ) বিশ্বায়নের প্রভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১৮। ঔপনিবেশিক শাসন অর্থনীতির ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলে?

উত্তর: ঔপনিবেশিক শাসন অর্থনীতিতে নিম্নোক্ত প্রভাব ফেলে-
(ক) কৃষি জমি খণ্ড-বিখণ্ডিকরণ।
(খ) ভূমিহীন কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
(গ) স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ জীবন ধ্বংস।
(ঘ) আধুনিক শিল্পের স্থাপনা বৃদ্ধি।
(ঙ) হস্তশিল্পের ধ্বংস সাধন।

প্রশ্ন: ১৯। জাতীয়তাবাদ কি?

উত্তর: জাতীয়তাবাদ একটি চেতনা, এক ধরনের মানসিকতা এবং অনুভূতি। এই চেতনা মানুষকে একত্রিত করে। মহামিলনের মন্ত্রে দীক্ষিত করে এবং জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর করে তোলে।

প্রশ্ন: ২০। জাতীয়তাবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তর: জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ জনসমাজ পৃথিবীর অন্যান্য জনসমাজ থেকে নিজেদের পার্থক্য করে দেখে। এই পার্থক্যবোধই জাতীয়তাবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন: ২১। জাতীয়তাবাদের উপাদানগুলো কি কি?

উত্তর: জাতীয়তাবাদের প্রধান উপাদানগুলো হলো-
(ক) বংশগত ঐক্যানুভূতি
(খ) ধর্মীয় ঐক্যানুভূতি
(গ) ভাষা ও সাহিত্যগত ঐক্য
(ঘ) ভৌগোলিক ঐক্য
(৬) ঐহিত্য ও কৃষ্টিগত ঐক্য
(চ) অর্থনৈতিক স্বার্থের ঐক্য এবং
(ছ) শাসন ব্যবস্থার ঐক্য।

প্রশ্ন: ২২। জাতীয় সংহতি কি?

উত্তর: জাতীয় সংহতি বলতে রাজনীতির ক্ষেত্রে সেই ধরনের প্রক্রিয়াকে বুঝায়, যার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকে পৃথক কতকগুলো ভিন্ন মতকে একত্রিত করে একই চেতনায় প্রথিত করা হয়।

প্রশ্ন: ২৩। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় সংহতির সমস্যাবলি কি কি?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জাতীয় সংহতি অর্জনের সমস্যাগুলো নিম্নরূপ-
(ক) বর্ণ ও সম্প্রদায়গত বিরোধ,
(খ) শ্রেণীগত বৈষম্য,
(গ) ভাষাগত বিরোধ,
(ঘ) অর্থনৈতিক দূরবস্থা,
(ঙ) বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অভাব,
(চ) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব,
(ছ) শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব,
(জ) উপজাতীয় সমস্যা,
(ঝ) সামরিক হস্তক্ষেপ,
(ঞ) বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ২৪। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঘন ঘন সামরিক হস্তক্ষেপের কারণ কি কি?

উত্তর: সামরিক হস্তক্ষেপের কারণগুলো হলো-
(ক) দীর্ঘকালীন সংকট
(খ) রাজনৈতিক শূন্যতা
(গ) অভ্যন্তরীণ কোন্দল
(ঘ) সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব
(ঙ) বিদেশী শক্তির প্ররোচনা।
(চ) শ্রেণী ও ব্যক্তিগত স্বার্থ
(ছ) ক্ষমতার মোহ
(জ) স্বার্থত্যাগী নেতার অভাব
(ঝ) সংহতি ও স্বাধীনতা রক্ষা
(ঞ) রাজনৈতিক অসচেতনতা ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ২৫। এ অঞ্চলের রাজনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তর: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো- ১. শহরকেন্দ্রিক রাজনীতি, ২. জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব, ৩. ব্যক্তির প্রভাব দল গঠন, ৪. সম্মোহনী নেতৃত্বের সমাবেশ, ৫. আমলাদের প্রভাব, ৬. রাজনীতিতে বৈধতার সংকট, ৭. রাজনৈতিক কোন্দল, ৮. বহুদলীয় রাজনীতি, ৯. রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ, ১০. রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব।

প্রশ্ন: ২৬। 'নব্য রাষ্ট্রসমূহ' বলতে কি বুঝ?

উত্তর: সাধারণভাবে নব্য রাষ্ট্রসমূহ বলতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বা স্বাধীনতার জন্য সচেষ্ট এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার রাষ্ট্রসমূহকে বুঝায়। 

প্রশ্ন: ২৭। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বলতে কি বুঝ?

উত্তর: সাধারণত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বলতে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও বিশৃঙ্খলার বহিঃপ্রকাশকে বুঝায়।

প্রশ্ন: ২৮। রাজনৈতিক উন্নয়ন বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: সাধারণভাবে বলা যায় যে, একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার অগ্রগতিই হলো রাজনৈতিক উন্নয়ন। অন্য কথায় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাঠামোগত স্বতন্ত্রীকরণ, সাম্যস্থাপন, সংহতি অর্জন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াই হলো রাজনৈতিক উন্নয়ন।

প্রশ্ন: ২৯। রাজনৈতিক উন্নয়নের সংকটগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: রাজনৈতিক উন্নয়নের সংকটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 
১. একাত্মতার সংকট
২. বৈধতার সংকট
৩. অনুপ্রবেশের সংকট
৪. অংশগ্রহণের সংকট
৫. সংহতির সংকট
৬. বণ্টন সংকট।

প্রশ্ন: ৩০। জাতি গঠন বলতে কি বুঝ?

উত্তর: জাতি গঠন বলতে আমরা বুঝি একই ভূ-খণ্ডে বসবাসরত জনসমষ্টির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগত ঐক্য যার ভিত্তিতে উক্ত সব জনসমষ্টি সমস্বার্থের ভিত্তিতে একই সংবিধানের অধীনে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে।

প্রশ্ন: ৩১। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উপর ঔপনিবেশিক শাসনের সামাজিক প্রভাব উল্লেখ কর।

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার ঔপনিবেশিক শাসনের সামাজিক প্রভাব নিম্নে উল্লেখ করা হলো- ১ নতুন সামাজিক শ্রেণীর উদ্ভব, ২. নতুন প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তন, ৩. নতুন ভূমি ব্যবস্থার প্রবর্তন, ৪. সামাজিক সংস্কার, ৫. পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার, ৬. ব্যাপক নগরায়ন, ৭. সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন।

প্রশ্ন: ৩২। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাবে অর্থনীতির উপর কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়?

উত্তর: ১. কৃষি জমি খণ্ড, বিখণ্ডিকরণ, ২. ভূমিহীন কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, ৩. স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম্য জীবন ধ্বংস। ৪. আধুনিক শিল্পের স্থাপনা বৃদ্ধি, ৫. হস্তশিল্পের ধ্বংস সাধন।

প্রশ্ন: ৩৩। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র কোনটি?

উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র হলো ভারত।

প্রশ্ন: ৩৪। কত সালে ভারত স্বাধীন হয়?

উত্তর: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।

প্রশ্ন: ৩৫। ভারতকে State Nation বলা হয় কেন?

উত্তর: ভারতে বহু ভাষাভিত্তিক প্রদেশ আছে, এখানে বিভিন্ন বর্ণে, গোত্র ও সম্প্রদায়ের লোক বাস করে। জাতীয়তার দিক থেকে তারা সকলেই ভারতীয়। এজন্য ভারতকে State Nation বলা হয়।

প্রশ্ন: ৩৬। ভারতে জাতি গঠন সমস্যা এত প্রকট কেন?

উত্তর: ভারতে বহু ধর্ম, বহু গোত্র, বহু ভাষার প্রচলন এছাড়া রয়েছে শ্রেণী বৈষম্য ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা যা ভারতের জাতি গঠন সমস্যাকে প্রকট করে তুলছে।

প্রশ্ন: ৩৭। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কি?

উত্তর: ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভারতীয়রা ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কল্পে এবং অধিকার আদায়ের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন: ৩৮। ভারতীয় কংগ্রেস কার উদ্যোগে কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৮৮৫ সালে এ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম নামক একজন ইংরেজ কর্মচারীর উদ্যোগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের জন্ম হয়।

প্রশ্ন: ৩৯। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন?

উত্তর: ভারতের তৎকালীন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা ছিলেন গান্ধীজী

প্রশ্ন: ৪০। মৌলবাদ কি? 

উত্তর: ধর্মকে পুঁজি করে, ধর্মের পুরনো ধ্যান-ধারণাকে সভ্য জগতের মাঝে প্রতিষ্ঠা করার যে প্রক্রিয়া তাকে মৌলবাদ বলে।

প্রশ্ন: ৪১। ভারতের মৌলবাদী শক্তিসম্পন্ন রাজনৈতিক দল কোনটি?

উত্তর: বি. জে. পি (শিবসেনা)।

প্রশ্ন: ৪২। বি. জে. পি. কত সালে গঠিত হয়?

উত্তর: ১৯৭৭ সালে গঠিত হয়।

প্রশ্ন: ৪৩। ভারতের হিন্দু মৌলবাদের নেতা কে?

উত্তর: ভারতে হিন্দু মৌলবাদের নেতা হলেন বাল থ্যাকার।

প্রশ্ন: ৪৪। কখন নির্বাচনে কংগ্রেস বি. জে. পির নিকট পরাজিত হয়?

উত্তর: কংগ্রেস ১৯৭৭ সালের ১৭ই মার্চ জাতীয় নির্বাচনে প্রথম বিজেপির নিকট পরাজিত হয়।

প্রশ্ন: ৪৫। ভারত সর্বশেষ কততম লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়।

উত্তর: সর্বশেষ দ্বাদশতম লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়।

প্রশ্ন: ৪৬। ভারতে সবচেয়ে কম কোন সরকার ক্ষমতায় ছিল?

উত্তর: বি. জে. পি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাত্র ১৩ দিনের জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল।

প্রশ্ন: ৪৭। ভারতে লোকসভার আসন কয়টি?

উত্তর: ভারতের লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৫টি।

প্রশ্ন: ৪৮। লোকসভায় কয়টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ৫৪৫টি আসনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৫৪৩টিতে। অবশিষ্ট দু'টি রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেন।

প্রশ্ন: ৪৯। ভারতে মোট কতটি অঙ্গরাজ্য আছে?

উত্তর: ২৮টি।

প্রশ্ন: ৫০। ভারতে কোন ধর্মাবলীর সংখ্যা কি রকম?

উত্তর: হিন্দু ৮৩% মুসলমান ১২%, খ্রিস্টান ২.৬%, শিখ ১.৯%, বৌদ্ধ ০.৭%, জৈন ০.৫% বাকি সব অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। 

প্রশ্ন: ৫১। ভারতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে ছিলেন? 

উত্তর: ভারতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন উমেশ চন্দ্র ব্যানার্জী।

প্রশ্ন: ৫২। মহাত্মা গান্ধী কত সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন?

উত্তর: মহাত্মা গান্ধী ১৯২৩ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন।

প্রশ্ন: ৫৩। সুভাষ চন্দ্র বসু কত সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন?

উত্তর: সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৩৮ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রশ্ন: ৫৪। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কখন কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন?

উত্তর: সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৩৯ সালের ২৯শে এপ্রিল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।

প্রশ্ন: ৫৫। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু কি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন?

উত্তর: কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু 'ফরওয়ার্ড ব্লক' নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

প্রশ্ন: ৫৬। ভারতের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো কি কি?

উত্তর: ভারতের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- 
১. ভাষাগত সমস্যা
২. শ্রেণী বৈষম্য
৩. সাম্প্রদায়িক বিরোধ 
৪. আর্থিক দুরাবস্থা
৫. মৌলবাদের উত্থান
৬. বর্ণগত বিরোধ
৭. কটন ও একাত্মতার সংকট ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৫৭। ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: কংগ্রেস, বি. জে. পি, সি. পি. আই, সি. পি. এম ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৫৮। ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
(ক) বৃহত্তর ও জটিল সংবিধান
(খ) লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের সংমিশ্রণ
(গ) সুপরিবর্তনীয় ও দুস্পরিবর্তনীয় সংবিধানের সংমিশ্রণ
(ঘ) ধর্ম নিরপেক্ষতা
(ঙ) সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকার
(চ) এক নাগরিকত্ব সংবিধানের প্রাধান্য
(জ) বিচারালয়ের প্রাধান্য
(ঝ) মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার
(ঞ) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি।

প্রশ্ন: ৫৯। কংগ্রেস কখন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

উত্তর: ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

প্রশ্ন: ৬০। ভারতের পার্লামেন্ট কত কক্ষ বিশিষ্ট?

উত্তর: ভারতের পার্লামেন্ট দুই কক্ষ বিশিষ্ট। এ দুটি কক্ষ হলো রাজ্যসভা ও লোকসভা। রাজ্যসভা হলো পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ এবং লোকসভা হলো নিম্ন কক্ষ।

প্রশ্ন: ৬১। ভারতের কেন্দ্রীয় আইন সভার কয়টি অঙ্গ রয়েছে।

উত্তর: ভারতের কেন্দ্রীয় আইন সভার তিনটি অঙ্গ রয়েছে। যথা- রাষ্ট্রপতি, রাজ্যসবা ও লোকসভা।

প্রশ্ন: ৬২। ভারত কখন স্বাধীনতা লাভ করে?

উত্তর: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।

প্রশ্ন: ৬৩। ভারতে ব্রিটিশ শাসন স্থায়ী ছিল কত বছর?

উত্তর: ১৯০ বছর।

প্রশ্ন: ৬৪। ভারতের কয়েকজন মহান ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ কর।

উত্তর: মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সৈয়দ আহম্মদ খান, ফিরোজশাহ মেহতা, ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখ।

প্রশ্ন: ৬৫। ভারতের রাষ্ট্রীয় নাম কি?

উত্তর: ইন্ডিয়ান রিপাবলিক।

প্রশ্ন: ৬৬। ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের নাম বল।

উত্তর: পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মনিপুরী, অরুনাচল, অযোধ্যা, ছত্রিশগড়, শিলি গুড়ি, ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৬৭। প্রধান মন্ত্রি নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত মতামত বা ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য আছে কি?

উত্তর: প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের সংখ্যা গরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন। সাধারণত তিনি লোকসভার নেতা বা নেত্রীকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহ্বান করেন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত মতামত বা ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই।

প্রশ্ন: ৬৮। ভারতের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো কি কি?

উত্তর: ভারতের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো হলো-
(ক) ভাষাগত বিরোধ
(খ) বর্ণ ও সম্প্রদায়গত বিরোধ
(গ) শ্রেণীগত বৈষম্য
(ঘ) মৌলবাদের উত্থান
(ঙ) বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন
(চ) সন্ত্রাসবাদের প্রভাব
(ছ) রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
(জ) শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব
(ঝ) শাসন ও শাসিতের মধ্যে ব্যবধান
(ঞ) প্রশাসনিক সমস্যা ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৬৯। ভারতের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ না করার কারণ কি কি?

উত্তর: ভারতের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ না করার কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(ক) জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের বিকাশ
(খ) ভূ-খণ্ডগত বিশালতা
(গ) দক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব
(ঘ) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
(ঙ) বিভিন্ন বর্ণ ভিত্তিক সামরিক বাহিনী
(চ) নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা
(ছ) সামরিক বাহিনীর ঐতিহ্য
(জ) সংসদীয় ব্যবস্থার সফলতা
(ঝ) গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ
(ঞ) শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৭০। ভারত কি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র?

উত্তর: সাংবিধানিকভাবে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

প্রশ্ন: ৭১। ভারতের সাথে বাংলাদেশের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি সম্পাদিত হয় কত সালে?

উত্তর: ১৯৭৪ সালে।

প্রশ্ন: ৭২। ভারত ও পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘদিনের সংঘাত হয় কোন রাজ্য নিয়ে?

উত্তর: কাশ্মীর রাজ্য নিয়ে।

প্রশ্ন: ৭৩। অযোধ্যার বাবরী মসজিদ কখন ধ্বংস করা হয়?

উত্তর: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন: ৭৪। ভারতের প্রথম মুসলিম প্রেসিডেন্টের নাম কি?

উত্তর: ডঃ জাকির হোসেন।

প্রশ্ন: ৭৫। ভারতের পারমানবিক অস্ত্র আবিষ্কারকের নাম কি?

উত্তর: ভারতের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এপি জে আবুল কালাম।

প্রশ্ন: ৭৬। ভারতের সর্বশেষ নির্বাচন হয় কখন ক্ষমতাসীন হয় কোন দল?

উত্তর: ২০০৪ সালে। ক্ষমতাসীন হয় ন্যাশনাল কংগ্রেস ও জোট।

প্রশ্ন: ৭৭। ভারতীয় মুসলমানরা ব্রিটিশ শাসন বিরোধী যে আন্দোলনগুলো করেছিল সেগুলোর নাম উল্লেখ কর।

উত্তর: ভারতীয় মুসলমানরা ব্রিটিশ শাসন বিরোধী যে আন্দোলনগুলো করেছিল সেগুলো হলো-
(ক) মীর কাসেম আলী খাঁর আন্দোলন।
(খ) ফকির আন্দোলন।
(গ) হাজী শরীয়তুল্লাহ আন্দোলন।
(ঘ) শহীদ তিতুমীরের আন্দোলন।
(ঙ) সৈয়দ আহমদের আন্দোলন।
(চ) বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন।
(ছ) মুসলিম লীগ গঠন ও পৃথক আন্দোলন।
(জ) খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন।
(ঝ) আইন অমান্য আন্দোলন ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৭৮। পাকিস্তানে জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: পাকিস্তানের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো- 
১. ভৌগোলিক সমস্যা
২. পরিচিতি সমস্যা
৩. ধর্মীয় সমস্যা
৪. এলিটজনতা সংহতির সমস্যা
৫. আঞ্চলিক বিভেদ
৬. সাম্প্রদায়িক সমস্যা
৭. সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে বৈরীভাব
৮. দুর্বল সংসদীয় ব্যবস্থা।

প্রশ্ন: ৭৯। পাকিস্তান কখন স্বাধীনতা লাভ করে?

উত্তর: ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে।

প্রশ্ন: ৮০। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে সকল শাসকের আবির্ভাব ঘটে তাদের নাম বল।

উত্তর: এরা হলেন- ১. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ২. খাজা নাজিমুদ্দিন, ৩. ইস্কান্দার মির্জা। 

প্রশ্ন: ৮১। যুক্ত পাকিস্তান ভেঙ্গে গেলে পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট কে হন?

উত্তর: যুক্ত পাকিস্তান ভেঙ্গে যাবার পর ১৯৭২ সালের ২০ শে ডিসেম্বর জুলফিকার আলী ভূট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।

প্রশ্ন: ৮২। পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ কত সালে গঠিত হয়? 

উত্তর: পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ ১৯৪৭ সালের ১০ই আগষ্ট গঠিত হন।

প্রশ্ন: ৮৩। পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সভাপতি কে ছিলেন? 

উত্তর: পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। 

প্রশ্ন: ৮৪। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল এবং প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? 

উত্তর: ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ আলী। 

প্রশ্ন: ৮৫। আইয়ুব খান কখন 'মৌলিক গণতন্ত্রী' আদেশ জারি করেন?

উত্তর: আইয়ুব খান ১৯৫১ সালের ২৭ শে অক্টোবর সমগ্র পাকিস্তানে মৌলিক গণতন্ত্রী আদেশ জারি করেন।

প্রশ্ন: ৮৬। ১৯৬২ সালের সংবিধানে পাকিস্তানে কিরূপ সরকার গঠন করে?

উত্তর: ১৯৬২ সালের সংবিধান পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

প্রশ্ন: ৮৭। পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ কোনটি?

উত্তর: ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন অনুসারে পাকিস্তানের জন্য সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে উক্ত সালেই একটি গণপরিষদ গঠন করা হয়। এটি পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ নামে খ্যাত।

প্রশ্ন: ৮৮। লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব কি?

উত্তর: ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ পাঞ্জাবের লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ. কে ফজলুল হক উপমহাদেশের মুসলমানদের স্বার্থ সংবলিত একটি প্রস্তাব পেশ করেন। এই প্রস্তাবই ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব নামে খ্যাত।

প্রশ্ন: ৮৯। পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয় কত সালে?

উত্তর: স্বাধীনতার্জনের দীর্ঘ ৯ বছর পর ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।

প্রশ্ন: ৯০। ১৯৫৬ সালের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?

উত্তর: ১৯৫১ সালের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
(ক) ইসলামি প্রজাতন্ত্র
(খ) যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা
(গ) সংসদীয় পদ্ধতির সরকার
(ঘ) এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা
(৬) প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
(চ) মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান
(ছ) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
(জ) সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থরক্ষা
(ঝ) রাষ্ট্রভাষা বিষয়ক বিধান
(ঞ) লিখিত দলিল।

প্রশ্ন: ৯১। ১৯৫১ সালের সংবিধান ব্যর্থতার কারণ কি?

উত্তর: ১৯৫৬ সালের সংবিধান ব্যর্থতার কারণগুলো হলো-
(ক) নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি
(খ) নেতৃত্বের শূন্যতা
(গ) ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা
(ঘ) সংসদীয় ব্যবস্থার ব্যর্থতা
(৬) সামরিক শাসন জারি ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৯২। রাজনৈতিক সংহতি কি?

উত্তর: রাজনৈতিক সংহতি হচ্ছে এক প্রকার সৃশৃঙ্খল বন্ধন, যার মাধ্যমে জাতীয় ভূ-খণ্ডে ছড়িয়ে থাকা উপাদানসমূহকে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধীনে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

প্রশ্ন: ৯৩। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংহতির সমস্যাগুলো কি কি?

উত্তর: পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংহতির সমস্যাগুলো হলো-
(ক) ভৌগোলিক সমস্যা
(খ) পরিচিতি সমস্যা
(গ) ধর্মীয় সমস্যা
(ঘ) সাম্প্রদায়িক সমস্যা
(৬) আঞ্চলিক সমস্যা
(চ) সামরিক প্রাধান্য
(ছ) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব
(জ) সুগঠিত রাজনৈতিক দলের অভাব
(ঝ) দুর্বল সংসদীয় ব্যবস্থা
(ঞ) সরকারি ও বিরোধিদের মধ্যে বৈরীভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৯৪। পাকিস্তান রাষ্ট্র কি প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক প্রকৃতির ছিল?

উত্তর: পাকিস্তান তার শাসনের বেশিরভাগ ছিল সামরিক শাসনের কবলে। সামরিক শাসকরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কার্যত তারা সামরিক বলয় হতে কখনো বের হতে পারেনি। পাকিস্তানে তাই গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা সামরিক শাসকদের কাছে হয়েছে পর্যুদস্ত ও পদদলিত। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে কোন গণতান্ত্রিক ছিল না, বরং তা ছিল স্বৈরতান্ত্রিক প্রকৃতির।

প্রশ্ন: ৯৫। সংসদীয় সরকার কাকে বলে?

উত্তর: সাধারণভাবে যে শাসন ব্যবস্থায় শাসন সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষমতা একজন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং মন্ত্রিপরিষদ তাদের কাজের জন্য আইন সভার নিকট দায়ী থাকে তাকে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সংসদীয় সরকার বলে।

প্রশ্ন: ৯৬। পাকিস্তানে সংসদীয় রাজনীতির ব্যর্থতার কারণগুলো কি কি?

উত্তর: পাকিস্তানে সংসদীয় রাজনীতির ব্যর্থতার কারণগুলো হলো-
(ক) নিম্নমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি
(খ) সংবিধান প্রণয়নে বিলম্ব
(গ) শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের অভাব
(ঘ) আমলাদের অসহযোগিতা
(৬) জাতীয় ঐক্য বোধের অভাব
(চ) প্রহসনমূলক নির্বাচন
(ছ) রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
(জ) সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাব
(ঝ) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব
(ঞ) রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ৯৭। মুসলমান ছাড়া অন্য কোন ধর্মাবলম্বীর লোকের বাসস্থান পাকিস্তানে?

উত্তর: দেশটিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি ও বৌদ্ধ ধর্মাবলীদের বসবাস রয়েছে।

প্রশ্ন: ৯৮। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে এ পর্যন্ত কতবার সংঘর্ষ হয়েছে?

উত্তর: জম্মু কাম্বীরকে কেন্দ্র করে ১৯৪৮, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৮ সালে মোট ৪ বার সংঘর্ষ হয়েছে।

প্রশ্ন: ৯৯। কি পরিস্থিতিতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করা হয়?

উত্তর: ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবার পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এবং বিরোধী দলীয় সদস্যদের মধ্যে এক অপ্রীতিককর ঘটনায় ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলী মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা দেশে সামরিক শাসন জারি করেন।

প্রশ্ন: ১০০। পাকিস্তানে মোট কতবার সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে?

উত্তর: তিনবার। ১৯৫৬, ১৯৬২ ও ১৯৭৩ সালে।

প্রশ্ন: ১০১। পাকিস্তানের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি কোনটি?

উত্তর: মুসলিম।

প্রশ্ন: ১০২। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা কোনটি?

উত্তর: উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

প্রশ্ন: ১০৩। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নাম কি?

উত্তর: ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান।

প্রশ্ন: ১০৪। পাকিস্তানে কোন প্রকৃতির সরকার ব্যবস্থা বর্তমান?

উত্তর: রাষ্ট্রপতি শাসিত সামরিক সরকার।

প্রশ্ন: ১০৫। পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের নাম বল?

উত্তর: আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, ইস্কান্দার মির্জা, জিয়াউল হক এবং পারভেজ মোশাররফ।

প্রশ্ন: ১০৬। পাকিস্তানের জনক বলা হয় কাকে?

উত্তর: কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে।

প্রশ্ন: ১০৭। পাকিস্তানে মৌলিক গণতন্ত্রের প্রবক্তা কে?

উত্তর: আইয়ুব খান।

প্রশ্ন: ১০৮। মৌলিক গণতন্ত্র কখন চালু করা হয়?

উত্তর: ১৯৫৬ সালে।

প্রশ্ন: ১০৯। মৌলিক গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল?

উত্তর: নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা।

প্রশ্ন: ১১০। পাকিস্তানে পারমানবিক শক্তির আবিষ্কারকের নাম কি?

উত্তর: আব্দুল কাদির খান।

প্রশ্ন: ১১১। পাকিস্তান ভাঙ্গনের মূল কারণ কি?

উত্তর: অর্থনৈতিক বৈষম্য।

প্রশ্ন: ১১২। পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে কতদিন সময় লেগেছিল?

উত্তর: নয় বছর। এটা টিকেছিল মাত্র আড়াই বছর।

প্রশ্ন: ১১৩। জেনারেল জিয়াউল হক কখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন?

উত্তর: ১৯৭৭ সালের ৫ জুলাই এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জিয়াউল হক অধিষ্ঠিত হন।

প্রশ্ন: ১১৪। বেনজীর ভুটো কখন প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বেনজির ভুট্টো প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

প্রশ্ন: ১১৫। প্রেসিডেন্ট গোলাম ইসহাক খান কর্তৃক তিনি বরখাস্ত হন?

উত্তর: ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট।

প্রশ্ন: ১১৬। বেনজির ভুট্টো কখন দ্বিতীয়বার প্রধান মন্ত্রী হন?

উত্তর: ১৯৯৩ সালের ৭ অক্টোবরের নির্বাচনের পর।

প্রশ্ন: ১১৭। বেনজির ভুট্টোকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতাচ্যুত করেন কে?

উত্তর: এবার তাকে বরখাস্ত করেন তারই নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্ট ফারুক লেঘারি ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর।

প্রশ্ন: ১১৮। নওয়াজ শরীফ প্রথমবার কখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন?

উত্তর: নওয়াজ শরীফ প্রথমবার ক্ষমতার এসেছিলেন ১৯৯০ সালের ২৪ অক্টোবর।

প্রশ্ন: ১১৯। নওয়াজ শরীফ দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন কত সালে?

উত্তর: ১৯৯৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্ন: ১২০। নওয়াজ শরীফ কখন ক্ষমতাচ্যুত হন?

উত্তর: ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং শেষ পর্যন্ত দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।

প্রশ্ন: ১২১। জেনালেল পারভেজ মোশারফ কখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন?

উত্তর: বেসামরিক প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর তিনি নওয়াজ শরীফ সরকারকে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন।

প্রশ্ন: ১২২। শ্রীলংকার অবস্থান কোথায়?

উত্তর: শ্রীলংকা দক্ষিণ ভারতের সর্বশেষ প্রান্ত থেকে মাত্র ২৮ মাইল দূরে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ।

প্রশ্ন: ১২৩। শ্রীলংকার বর্তমান প্রধান সমস্যা কোনটি?

উত্তর: বর্তমানে শ্রীলংকার রাজনীতির প্রধান সমস্যা হল দেশের জাতিগত বিরোধ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

প্রশ্ন: ১২৪। কোন কোন ক্ষেত্রে কাদের মধ্যে এ বিরোধ বিদ্যমান?

উত্তর: তামিল ও সিংহলি ভাষা-ভাষীদের মধ্যে ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত বিষয়ে সংঘাত চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

প্রশ্ন: ১২৫। শ্রীলংকার পূর্ব নাম কি ছিল?

উত্তর: শ্রীলংকার পূর্ব নাম সিংহল।

প্রশ্ন: ১২৬। কত সালে এবং কোন সরকার শ্রীলংকার নামকরণ করেন?

উত্তর: ১৯৭২ সালে ইউনাইটেড ফ্রন্ট সরকার সিংহলের নাম পরিবর্তন করে শ্রীলংকা রাখেন।

প্রশ্ন: ১২৭। তামিল আন্দোলন শ্রীলংকার কোন এলাকায় বিস্তৃত?

উত্তর: শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাংশ জাফনা উপদ্বীপ এলাকায় বিস্তৃত।

প্রশ্ন: ১২৮। শ্রীলংকার প্রধান দুটি জাতি কি কি?

উত্তর: শ্রীলংকার প্রধান দুটি জাতি হলো- ১. তামিল ২. সিংহলী।

প্রশ্ন: ১২৯। শ্রীলংকার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: শ্রীলংকার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মিঃ ডি. এস সেনানায়ক।

প্রশ্ন: ১৩০। শ্রীলংকার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম বল?

উত্তর: 1. United National Party (U. N. P.)
2. Tamil United Liberation Front (T. U. L. F)
3. Communist Party (C. P.) Moscow
4. Communist Party (Peeking)
5. Muslim United Front (M. U. F).

প্রশ্ন: ১৩১। শ্রীলংকার রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি?

উত্তর: জাতিগত বিরোধ ও অব্যাহত সাম্প্রদায়িক সংঘাত শ্রীলংকার রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন: ১৩২। শ্রীলংকার তামিলগণ কয় ভাগে বিভক্ত?

উত্তর: শ্রীলংকার তামিলগণ দুই ভাগে বিভক্ত, যথা- ১. সিংহলী তামিল, ২. ভারতীয় তামিল।

প্রশ্ন: ১৩৩। সিংহলী তামিল কারা?

উত্তর: যারা হাজার হাজার বছর আগে দক্ষিণ ভারতের তামিল নাডু বা মাদ্রাজ হতে শ্রীলংকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিল তারাই সিংহলী তামিল।

প্রশ্ন: ১৩৪। ভারতীয় তামিল কারা?

উত্তর: যারা ব্রিটিশ আমলে ভারত থেকে শ্রীলংকায় গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য বসতি স্থাপন করেছিল তারাই ভারতীয় তামিল নামে পরিচিত।

প্রশ্ন: ১৩৫। কত সালে শ্রীলংকা স্বাধীনতা লাভ করে?

উত্তর: ১৯৪৮ সালে শ্রীলংকা স্বাধীনতা লাভ করে।

প্রশ্ন: ১৩৬। শ্রীলংকার রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয় কখন থেকে?

উত্তর: শ্রীলংকার রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয় মোটামুটি ১৯১৫ সাল হতে।

প্রশ্ন: ১৩৭। সিংহল সংস্কার লীগ কখন কি কারণে গঠন করা হয়?

উত্তর: শ্রীলংকাবাসীরা ব্রিটিশ সরকারের নিকট তাদের দাবী-দাওয়া পেশ করার উদ্দশ্যে ১৯১৬ সালে সিংহল সংস্কার লীগ (Cylon Reform League) গঠন করে।

প্রশ্ন: ১৩৮। শ্রীলংকার মোট জনসংখ্যা কত?

উত্তর: শ্রীলংকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ সিংহলী বৌদ্ধ, ১৭ শতাংশ তামিল, ৮ শতাংশ খ্রিস্টান, ৭ শতাংশ মুসলমান এবং ১ শতাংশ অন্যান্য।

প্রশ্ন: ১৩৯। শ্রীলংকার তামিলদের অবস্থান কেমন?

উত্তর: তামিলরা সংখ্যালঘু হলেও শিক্ষা, দীক্ষা ও অর্থনীতিতে সুদৃঢ় অবস্থানের অধিকারী।

প্রশ্ন: ১৪০। শ্রীলংকার একটানা কত বছর জরুরি অবস্থা বলবৎ ছিল?

উত্তর: ১৯৭১-৭৭ পর্যন্ত সর্বমোট ৬ বছর জরুরি অবস্থা বলবৎ ছিল।

প্রশ্ন: ১৪১। তামিলদের প্রকৃত পরিচয় কি?

উত্তর: তামিলরা মূলত ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতের তামিলনাডু রাজ্য থেকে আমদানিকৃত শ্রমিক শ্রেণী।

প্রশ্ন: ১৪২। শ্রীলংকার গেরিলা বাহিনীর নাম কি?

উত্তর: LTTE

প্রশ্ন: ১৪৩। LTTE বলতে কি বুঝ?

উত্তর: Liberation of tamil tiger Eaelm.

প্রশ্ন: ১৪৪। তামিলদের মূল উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: তামিলদের মূল উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র তামিল রাজ্য প্রতিষ্ঠাকরণ।

প্রশ্ন: ১৪৫। শ্রীলংকার কোন ধরনের সরকার বিদ্যমান?

উত্তর: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান।

প্রশ্ন: ১৪৬। শ্রীলংকার রাজধানীর নাম কি?

উত্তর: কলম্বো।

প্রশ্ন: ১৪৭। শ্রীলংকার পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা কত?

উত্তর: আসন সংখ্যা ২২৫ টি।

প্রশ্ন: ১৪৮। শ্রীলংকার রাষ্ট্র ধর্ম কি?

উত্তর: শ্রীলংকার রাষ্ট্র ধর্ম হলো বৌদ্ধ।

প্রশ্ন: ১৪৯। শ্রীলংকার প্রদেশ সংখ্যা কত?

উত্তর: ৯টি।

প্রশ্ন: ১৫০। শ্রীলংকার সরকারি নাম কি?

উত্তর: The democratic socialist republic of srilanka.

প্রশ্ন: ১৫১। তামিল সমস্যা কি?

উত্তর: শ্রীলংকার তামিল সমস্যা মানেই সংখ্যাগুরু সিংহলীদের সঙ্গে সংখ্যালঘু তামিলদের দ্বন্দ্ব সংঘাত।

প্রশ্ন: ১৫২। তামিলরা কোন ধর্মের অনুসারী।

উত্তর: হিন্দু ধর্মের।

প্রশ্ন: ১৫৩। সিংহলীরা কোন ধর্মের অনুসারী।

উত্তর: বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।

প্রশ্ন: ১৫৪। তামিল সমস্যা সমাধানের জন্য কারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

উত্তর: এ পর্যন্ত তামিল সমস্যা সমাধানে যারা ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন-
(ক) শ্রীমাভো বন্দর নায়েক
(খ) জুলিয়াস জয়বর্ধন
(গ) প্রেমাদাসা
(ঘ) চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা
(৬) ভারতের উদ্যোগ
(চ) নরওয়ের মধ্যস্থতা।

প্রশ্ন: ১৫৫। নেপালে কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত?

উত্তর: নেপালে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত।

প্রশ্ন: ১৫৬। নেপালের রাজতন্ত্রের ইতিহাস কত দিনের?

উত্তর: নেপালের রাজতন্ত্রের ইতিহাস প্রায় আড়াইশত বছরের।

প্রশ্ন: ১৫৭। নেপালে প্রথম কাদের নেতৃত্বে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে নেপালে গুর্খাদের নেতৃত্বে প্রথম রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন: ১৫৮। গুর্খা রাজতন্ত্র কি?

উত্তর: ১৭৬৯-১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে নেপালের রাজতন্ত্র গুর্খা রাজতন্ত্র হিসেবে পরিচিত।

প্রশ্ন: ১৫৯। রানা পরিবারের হাতে রাজতন্ত্রের কর্তৃত্ব চলে যায় কখন কিভাবে?

উত্তর: ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে গুর্খাদের কাছ থেকে নেপালের রাজতন্ত্র চলে যায় রানা পরিবারের হাতে। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্যাপক গণহত্যার মধ্য দিয়ে রানা পরিবার ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসে এবং এই পরিবার ১৮৫০-১৯৫১ পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল।

প্রশ্ন: ১৬০। কখন রানা পারিবারিক রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে?

উত্তর: ১৯৫০-১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রানা পরিবারের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।

প্রশ্ন: ১৬১।নেপালে কখন সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়?

উত্তর: ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নেপালি কংগ্রেস পার্টির দাবির প্রেক্ষিতে রাজা মহেন্দ্র রাজকীয় সংবিধান রচনার মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। এ সময় বহুদলীয় ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নেপালে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু হয়।

প্রশ্ন: ১৬২। ১৯৫৯ সালে প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা কত দিন স্থায়ী ছিল?

উত্তর: ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা মাত্র ২১ মাস স্থায়ী হয়েছিল।

প্রশ্ন: ১৬৩। পুনরায় রাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় কখন কিভাবে?

উত্তর: ১৯৬২ সালে রাজা মহেন্দ্র গণতন্ত্রকে উৎখাত করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করেন। ১৯৬২ সালে নতুন সংবিধান ঘোষণা করে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে পুনরায় রাজতান্ত্রিক শাসন পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন: ১৬৪। রাজতন্ত্রের অধীনে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয় কখন?

উত্তর: ১৯৬২ সালের বহুদলীয় গণতন্ত্র নিষিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠলে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সাংবিধানিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে বহু দলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রশ্ন: ১৬৫। কখন নেপালে রাজতন্ত্রের একনায়কত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র বিক্রম শাহ স্বপরিবারে নিহত হলে নেপালে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিপন্ন হয়। বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ-এর মৃত্যুর পর তার ভ্রাতা জ্ঞানেন্দ্রে রাজা হিসেবে ক্ষমতার অধিষ্ঠিত হয়ে রাজতন্ত্রের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন: ১৬৬। কখন নেপালে মাওবাদী আন্দোলন গড়ে উঠে?

উত্তর: ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নেপালে মাও সেতুং-এর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সংঘবদ্ধ মাওবাদী আন্দোলন গড়ে উঠে।

প্রশ্ন: ১৬৭। নেপালের রাজনৈতিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ কেন?

উত্তর: নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মাওবাদীদের গেরিলা তৎপরতা, হত্যা, খুন, ধর্ষণ প্রভৃতি কারণে নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপূর্ণ।

প্রশ্ন: ১৬৮। নেপালের সাংবিধানিক নাম কি?

উত্তর: নেপালের সাংবিধানিক নাম 'রাজতান্ত্রিক নেপাল' (Kingdom of Nepal).

প্রশ্ন: ১৬৯। প্রশাসনিক ভাবে সমগ্র নেপালকে কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে?

উত্তর: ১৪টি অঞ্চলে।

প্রশ্ন: ১৭০। নেপালে শিক্ষার হার কেমন?

উত্তর: শিক্ষার ক্ষেত্রে নেপাল তেমন অগ্রগতি সাধন করতে পারেনি। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী নেপালে মোট জনসংখ্যার ৪৫.২% শিক্ষিত।

প্রশ্ন: ১৭১। নেপাল কোন ধরনের রাষ্ট্র?

উত্তর: পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল।

প্রশ্ন: ১৭২। নেপালে অন্যান্য ধর্মবলম্বীদের অবস্থান উল্লেখ কর?

উত্তর: নেপালে মোট জনসংখ্যার ৮০.৬% হিন্দু, বৌদ্ধ ১০.৭%, মুসলমান ৪.২% কিবাল্ট, ৩.৬% এবং অন্যান্য ০.৯%।

প্রশ্ন: ১৭৩। নেপালের পার্লামেন্ট কয়কক্ষ বিশিষ্ট এবং আসন সংখ্যা কত?

উত্তর: নেপালের পার্লামেন্ট দুই কক্ষবিশিষ্ট এবং আসন সংখ্যা ২০৫টি।

প্রশ্ন: ১৭৪। নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর?

উত্তর: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার একটি হিন্দু রাষ্ট্রে নেপাল। দেশটি উত্তরে চীন, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ভারত ও পূর্বে ভুটান দ্বারা পরিবেষ্টিত। নেপাল সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ১৩৩৭ মিটার উচুতে অবস্থিত।

প্রশ্ন: ১৭৫। নেপালের আয়তন কত?

উত্তর: নেপালের মোট আয়তন ১,৪২,২১২ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশ্ন: ১৭৬। নেপালের সীমান্ত অঞ্চল উল্লেখ কর?

উত্তর: ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত নেপালের মোট প্রায় ২৯২৬ কি. মি. সীমান্ত অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের সাথে প্রায় ১৬৯০ কিঃ মিঃ এবং চীনের সাথে প্রায় ১২৩৬ কিঃ মিঃ।

প্রশ্ন: ১৭৭। নেপালের ভৌগোলিক পুনঃগঠন কেমন?

উত্তর: নেপালের ভৌগোলিক পুনঃগঠন এমন যে এর তিন-চতুর্থাংশই পার্বত্য অঞ্চল। দেশটির উত্তরে হিমালয়। পর্বতমালা অবস্থিত। কাঞ্চনজঙ্গা ও মাউন্ট এভারেস্ট এখানেই অবস্থিত।

প্রশ্ন: ১৭৮। নেপালের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কেমন?

উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২%। নেপালে জন্ম-মৃত্যুর হার ২. ২%।

প্রশ্ন: ১৭৯। নেপালে জন্ম-মৃত্যুর হার কেমন?

উত্তর: নেপালের জন্মের হার হাজারে ৩১.৪৫ জন এবং মৃত্যুহার ১.৪৭ জন।

প্রশ্ন: ১৮০। নেপালের জাতীয় সংহতির সমস্যাগুলো কি কি?

উত্তর: নেপালে জাতীয় সংহতি সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
(ক) ঔপনিবেশিক চক্রান্ত
(খ) রাজতান্ত্রিক শাসনের ঐতিহ্য
(গ) গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি
(ঘ) বিভাজিত সমাজ ব্যবস্থা
(ঙ) প্রশাসনিক জটিলতা
(চ) নেতৃত্বের দুর্বলতা
(ছ) রাজনৈতিক বিভাজন ও অনৈক্য
(জ) মাওবাদীদের গেরিলা সংগ্রাম
(ঝ) শিক্ষার অভাব
(ঞ) বহিঃ শক্তির প্রভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১৮১। নেপালের কয়টি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলের নাম বল?

উত্তর: নেপালের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল হলো-
(ক) নেপালি কংগ্রেস
(খ) কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল।
(গ) ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক পার্টি
(ঘ) পিপল ফ্রন্ট অব নেপাল
(ঙ) নেপাল ওয়ার্কাস পার্টি
(চ) নেপালি ডিমোক্র্যাটিক কংগ্রেস ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ১৮২। মাওবাদ কি? 

উত্তর: মাওবাদ একটি রাজনৈতিক মতবাদ যা সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণায় পরিপুষ্ঠ। চীনা বিপ্লবী নেতা মাও সেতুং-এর অনুসারীরাই সাধারণভাবে মাওবাদী হিসেবে পরিচিত।

প্রশ্ন: ১৮৩। মাওবাদীদের লক্ষ্য কি?

উত্তর: মাওবাদীদের লক্ষ্য শসস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বুর্জোয়া শাসন ব্যবস্থার স্থলে সমাজতান্ত্রিক শাসন কাঠামো বিনির্মাণ এবং মেহনতি মানুষের মুক্তি অর্জন।

উত্তরঃ আপাতত তাদের লক্ষ্য নেপালে রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ সাধন করে একটি প্রজাতন্ত্রী শাসন প্রতিষ্ঠা করা।


(নোট: প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা চাকুরি বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা নিজনিজ পেশা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানবেন। কেননা এ বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url