অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর: (নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, অর্থায়ন, প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী আচরণ)

নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি পৌরসভা নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অপরিসীম। 


নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (নির্বাচন সম্পর্কে)

১. নির্বাচন কি?

উত্তরঃ যে সাংধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনায় প্রয়াসী হয় তাকে নির্বাচন বলে।

২. নির্বাচনি আচরণ কি?

উত্তরঃ নির্বাচনি রাজনীতির সাথে জড়িত আচরণ, কার্যকলাপ ও সিদ্ধান্তই নির্বাচনী আচরণ।

৩. সামগ্রিক রাজনৈতিক আচরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কি?

উত্তরঃ নির্বাচনি আচরণ।

৪. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি কত প্রকার?

উত্তরঃ দু'প্রকার। যথা- প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও পরোক্ষ নির্বাচন।

৫. প্রত্যক্ষ নির্বাচন কি?

উত্তরঃ যে নির্বাচন পদ্ধতিকে ভোটাধিকারপ্রাপ্ত নাগরিকগণ সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলে।

৬. প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি চালু রয়েছে এমন তিনটি দেশের নাম লিখ?

উত্তরঃ বাংলাদেশ, ভারত ও ব্রিটেন।

৭. বাংলাদেশে কোন কোন নির্বাচন প্রত্যক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ তথা- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি এবং জাতীয় সংসদের ৩০০টি সাধারণ আসনের নির্বাচন।

৮. পরোক্ষ নির্বাচন কি?

উত্তরঃ যে নির্বাচন পদ্ধতিতে জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে একদল মধ্যবর্তী সংস্থার সদস্য নির্বাচন করে এবং পরে এ মধ্যবর্তী সংস্থার সদস্যরাই চূড়ান্তভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করে।

৯. পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যগণ পরোক্ষভাবে (সংসদ সদস্য কর্তৃক) নির্বাচিত হন।

১০. কোন নির্বাচন পদ্ধতিতে সাধারণ ভোটদাতা ও নির্বাচন প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকে না?

উত্তরঃ পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে।

১১. "নির্বাচনী ব্যবস্থা হলো প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটকে আসন বরাদ্দ বা কে বিজয়ী হয়েছে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি।"-কে বলেছেন?

উত্তরঃ ডেভিড রবার্টসন।

১২. বাংলাদেশে নির্বাচনি ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তরঃ সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার নীতি।

১৩. বাংলাদেশে কোন ভোট নীতি প্রচলিত?

উত্তরঃ 'এক ব্যক্তি, এক ভোট' নীতি বা সম ভোটাধিকার নীতি।

১৪. বাংলাদেশে কোন ভোটদান পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে?

উত্তরঃ গোপন ভোটদান পদ্ধতি এবং সহম ও সরল ভোটদান পদ্ধতি।

১৫. EVM-এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ Electionic Voting Machine.

১৬. সমগ্র বাংলাদেশে কয়টি নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত?

উত্তরঃ ৩০০টি।

১৭. সংবিধানের ৬৬নং ধারায় কি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ "নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে প্রার্থীকে ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।"

১৮. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে কমপক্ষে কত বছর বয়স্ক হতে হবে?

উত্তরঃ ৩৫ বছর বয়স্ক।

১৯. সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ কয়টি আসনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন?

উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৫টি আসনে।

২০. সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী কত দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে?

উত্তরঃ ৯০ দিনের মধ্যে।

২১. বাংলাদেশের আইনসভার প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়?

উত্তরঃ আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি।

২২. 'এক এলাকা, এক প্রতিনিধি' ব্যবস্থা কি?

উত্তরঃ যে ব্যবস্থায় কোনো একটি নির্বাচনি এলাকা হতে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়।

২৩. "আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমেই কেবল সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা সম্ভবপর।"-কে বলেছেন?

উত্তরঃ অধ্যাপক হ্যারল্ড জে. লাস্কি।

২৪. EC-এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ Election Commission.

২৫. নির্বাচন কমিশন কি ধরনের প্রতিষ্ঠান?

উত্তরঃ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

২৬. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর কোথায়?

উত্তরঃ আগারগাঁও, ঢাকা।

২৭. সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ১১৮নং অনুচ্ছেদে।

২৮. বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম ভাগে কি নির্ধারণ করা আছে?

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশনের গঠন কাঠামো, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব।

২৯. নির্বাচন কমিশন কাদের নিয়ে গঠিত হবে?

উত্তরঃ একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনার।

৩০. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন কে?

উত্তরঃ রাষ্ট্রপতি।

৩১. নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদকাল কত বছর?

উত্তর: পাঁচ বছর।

৩২. নির্বাচন কমিশনের প্রধান কে?

উত্তরঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

৩৩. বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে?

উত্তরঃ জনাব এ এম এম নাসির উদ্দিন।

৩৪. নির্বাচন পরিচালনা করেন কে?

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশন।

৩৫. নির্বাচন কমিশনের কাজ কি?

উত্তরঃ রাষ্ট্রপতির পদের নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন পরিচালনা করা।

৩৬. নির্বাচন কমিশনের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব কি?

উত্তরঃ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন।

৩৭. নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কাদের নিয়ে গঠিত?

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত।

৩৮. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একটি কাজ লিখ?

উত্তরঃ সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দান।

৩৯. নির্বাচন কমিশন কার্যাবলি বিধিমালা কবে কার্যকর হয়?

উত্তরঃ ২০১০ সালের ১ এপ্রিল।

৪০. সংবিধানের ১১৯নং অনুচ্ছেদে কি বিধান রয়েছে?

উত্তরঃ সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত।

৪১. "নির্বাচন কমিশন (রাজনৈতিক দল নিবন্ধীকরণ) বিধিমালা" কত সালে প্রণীত হয়?

উত্তরঃ ২০০১ সালে। 

৪২. কত তারিখে 'রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা' প্রণীত হয়?

উত্তরঃ ২০০৮ সালের ২৬ আগস্ট।

৪৩. বিধিমালায় উল্লিখিত 'রাজনৈতিক দল' অর্থ কি?

উত্তরঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ (১)-এ সংজ্ঞায়িত রাজনৈতিক দল।

৪৪. বিধিমালায় সংজ্ঞায়িত 'নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল' অর্থ কি?

উত্তরঃ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অর্থ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অধ্যায় VIA-এর অধীন নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল।

৪৫. কত তারিখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা (সংশোধিত) প্রণয়ন করা হয়?

উত্তরঃ ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর।

৪৬. বিধিমালায় উল্লিখিত 'প্রার্থী' অর্থ কি?

উত্তরঃ 'প্রার্থী' অর্থ কোনো নির্বাচনী এলাকা হতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি অথবা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যক্তি।

৪৭. কোন কোন প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না?

উত্তরঃ দল, শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমিক, সরকারি কর্মচারী, অর্থনৈতিক, অফিসিয়াল, শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান।

৪৮. দলের কোন পর্যায় হতে কোন পর্যায়ের সদস্যদের নির্বাচিত করতে হবে?

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের কমিটির সদস্যদের।

৪৯. কত সালের দিকে লক্ষ্য রেখে আবেদনকৃত দলকে একটি পরিকল্পনা করতে হবে?

উত্তরঃ ২০২০ সালে।

৫০. দলের সংবিধান রাষ্ট্রের সংবিধানের সাথে কিরূপ হতে পারবে না?

উত্তরঃ সাংঘর্ষিক হতে পারবে না।

৫১. দলের সংবিধান কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা ঘোষণা করতে পারবে না?

উত্তরঃ এক দলীয় শাসনব্যবস্থা।

৫২. দলের সংবিধানে কি থাকলে দল নিবন্ধনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?

উত্তরঃ দেশের বাইরে কোনো অফিস, শাখা বা কমিটি স্থাপনের ধারা রাখলে।

৫৩. কাউন্সিলে সকল প্রেসিডিয়াম সদস্য কত বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন?

উত্তরঃ ৩ বছরের জন্য।

৫৪. কাউন্সিলে কারা তিন বছরের জন্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন?

উত্তরঃ দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সকল প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদীয় বোর্ডের সকল সদস্যগণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

৫৫. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ফি কত?

উত্তরঃ অফেরতযোগ্য ৫০০০ টাকা।

৫৬. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম কোথায় প্রকাশিত হবে?

উত্তরঃ সরকারি গেজেট।

৫৭. নিবন্ধিত করার পর নির্বাচন কমিশন ঐ রাজনৈতিক দলকে কি প্রদান করবে?

উত্তরঃ গেজেটে প্রকাশ করবে এবং সার্টিফিকেট প্রদান করবে।

৫৮. বিলুপ্ত ঘোষিত কোনো রাজনৈতিক দলের নামে নতুন কোনো রাজনৈতিক দল কি নিবন্ধিত হতে পারবে?

উত্তরঃ নিবন্ধিত হতে পারবে না।

৫৯. হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আদেশ কখন করে?

উত্তরঃ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট।

৬০. আর্থিক সংস্থান কি?

উত্তরঃ অর্থ যোগানের উৎস।

৬১. রাজনৈতিক আর্থিক সংস্থান কি?

উত্তরঃ রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য কাজ করার নিমিত্তে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ বা অর্থের যোগানের পদ্ধতি।

৬২. ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ একটি দলের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকার আর্থিক সংস্থানের কথা উল্লেখ আছে?

উত্তরঃ ৫,০০,০০,০০০ (পাঁচ কোটি) টাকা।

৬৩. বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আয়ের দুটি উৎসের নাম লিখ?

উত্তরঃ সদস্যদের প্রদত্ত চাঁদা ও মনোনয়নপত্র বিক্রয়।

৬৪. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলে কোন ব্যক্তি কি পরিমাণ অনুদান দিতে পারবে?

উত্তরঃ পাঁচলক্ষ টাকা বা সমপরিমাণের সম্পদ।

৬৫. কোনো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে কি পরিমাণ অনুদান দিতে পারবে?

উত্তরঃ পঁচিশ লক্ষ টাকা সর্বোচ্চ।

৬৬. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ২০০৮ অনুসারে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থ ঋণ সম্পর্কে মূল বিধিমালা কি?

উত্তরঃ নির্বাচনের জন্য কোনো প্রার্থী উপস্থাপনকারী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল কমিশন কর্তৃক প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হবার তারিখ থেকে যেসব নির্বাচনী এলাকায় তারা প্রার্থী উপস্থাপিত করেছে, সেসব এলাকার নির্বাচন সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের সব আয় ও খরচের যথাযথ হিসাবরক্ষণ করবে।

৬৭. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ২০০৮ অনুসারে কোন নিবন্ধিত দলের কাছ থেকে অনুদান নিতে পারবে না?

উত্তরঃ বাংলাদেশি নয় এমন ব্যক্তি বা বিদেশে জন্ম নেওয়া কোনো সংগঠনের কাছ থেকে অনুদান নিতে পারবে না।

৬৮. প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের আঞ্চলিক স্তরে কি রাখার বিধান রয়েছে?

উত্তরঃ কোষাধ্যক্ষ।

৬৯. আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব কোথায় লিপিবদ্ধ করতে হয়?

উত্তরঃ রেজিস্ট্রি খাতায়।

৭০. কত সাল থেকে নিবন্ধনকৃত দলসমূহ তাদের হিসাব-নিকাশ দাখিল করে আসছে নির্বাচন কমিশনের কাছে?

উত্তরঃ ২০০৮ সাল থেকে।

৭১. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ২০০৮ অনুসারে প্রতিবছর কত বছর কত তারিখের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব দাখিল করতে হয়?

উত্তরঃ ৩১ জুলাই-এর মধ্যে।

৭২. আওয়ামী লীগে কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে তহবিল পরিচালনার কথা আছে?

উত্তরঃ তহবিল ব্যাংক-এর মাধ্যমে।

৭৩. আওয়ামী লীগে কাদের যৌথ স্বাক্ষরে অর্থ লেনদেনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ দলের সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে।

৭৪. নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ২৫৪ জন।

৭৫. নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি প্রচারণায় আওয়ামী লীগের খরচ কত ছিল?

উত্তরঃ ৩,৬০,২৬,৯৭৪ টাকা।

৭৬. বিএনপি-তে কখন বা কত সময়ের মধ্যে তহবিল প্রকাশ করতে হয়?

উত্তরঃ প্রতি আর্থিক বছরের লেখা ছয় মাসের মধ্যে।

৭৭. নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি-র নির্বাচনী প্রচারণায় খরচ কত ছিল?

উত্তরঃ ৪,৫০,০০,০০০ ছিল।

৭৮. নবম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৪৯ জন।

৭৯. নবম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় কত ছিল?

উত্তরঃ ১৩,৬৭,০০০ টাকা।

৮০. জামায়াতে ইসলামী দলের গঠনতন্ত্রে প্রতিটি স্তরে কি ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কথা আছে?

উত্তরঃ বায়তুল মাল।

৮১. নবম জাতীয় সংসদে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৩৯ জন।

৮২. নবম জাতীয় সংসদে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী প্রচার অভিযানের খরচ কত ছিল?

উত্তরঃ ৭৪, ৭২, ৪০৮ টাকা। 

৮৩. নবম জাতীয় সংসদে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থীদের কত টাকা অনুদান দেয়?

উত্তরঃ ১,২০,০০০ টাকা।

৮৪. নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি তাদের প্রার্থীদের কত টাকা অনুদান প্রদান করে?

উত্তরঃ ৫৫,৯৫,০০০ টাকা।

৮৫. কে নির্বাচনকালীন ক্যাম্পিং-এর ফান্ডের উৎস কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন?

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশন।

৮৬. নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে একজন প্রার্থী সর্বোপরি কত টাকা খরচ করতে পারবেন?

উত্তরঃ ৫,০০,০০০ টাকা।

৮৭. প্রত্যেক রাজনৈতিক দল কত তারিখের মধ্যে আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিবে?

উত্তরঃ ৩১ জুলাই।

৮৮. কত সালের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব কোথাও প্রকাশ করতেন না?

উত্তর: ২০০৮ সালের পূর্বে।

৮৯. কোন প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুসারে আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব কমিশনে জমা পড়ে না?

উত্তরঃ TIB-এর পর্যবেক্ষণের তথ্য অনুসারে।

৯০. CPD-এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ CPD-এর পূর্ণরূপ হলোঃ Center for Policy Dialogue.


পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় যে, আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের কোন বিকল্প নেই। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post