প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি

মৌখিক পরীক্ষা সম্পর্কে পরীক্ষার্থীদের যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকা জরুরী:

সাধারণত সাক্ষাৎকার বোর্ডে একাধিক পরীক্ষক উপস্থিত থাকেন। কোন পত্রের কোন প্রশ্ন দিয়ে সাক্ষাৎকার শুরু হবে, তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। মাস্টার্স প্রথম পর্বের সিলেবাস ব্যাপক। বোর্ডের সদস্যগণ ছাত্র/ছাত্রীদেরকে যেকোনো প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন। তবে সাধারণত সিলেবাস বা পাঠ্যক্রমের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। মনে রাখবেন, আপনার পঠিত পাঁচটি পত্রের নাম ইংরেজিতে ও বাংলায় কোড নাম্বারসহ ভালোভাবে মুখস্থ করবেন। প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে আপনাকে মনোবল ও ধৈর্য্য ধরে সতর্ক থাকতে হবে যেন, কোনভাবেই আপনার দ্বারা ত্রুটিপূর্ণ আচরণ না হয়, যাতে পরীক্ষকগণ আপনার প্রতি কোনরূপ বিদ্রুপ ধারণা পোষণ করতে না পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে জিজ্ঞাসিত কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে আপনি সঠিকভাবে উত্তর দিবেন। আর জানা না থাকলে sorry sir, এই মুহূর্তে মনে আসছে না বলবেন। মনে রাখবেন কোনোক্রমেই ভুল উত্তর দেওয়া যাবে না। মৌখিক পরীক্ষায় আপনাকে সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে বিষয়টি এমন নয়; বরং সাজিয়ে-গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি

মনে রাখতে হবে, আপনার কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর ভাইভা বোর্ডের সদস্যগণ অবশ্যই আশা করেন। এক্ষেত্রে সিলেবাস সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে ভাইভা বোর্ডের সদস্যগণ কিছু সহজ প্রশ্ন করে থাকেন। যেমন- খুলাফায়ে রাশেদীন কাকে বলে? চার খলিফার নাম, কয়েকজন উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফার নাম, কয়েকজন মুঘল সম্রাটের নাম বলো অথবা ৫৭০, ৬২২, ৬২৪, ৬৩০, ৬৬১, ৭৫০, ১২৫৮, ৭১২, ১৫২৬ ইত্যাদি সালগুলো কি জন্য বিখ্যাত ইত্যাদি?

এছাড়াও মৌখিক পরীক্ষায় অনেক সময় দেখা যায়, পরীক্ষার্থীগণ কতকগুলো ভুল বা ত্রুটি করে থাকেন। পরবর্তীতে এসব ত্রুটি তার অকৃতকার্যতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন- সাক্ষাৎকার কক্ষে প্রবেশ ও বিদায় নেওয়ার সময় সালাম না দেওয়া, না জেনে ভুল উত্তর দেওয়া এবং তা নিয়ে তর্ক করা, পরীক্ষকগণকে প্রশ্ন করার সময় বাধা প্রদান করা, শার্টের বোতাম খোলা থাকা বা বুক দেখা যাওয়া, অপরিষ্কার বা ইস্তিরি বিহীন কাপড় পরা এবং আঙ্গুলের নখ দাঁত দিয়ে কাটা। তাই এসব ত্রুটি একজন পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষার নমুনা প্রশ্নপত্রঃ

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভাইভা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে আজ আমি আপনাদের সাথে মৌখিক পরীক্ষার কয়েকটি নমুনা প্রশ্ন তুলে ধরলাম। আপনারা যদি এই নমুনা প্রশ্নগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশাবাদী আপনারা আপনাদের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স মৌখিক পরীক্ষার প্যাটান সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাহলে চলুনী শুরু করা যাক-

মৌখিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন-০১

পরীক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম, স্যার।

পরীক্ষকঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ভিতরে আসতে পারি স্যার?

পরীক্ষকঃ হ্যাঁ, আসুন।

পরীক্ষকঃ আপনার নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পরীক্ষকঃ আপনার বাড়ি কোন জেলায়?

পরীক্ষার্থীঃ মাগুরা জেলায়।

পরীক্ষকঃ আপনি এ বছর কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন?

পরীক্ষার্থীঃ আমি এ বছর এমএসএস প্রথম পর্ব রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করেছি।

পরীক্ষকঃ পরীক্ষা কেমন হয়েছে?

পরীক্ষার্থীঃ জ্বি স্যার, ভালো হয়েছে। 

পরীক্ষকঃ কোর্সের শিরোনামগুলো বলুন।

পরীক্ষার্থীঃ (ক) Western Political Thought (পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা), (খ) Research Methodology and Statistics (গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান), (গ) Introduction to International Politics (আন্তর্জাতিক রাজনীতি পরিচিতি), (ঘ) Public Administration in Bangladesh (বাংলাদেশের লোক প্রশাসন)।.

পরীক্ষকঃ কোন পত্রটা বেশি ভালো হয়েছে?

পরীক্ষার্থীঃ পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা।

পরীক্ষকঃ তিনজন প্রাচীন যুগের দার্শনিকের নাম বল।

পরীক্ষার্থীঃ সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল।

পরীক্ষকঃ তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে সেটা কি?

পরীক্ষার্থীঃ শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক।

পরীক্ষকঃ কে, কার ছাত্র?

পরীক্ষার্থীঃ সক্রেটিসের ছাত্র প্লেটো, প্লেটোর ছাত্র এরিস্টটল।

পরীক্ষকঃ এরিস্টটলের একজন বিখ্যাত ছাত্র আছে তার নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।

পরীক্ষকঃ মধ্যযুগের এরিস্টটল বলা হয় কাকে?

পরীক্ষার্থীঃ সেন্ট টমাস একুইনাসকে।

পরীক্ষকঃ তাকে মধ্যযুগের দার্শনিক বলা হয় কেন?

পরীক্ষার্থীঃ একুইনাস এরিস্টটলের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন এবং এরিস্টটলের যুক্তিবাদী দর্শনের সাথে খ্রিস্টধর্মের বিশ্বাসের সমন্বয় সাধন করে এরিস্টটলের চিন্তাধারা পুনরুজ্জীবিত করেন। এজন্য একুইনাসকে মধ্যযুগের এরিস্টটল বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ভারত উপমহাদেশ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে দুইটি রাষ্ট্র গঠনের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণ সম্পর্কে আলোচনা।

পরীক্ষকঃ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার প্রথম প্রবক্তা কে?

পরীক্ষার্থীঃ নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি।

পরীক্ষকঃ ম্যাকিয়াভেলিবাদ কি?

পরীক্ষার্থীঃ গতানুগতিক চিন্তাধারাকে পরিহার করে সমকালীন রাজনৈতিক সমস্যাবলির সমাধানকল্পে রাজনীতিতে তিনি যে নিজস্ব মতবাদ প্রদান করেন তাই ম্যাকিয়াভেলিবাদ নামে পরিচিত।

পরীক্ষকঃ আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ স্যার আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।


মৌখিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন-০২

পরীক্ষার্থীঃ আসতে পারি স্যার?

পরীক্ষকঃ আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ (ভিতরে প্রবেশ করে কাছে গিয়ে) আসসালামু আলাইকুম।

পরীক্ষকঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার।

পরীক্ষকঃ আপনার নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ মোঃ ওসমান আলী।

পরীক্ষকঃ কোন কোর্সটি সবচেয়ে ভালো হয়েছে?

পরীক্ষার্থীঃ গবেষণা পদ্ধতি ও পরিসংখ্যান।

পরীক্ষকঃ সামাজিক গবেষণা কি?

পরীক্ষার্থীঃ গবেষণা হলো প্রণালিবদ্ধ অনুসন্ধান, সুতরাং সমাজের কোনো ঘটনাকে সুশৃঙ্খল, প্রণালিবদ্ধ, সযুক্তিনিষ্ঠ ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করাকে সামাজিক গবেষণা বলে।

পরীক্ষকঃ সামাজিক গবেষণায় ব্যবহৃত চারটি পদ্ধতির নাম বল।

পরীক্ষার্থীঃ সামাজিক গবেষণায় ব্যবহৃত চারটি পদ্ধতি হলো। দার্শনিক পদ্ধতি, ঐতিহাসিক পদ্ধতি, নৃ-তাত্ত্বিক পদ্ধতি ও জরিপ পদ্ধতি।

পরীক্ষকঃ তথ্য ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য কি?

পরীক্ষার্থীঃ তথ্য হলো কোনো ঘটনার বর্ণনা, কিন্তু তত্ত্ব হলো বিভিন্ন তথ্যের পারস্পরিক বর্ণনা। তত্ত্ব হলো গবেষণার ফল, অন্যদিকে তথ্য হলো পর্যবেক্ষণের ফল। তত্ত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়, কিন্তু তথ্যের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়।

পরীক্ষকঃ গবেষণা নকশা কি?

পরীক্ষার্থীঃ গবেষণা নকশা হলো গবেষণার পরিকল্পনা অর্থাৎ গবেষক প্রাপ্ত সম্পদ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিভাবে গবেষণা কার্যটি সম্পাদন করতে চান তার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।

পরীক্ষকঃ কেস স্টাডি পদ্ধতির ধাপসমূহ কি কি?

পরীক্ষার্থীঃ কেস স্টাডি পদ্ধতির ধাপগুলো হলো: ১. বিষয় নির্বাচন, ২. প্রকল্প গঠন, ৩. তথ্য সংগ্রহ, ৪. তথ্যের বিশ্লেষণ ও ৫. গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য পেশ।

পরীক্ষকঃ পরিসংখ্যান কাকে বলে?

পরীক্ষার্থীঃ কোনো সমস্যা সম্পর্কে সংখ্যাত্মক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলোর প্রণালিবদ্ধ বিশ্লেষণকে পরিসংখ্যান বলে।

পরীক্ষকঃ মধ্যমা কি? 

পরীক্ষার্থীঃ সমাজজাতীয় কতকগুলো তথ্যসমূহকে মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী সাজানোর পর মধ্যবর্তী যে রাশিটি পাওয়া যায় তাকেই মধ্যমা বলে।

পরীক্ষকঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

পরীক্ষার্থীঃ ১৯৭৪ সালে।

পরীক্ষকঃ ঠিক আছে, আপনি এখন আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার, আসসালামু আলাইকুম।


মৌখিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন-০৩

পরীক্ষার্থীঃ আসতে পারি স্যার?

পরীক্ষকঃ জ্বি, আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম।

পরীক্ষকঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার।

পরীক্ষকঃ কোন পত্রটি ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন?

পরীক্ষার্থীঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতি।

পরীক্ষকঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতি কাকে বলে?

পরীক্ষার্থীঃ জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে অপরাপর রাষ্ট্রের সাথে যেসব ব্যবহারিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক চলে তাকেই আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলে অভিহিত করা হয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে প্রসন ক্লার্ক বলেন, "আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো সেই শাস্ত্র, যা বিভিন্ন জাতীয় রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এবং সেই সঙ্গে এসব নীতির কার্যকারিতা ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।"

পরীক্ষকঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিধি কতদূর?

পরীক্ষার্থীঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এবং তাদের মধ্যকার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াই আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সম্পর্ক আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ, প্রতিযোগিতা, সমস্যার সমাধান, কূটনীতি, প্রচারণা, অর্থনৈতিক কলাকৌশল প্রভৃতিও বিশ্লেষণ করে।

আরও পড়ুনঃ রোমিও জুলিয়েট এর প্রেম কাহিনী।

পরীক্ষকঃ Dollar and gun boat diplomacy কি?

পরীক্ষার্থীঃ ল্যাটিন আমেরিকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক শতকেরও বেশি সময় ধরে অর্থ, ঋণ, অস্ত্রশাস্ত্রের সাহায্যের নামে নব্য উপনিবেশ কায়েম করেছে। এ নীতিকে অনেক সমালোচক Dollar and gun boat diplomacy বলে অভিহিত করেছেন। 

পরীক্ষকঃ কয়েকটি সাম্রাজ্যবাদী বা উপনিবেশবাদী রাষ্ট্রের নাম বলো?

পরীক্ষার্থীঃ সাম্রাজ্যবাদী বা উপনিবেশবাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন, জাপান, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য।

পরীক্ষকঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম কি এবং তিনি কততম রাষ্ট্রপতি?

পরীক্ষার্থীঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি।

পরীক্ষকঃ জাতিসংঘ কবে গঠিত হয়?

পরীক্ষার্থীঃ ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫।

পরীক্ষকঃ জাতিসংঘ কেন গঠিত হয়?

পরীক্ষার্থীঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লীগ অব নেশনস নামক আন্তর্জাতিক সংস্থা গড়ে উঠে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমবেতভাবে পৃথিবীর নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষা করা। রাজনৈতিক কারণে লীগ অব নেশনস ব্যর্থ হলে মানবতার কল্যাণে যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব গঠনে বিশ্বমহল উদগ্রীব হয়ে উঠে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ।

পরীক্ষকঃ কখন প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়?

পরীক্ষার্থীঃ ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষকঃ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য কোন কোন রাষ্ট্র?

পরীক্ষার্থীঃ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো: ১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২. ফ্রান্স, ৩. রাশিয়া, ৪. যুক্তরাজ্য ও ৫. চীন।

পরীক্ষকঃ ন্যাটো কি?

পরীক্ষার্থীঃ ন্যাটো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট।

পরীক্ষকঃ বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতি কোন মেরুর পর্যায়ভুক্ত?

পরীক্ষার্থীঃ বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অর্থনৈতিক জোট গঠনের মাধ্যমে (মাসট্রেকট, আকটা, নাফটা) বহু মেরুকরণ চলছে।

পরীক্ষকঃ ওকে, আপনি এবার আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার, আসসালামু আলাইকুম।


মৌখিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন-০৪

পরীক্ষার্থীঃ আসতে পারি স্যার?

পরীক্ষকঃ আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম।

পরীক্ষকঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার।

পরীক্ষকঃ কোন কোর্সটি ভালো হয়েছে?

পরীক্ষার্থীঃ বাংলাদেশের লোক প্রশাসন।

পরীক্ষকঃ লোক প্রশাসন সম্পর্কে যেকোনো একজন তাত্ত্বিকের সংজ্ঞা বলো?

পরীক্ষার্থীঃ লোক প্রশাসন সম্পর্কে L. D. White বলেন, "লোক প্রশাসন সেসব কার্যাবলির সমষ্টি, যাদের উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা।

পরীক্ষকঃ লোক প্রশাসনের জনক কে?

পরীক্ষার্থীঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

পরীক্ষকঃ প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ The Study of Administration.

পরীক্ষকঃ পদসোপান নীতি কি?

পরীক্ষার্থীঃ কতকগুলো পর্যায়ক্রমিক স্তর ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায় হতে সকল কর্তৃত্ব, আদেশ ও নিয়ন্ত্রণ স্তরে স্তরে একেবারে নিম্নস্তরে নিঃসৃত হয়ে আসার নীতিকে পদসোপান নীতি বলে।

পরীক্ষকঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদসোপানের শীর্ষে অবস্থানকারী অরাজনৈতিক কর্মকর্তার পদ কি?

পরীক্ষার্থীঃ সচিব।

পরীক্ষকঃ BPATC-এর পূর্ণরূপ কি?

পরীক্ষার্থীঃ Bangladesh Public Administration Training Centre.

পরীক্ষকঃ বাংলাদেশ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো কিরূপ?

আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক জোট কি? বাংলাদেশের জোটবদ্ধতার রাজনীতি সম্পর্কে আলোচনা

পরীক্ষার্থীঃ বাংলাদেশ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো হলো: সচিব অতিরিক্ত সচিব যুগ্ম সচিব উপ-সচিব সিনিয়র সহকারী সচিব সহকারী সচিব।

পরীক্ষকঃ Rules of Business কি?

পরীক্ষার্থীঃ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিভাবে পরিচালিত হবেন তার বিস্তারিত নির্দেশনাকে Rules of Business বলে।

পরীক্ষকঃ Ordinance কি?

পরীক্ষার্থীঃ সাধারণত যখন সংসদ অকার্যকর থাকে অথবা যখন সংসদের অধিবেশন বন্ধ থাকে, তখন রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি নিজের একক ক্ষমতাবলে যে আইন জারি করে তাকে অধ্যাদেশ বলে।

পরীক্ষকঃ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের ইউনিটগুলো কি কি?

পরীক্ষার্থীঃ জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ।

পরীক্ষকঃ আমলাতন্ত্রের জনক কে?

পরীক্ষার্থীঃ ম্যাক্স ওয়েবার।

পরীক্ষকঃ উন্নয়ন প্রশাসন কাকে বলে?

পরীক্ষার্থীঃ পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংগঠনের কাঠামো, কার্যাবলি এবং আচরণের বিকাশকে উন্নয়ন প্রশাসন বলে।

পরীক্ষকঃ উন্নয়ন প্রশাসনে 4Ps দ্বারা কি বুঝায়?

পরীক্ষার্থীঃ উন্নয়ন প্রশাসনে 4Ps দ্বারা বুঝায়- 1. Planning, 2. Policies, 3. Programmes 3 4. Projects.

পরীক্ষকঃ আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি এবার আসতে পারেন।

পরীক্ষার্থীঃ আপনাদেরকেও ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।


মৌখিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন-০৫

পরীক্ষার্থীঃ May I come in sir?

পরীক্ষকঃ Yes, come in.

পরীক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম।

পরীক্ষকঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বসুন।

পরীক্ষার্থীঃ ধন্যবাদ স্যার।

পরীক্ষকঃ কোন পত্রটি ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন?

পরীক্ষার্থীঃ দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও রাজনীতি।

পরীক্ষকঃ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নাম বলুন।

পরীক্ষার্থীঃ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।

পরীক্ষকঃ দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র কোনটি?

পরীক্ষার্থীঃ ভারত।

পরীক্ষকঃ ভারতকে State Nation বলা হয় কেন?

পরীক্ষার্থীঃ ভারতে বহু ভাষাভিত্তিক প্রদেশ আছে, এখানে বিভিন্ন কর্ণ, গোত্র ও সম্প্রদায়ের লোক বাস করে। জাতীয়তার দিক থেকে তারা সকলেই ভারতীয়। এজন্য ভারতকে State Nation বলা হয়।

পরীক্ষকঃ ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ক্ষমতাসীন দল বি.জে.পি।

পরীক্ষকঃ ভারতের সাথে বাংলাদেশের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি সম্পাদিত হয় কত সালে?

পরীক্ষার্থীঃ ১৯৭৪ সালে।

পরীক্ষকঃ ভারত ও পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘ দিনের সংঘাত কোন রাজ্য নিয়ে?

পরীক্ষার্থীঃ কাশ্মীর রাজ্য নিয়ে।

পরীক্ষকঃ পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে?

পরীক্ষার্থীঃ ইমরান খান।

পরীক্ষকঃ পাকিস্তানে মোট কতবার সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে?

পরীক্ষার্থীঃ তিনবার। যথা- ১৯৫৬ সালে, ১৯৬২ সালে ও ১৯৭৩ সালে।

পরীক্ষকঃ পাকিস্তান ভাঙনের মূল কারণ কি?

পরীক্ষার্থীঃ অর্থনৈতিক বৈষম্য।

পরীক্ষকঃ শ্রীলঙ্কার পূর্ব নাম কি?

পরীক্ষার্থীঃ শ্রীলঙ্কার পূর্ব নাম সিংহল।

পরীক্ষকঃ LTTE-এর পূর্ণরূপ কি?

পরীক্ষার্থীঃ LTTE-এর পূর্ণরূপ হলো- Liberation of Tamil Tiger Eaelm.

পরীক্ষকঃ নেপালের ২৪০ বছরের রাজতন্ত্র বিলোপ হয় কবে?

পরীক্ষার্থীঃ ২৮ মে, ২০০৮ সালে।

পরীক্ষকঃ প্রজাতান্ত্রিক নেপালের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?

পরীক্ষার্থীঃ মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ড।

পরীক্ষকঃ নেপালের সর্বশেষ রাজা কে?

পরীক্ষার্থীঃ রাজা জ্ঞানেন্দ্র।

পরীক্ষকঃ ওকে, আপনি এবার আসুন।

পরীক্ষার্থীঃ আসসালামু আলাইকুম।

আরও পড়ুনঃ জোট রাজনীতির ইতিবাচক দিকগুলো কি কি? বর্তমান সরকারের গঠিত রাজনৈতিক জোটের বর্ণনা দাও

সবশেষেঃ 

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, একটা বিষয় মনে রাখবেন, যেকোনো ভাইভা পরীক্ষা তেমন কঠিন কিছুনা।প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স মৌখিক/ভাইভা হচ্ছে  মূলত ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত পরীক্ষকদের মন জয় করা। সুশৃংখল মানুষের মতো আচরণ এবং নিজেকে উপস্থাপন করাই হচ্ছে ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত পরীক্ষকদের মন জয় করার একটি অন্যতম কৌশল। আরেকটা বিষয় হচ্ছে কোনভাবেই নিজেকে নার্ভাস অনুভব না করা। মনে মনে ভাবতে হবে আমি যে কোন প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। নিজেকে কখনো মন খারাপের মতো উপস্থাপন না করা অর্থাৎ নিজের মুখ মণ্ডলকে অন্ধকারাচ্ছন্ন না রাখা। নিজের মনোবল ও সাহস বৃদ্ধি করা এবং হাসি-খুশি মুখ নিয়ে ভাইবা বোর্ডে উপস্থিত হওয়া। 

প্রিয় পাঠক এবং শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে জানানোর জন্য অনুরোধ করছি। আপনাদের সারা এবং ভালোবাসা পেলে ভবিষ্যতে ভাইভা সম্পর্কে আরোও গভীর প্রশ্ন নিয়ে আর্টিকেল লেখার পরিকল্পনা আছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url