মুক্তিযুদ্ধের গল্প: রাত পোহালেই পনেরোই আগস্ট। Rat Pohalei 15 August


মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প 

লেখক: মনি হায়দার 

রাত পোহালেই পনেরোই আগস্ট



কাজল রাত জেগে আঁকছে।

মহকুমা শহর পিরোজপুর। মফস্বল শহর। রাত দশটা বাজলেই চারপাশে কেমন গাঢ় সবুজ নীরবতা নেমে আসে। এখন রাত এগারোটা বেজে উনপঞ্চাশ মিনিট আঠারো সেকেন্ড। রাত পোহালেই ছবিটা জমা দিতে হবে। হাতে অনেক দিন সময় ছিল। কিন্তু কিভাবে শুরু করবে, কী কী রঙ ব্যবহার করবে- বুঝে উঠতে সময় লেগেছে। কাজল এমন একটা ছবি আঁকতে চায়, আঁকার আকাঙ্ক্ষা করে, যে ছবিটি দেখে সবাই প্রশংসা করবে। সে কারণে দেরি হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের গল্প: রাত পোহালেই পনেরোই আগস্ট। Rat Pohalei 15 August
মুক্তিযুদ্ধের গল্প: রাত পোহালেই পনেরোই আগস্ট

আজ স্কুলে প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক অতুল স্যার বলেছেন-কালই ছবি, রচনা জমা নেয়ার শেষ তারিখ।

রাত জেগে ছবিটি আঁকতে হচ্ছে কাজলকে। মজার ব্যাপার, সন্ধ্যার পর থেকে একনাগাড়ে এঁকে যাচ্ছে ও। কোনো ক্লান্তি নেই। অবশ্য কয়েকটি ছবি কিছুক্ষণ আঁকার পর আর পছন্দ হয়নি, ছিঁড়ে ফেলেছে। এক একটি ছবি ছিড়ে ফেলছে আবার দ্বিগুণ উৎসাহে নতুন ভাবনা ও রঙে ছবি

আঁকতে আরম্ভ করেছে।

কাজল ভাবছে রঙের বিন্যাস, কল্পনা এবং আঁকার আবেগ এমন হবে- যেন ছবির আঁকা মানুষটি কথা বলবে। তার কথায়, ইঙ্গিতে ইতিহাসের পদাবলি সচল সচিত্র হয়ে উঠবে। গভীর মনোযোগে, রাতের নিঃশব্দ প্রহরে কাজল ছবিটা আঁকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। ওর পরনে নীল রঙের একটি জিন্স প্যান্ট। শরীর উদোম। প্রচণ্ড গরম। শরীর ঘামে ভিজে জবজব করছে। কপাল থেকে ঘাম চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে ইজেলে। রুমালে যত্নে মুছে ফেলে কাজল। ওদের বাসায় ইলেকট্রিসিটি নেই। হ্যারিকেনের আলোয় ছবি আঁকার কাজ চলছে। একটু করে রঙে তুলিতে ছবির রেখাগুলো ফুটে উঠছে হাস্যোজ্জ্বল প্রতীকে, জীবন্ত মানুষের প্রতিবিম্বে। তুলি হাতে, হ্যারিকেনটা তুলে একটু দূরে গিয়ে আরও মনোনিবেশ দিয়ে ছবিটার পটভূমি দেখে। রঙের বিন্যাস কোনো জায়গায় অন্যরকম মনে হলে কাজল আবার ব্রাশ চালায়। গাঢ় সূর্যের পটভূমিতে ছবিটি ক্রমে ক্রমে উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠছে। ছবির মানুষটির চোখ, মুখ, গাল, গালের উপরে চিবুকের কাছে তিলটি, উন্নত শির, তীক্ষ্ণ ও প্রশস্ত ললাট মূর্ত হয়ে উঠছে ক্রমে ক্রমে, শিল্পীর সাধনায়।

আরও পড়ুনঃ মনি হায়দারের লেখা মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প "আজও কড়া নাড়ে"

দূরে থানার ঘড়িতে রাত একটা বাজার সঙ্কেত শোনা গেল।

শিল্পী কাজলের চোখে ঘুম নেই। এক আমোঘ নেশা ও সৌরভের কাছে সে আত্মসমর্পণ করেছে। ছবির আঁকা মানুষটি ক্রমে স্পষ্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, আর কাজলের ঘুম ক্লান্তি দূরে চলে যাচ্ছে। ছবি, রঙ, তুলি তার ঘুমকে কেড়ে নিয়েছে। আর ঘণ্টাখানেক কাজ করলেই ছবি আঁকার কাজ শেষ হবে। যেভাবে কাজল ছবিটি আঁকতে চেয়েছিল ঠিক সেভাবেই ছবির কাজ এগুচ্ছে। আর মাত্র ঘণ্টাখানেক। হ্যারিকেনের তেল ফুরিয়ে এসেছে। সে নিজের ঘর থেকে বড় ঘরে যায়। বোতলে রাখা কোরোসিন থেকে হ্যারিকেনে কেরোসিন ভরে। হ্যারিকেন তেল পেয়ে আবার নতুনভাবে আলো দিতে আরম্ভ করছে।

ছবির দিকে গভীর মনোনিবেশের কারণে কাজল বুঝতে পারেনি, কখন ওর বাবা আবদুর রশিদ পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে।

কী করছিস?

নিস্তব্ধ রাতে হঠাৎ প্রশ্নে ঘাবড়ে যায় কাজল। কাজল বাবা খন্দকার আবদুর রশিদের চোখের দিকে তাকায়। আবদুর রশিদ লম্বা চেহারা গড়নের মানুষ। মুখে হালকা কালো দাড়ি।

কথা বলছিস না কেন? কী করছিস এত রাতে?

ছবি আঁকছি।

তোকে না কতবার বলেছি ছবি আঁকবি না। ছবি আঁকা গুনাহের কাজ।

ছবি যে ঘরে থাকে সে ঘরে আল্লাহপাক এবং তার ফেরেস্তারা প্রবেশ করেন না।

কিন্তু আমার যে ছবি আঁকতে ইচ্ছে করে।

ঠিক আছে তাজমহলের ছবি আঁকতে পারিস। দুলদুলের ছবি, কুতুব মিনারের ছবি কত আছে। সে সবের ছবি আঁকছিস না কেনো?

আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প "ভেলায় ভেসে যায়"

আমার যে অন্য ছবিও আঁকতে ইচ্ছে করে।

কেন?

জানি না।

আবদুর রশিদের ইচ্ছে হয় এক থাপ্পড়ে কাজলের সবক'টা দাঁত উপড়ে ফেলে দিতে। কত বড় সাহস, তার মুখের ওপর কথা বলছে। বলছে, অন্য ছবিও আঁকতে ইচ্ছে করে। প্রথম সন্তান ছেলে হলে তাকে মাদ্রাসায় পড়াবে, আল্লাহর নেক বান্দা বানাবে এটাই ছিল তার মনের ইচ্ছা। অথচ ছেলে মাদ্রাসায় পড়তে চাইল না। কাজলের মাও চায় না। শেষে বাধ্য হয়ে স্কুলে ভর্তি করাল আবদুর রশিদ। স্কুলে পড়ালেখা খারাপ না, যদি ঈমান ঠিক রাখা যায়। অথচ এ ছেলে ছবি আঁকছে। স্কুলে ছবি আঁকার শিক্ষক মতলুব আলী যত নাটের গুরু। ছবি আঁকার জন্য কাজলকে নাকি সে প্রচুর বই দিয়েছে। মতলুব আলী কেন এমন কাজ করল জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিল আবদুর রশিদ। যেতে যেতে পরিকল্পনা করেছিল মতলুব আলীকে খুব বকা দেবে। কৈফিয়ত চাইবে- কেন তার ছেলেকে দিয়ে ছবি আঁকার মতো ফালতু কাজ করাতে চায়।

ওমা। মতলুব আলীর কাছে যাওয়ার পর হাওয়া উল্টো বইতে আরম্ভকরল।

আপনি এই স্কুলের আর্টের টিচার?

জ্বি। হালকাপাতলা গড়নের মানুষ মতলুব আলী। গায়ে খদ্দরের পাঞ্জাবি। ব্যাক-ব্র্যাশ করা মাথার কালো মিশমিশে চুল।

তা আপনি কে? পাল্টা প্রশ্ন করে মতলুব আলী।

আমি? আমি আবদুর রশিদ।

স্কুলে কেউ কি পড়ে আপনার?

হ্যাঁ, কাজলের আব্বা আমি।

মুহূর্তে পরিবেশটা পাল্টে গেল। কাজলের আব্বা বলার সঙ্গে সঙ্গে মতলুব আলী চেয়ার ছেড়ে উঠে আবদুর রশিদের হাত ধরে টেনে কাছের চেয়ারে বসায়।

বলুন, কী খাবেন? চা আনাই? এখানে সব সময় গরম আলুপুরি পাওয়া যায়। খেতে খুব মজা। আনাবো?

না। আমি আপনার সঙ্গে কয়েকটা কথা বলতে এসেছি।

এসে ভালোই করেছেন আপনি। না হলে আমি দু'-একদিনের মধ্যে যেতাম আপনার কাছে।

আমার কাছে?

হ্যাঁ।

কেন?

আপনার সঙ্গে আমারও খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।

মতলুব আলীর কথার মাথামুণ্ড কিছুই বুঝতে পারে না খন্দকার আবদুর রশিদ। সে আলুর দমের মতো চুপচাপ বসে থাকে। মতলুব আলী স্যার দপ্তরিকে ডেকে চা আর আলুপুরি আনার জন্য পাঠায়।

শুনুন- আয়েশ করে বসে মতলুব আলী। আপনি খুব ভাগ্যবান পিতা।

আরও পড়ুনঃ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন

বুঝতে পারলাম না আপনার কথা।

কাজল খুব ভালো ছেলে। প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে। এত কম বয়সে, মাত্র ক্লাস সিক্সে পড়ে রঙ, রেখা, ছবি খুব ভালো বোঝে। ওকে যদি ছবি আঁকার লাইনে রাখেন, জীবনে ও প্রতিষ্ঠা পাবে। আমার শিক্ষকতা জীবনে এমন ছবিপাগল মেধাবী ছেলে আর দেখিনি।

আবদুর রশিদ ভিতরে ভিতরে রাগে ফেটে চৌচির। আমার ছেলেকে দিয়ে ছবি আঁকার ব্যবসা করতে চাও, পাপের জগতে নিতে চাও- সেটা হবে না- মনে মনে সে বলে।

প্রকাশ্যে আবদুর রশিদ বলে- ছবি আঁকলে কি জীবন চলবে?

আপনি জানেন না, আজকাল...।

স্কুলের দপ্তরি মোড়ের দোকান থেকে আলুপুরি আর চা নিয়ে এসেছে।

গরম আলুপুরি। ভাপ উঠছে।

নিন, খেতে খেতে কথা বলছি। মতলুব আলী একটা আলুপুরি তুলে দেয় আবদুর রশিদের হাতে। নিজেও কামড় বসায় একটা আলুপুরিতে।

হ্যাঁ, যা বলছিলাম, আজকাল ছবি আঁকা খুব ভালো পেশা। আর যারা একটু প্রতিভাবান তাদের কোনো সমস্যা হয় না। সত্যি কথা বলতে কি দেশে-বিদেশে শিল্পীদের দারুণ চাহিদা। কাজল অসাধারণ শিল্পী হবে। আপনি ওর ছবি আঁকা বন্ধ করবেন না। কাজল আমাকে বলেছে, আপনি ওর ছবি আঁকা পছন্দ করেন না। দয়া করে ওকে ওর মতো জীবন বেছে নিতে দিন।

আবদুর রশিদ আলুপুরি চিবোতে চিবোতে বলে- ভেবে দেখি।

মতলুব আলী হাত ধরে আবদুর রশিদের না না। ভেবে দেখি-টেখি না। আপনি আমাকে কথা দিন।

দেখুন ভাই, ছেলে আমার, আমি কী করব না-করব সেটা আমার ব্যাপার। আপনি যেভাবে বলছেন, মনে হচ্ছে কাজল আপনার ছেলে।

কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে মতলুব আলীর কাজলের মতো ছেলে থাকলে আমি নিজেকে গৌরবান্বিত পিতা মনে করতাম।

মতলুব আলীর কথায় বিরক্ত হয়ে উঠে আসে আবদুর রশিদ। বাড়িতে এসে কাজলকে অনেক বকেছে। ছবি আঁকা নিষেধ করে দিয়েছে আবদুর রশিদ।

আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প "আনিস সাহেবের হাসি"

স্কুল থেকে উঠে আসার সময় মতলুব আলী বলেছে- কাজল শিল্পী ছাড়া আর কিছুই হবে না। ওকে আপনি ছবি আঁকা থেকে ফেরাতে পারবেন না। কাজল ছবি আঁকবেই-

মনে মনে প্রতীজ্ঞা নিয়েছে আবদুর রশিদ কাজলকে সে ছবি আঁকা থেকে বিরত রাখবেই। কাজলকে আবার মাদ্রাসায় পাঠাবে। অথচ সেই কাজল রাত জেগে ছবিই আঁকছে।

কার ছবি আঁকছিস?

কাজল ছবিটা ঘুরিয়ে দেখায়। ছবির রেখায় রঙের উদ্ভাসিত চিরকালের সাহসী মানুষটির প্রায় পূর্ণ অবয়ব দেখতে পেয়েই আবদুর রশিদের মাথায় রক্ত চড়ে যায়। সে কাজলকে দরজার ডাশা দিয়ে পেটাতে আরম্ভকরে। কাজল রাতের নীরবতা ভেঙে অসহায় কান্নায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। ছুটে আসে কাজলের মা। জড়িয়ে ধরে ছেলেকে ওকে মারছ কেন?

তোমার ছেলেকে আমি পাপের কাজ, ছবি আঁকতে নিষেধ করেছি। শোনেনি- সে রাত জেগে আমার শত্রুর ছবি আঁকে, যার কাছে আমি, আমার দল একাত্তরে পরাজিত হয়েছি- ওকে আমি মেরেই ফেলব।

আবদুর রশিদ হায়েনাদের মতো ক্ষেপে ওঠে।

কাজলের মা অনেক কষ্টে, ধস্তাধস্তি করে কাজলের বাবা আবদুর রশিদকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। কাজলের হাত, হাতের অনামিকা মারের চোটে ফেটে গেছে। রক্ত ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ছে। অজ্ঞান হয়ে ছিল মাটিতে। অনেকক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসে। ও উঠে বসে রক্তাক্ত শরীরে। হ্যারিকেনের আলো কমে আসছে। কোরোসিন শেষ বোধ হয়।

ঘড়িতে রাত চারটা বাজার শব্দ আসছে। হাতে আর সময় নেই। কাজল উঠে বসে। চারদিকে তাকায়। ঘর লণ্ডভণ্ড। তুলি রঙ সব ভেঙে দলামুচি হয়ে করুণ নীরবতায় মেঝেতে পড়ে আছে। আর ব্যবহার করা যাবে না কোন রঙ। কাজল কি করবে এখন? প্রায় সমাপ্ত ছবিটার দিকে ক্ষত-বিক্ষত শরীরে তাকিয়ে থাকে অনেকক্ষণ। আশেপাশে কোথাও রঙ পাওয়া যায় না। প্রায় তিন মাইল দূরে একটা লাইব্রেরিতে এই রঙ পাওয়া যায়। কখন সকাল হবে, কখন যাবে, কখন আসবে- এসে ছবির কাজ শেষ করবে? আর কখনইবা জমা দেবে সে? দীর্ঘদিনের অযুত ভাবনায়, পরম সাধনায় প্রায় সমাপ্ত ছবিটা কি সে শেষ করতে পারবে না। জীবনের প্রথম সংগ্রামে সে হেরে যাবে? ছবির মানুষটি তো কখনও হারেন নি। তাহলে, তাঁর সাহসে সাহসী শিল্পী কাজল হারবে কেনো?

হঠাৎ তাকিয়ে দেখে নিজের ডান হাতের আঙুলের ক্ষত থেকে রক্ত পড়ছে ফোঁটায় ফোঁটায়- যেভাবে ঘাসের ঠোঁটে শিশির জমে, পিঠাপুলির সৌরভে, শীতার্ত সকালের কুয়াশা রঙ ছায়ায় ছায়ায়। এমন তাজা টাটকা মানবিক রঙ থাকতে আর ভাবনা ফুরোয় কাজলের। কাজল নিজের হাতের রক্তে অনেক সাধনায় আঁকা ছবিটার শেষ রঙটা দেয় গভীর আন্তরিকতায়, পরম আকুলতায়।

আরও পড়ুনঃ একজন মুক্তিযোদ্ধা দাদুর গল্প। লেখক মনি হায়দার।

ছবিটা আঁকা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাকাশে গোল আগুনের থালার আকারে সূর্য উঁকি দেয়। কাজল সূর্যের দিকে তাকায়, একবার তাকায় ছবির দিকে। কাজল দেখতে পাচ্ছে- ছবির মানুষটি আশ্চর্য বিশালতায় ছবির ক্যানভাস থেকে জীবন্ত হয়ে বেরিয়ে আসছেন এবং কাজলের কাঁধে তাঁর নির্ভরতার হাত রেখে জিজ্ঞেস করছেন- কিরে খোকা, কেমন আছিস? শিল্পীর পথ বড় কঠিন। সাধনা করে সবকিছু অর্জন করতে হয়। সাধনা করে না গেলে সম্পর্ক গভীর হয় না। এই যেমন দেখ আমাকে-এই দেশের মানুষ, আকাশ, নদী, বৃক্ষ, চলমান পালতোলা নৌকা, ধানের ক্ষেত, রুপালি নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ- সবাই এতো ভালোবাসে যে, মরণের পরও ফিরে আসতে বাধ্য হই। কখনও শালিক, কখনও মিছিল, কখনও তোর ছবির ক্যানভাস হয়ে। আমি আছি, ছিলাম এবং থাকবো। তবে হ্যাঁ, তোকে কিন্তু আরও ভালো ছবি আঁকতে হবে!

আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প "পরীরানী"। লেখক মনি হায়দার।

সকাল হলেই পনেরোই আগস্ট। সবার আগে সে ছবিটা পৌঁছে দিতে চায় প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক অতুল স্যারের কাছে।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url